অশুল্ক বাধা অপসারণ ও ট্রানজিটে অগ্রগতি সীমিত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর থেকে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে কিছু সুবিধা নিশ্চিত হলেও অশুল্ক বাধা অপসারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো অগ্রগতি হয়নি।
অন্যদিকে নেপাল ও ভুটানকে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসতে দেওয়ায় ভারত সম্মত হলেও বাংলাদেশি পণ্যবাহী গাড়ি নেপাল ও ভুটানে যেতে একই সুবিধা পাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় নয়াদিল্লিতে গত মঙ্গলবার দুই দেশের পক্ষ থেকে যে যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেশের অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা এসব অভিমত প্রকাশ করেছেন।
একই সঙ্গে ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থায়নের বিষয়টি সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখত এ প্রসঙ্গে গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশি পণ্যে আরও বেশি শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া এবং অশুল্ক বাধা দূর করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের প্রতিশ্রুতি আগেও বহুবার দেওয়া হয়েছিল। তাই এখন তা কাজে প্রমাণ করা দরকার।
জায়েদ বখত আরও বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের মানের বিষয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) সনদ ভারতে গ্রহণ করার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে অশুল্ক বাধা অপসারণের বিষয়টিও কার্যত স্থবির হয়ে থাকবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে বিএসটিআই-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হবে—এমনটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কিছু হয়নি। ফলে অশুল্ক বাধা অপসারণের বিষয়েও কোনো অগ্রগতি হলো না।’
মনজুর আহমেদ আরও বলেন, ৪৭টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার যে কথা ভারত বলেছে, তা অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। পণ্যের তালিকাটি পাওয়া গেলে বলা যাবে যে এটি বাংলাদেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে কতখানি সহায়ক হবে। কিন্তু অশুল্ক বাধাগুলো দূর করা না গেলে অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মনে করেন তিনি।
মনজুর আহমেদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে অশুল্ক বাধা অপসারণের বিষয়টি উঠে এলেও তা আরও জোরালো হওয়া প্রয়োজন ছিল। আশার দিকটি হলো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের এই সমস্যাটির কথা উল্লেখ করেছেন।
নেপাল ও ভুটানকে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ট্রানজিট দিতে ভারতের সম্মতিকেও ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে এর বিপরীতে বাংলাদেশও একইভাবে ভারত হয়ে নেপাল বা ভুটানে যেতে পারবে কি না, তার কোনো উল্লেখ না থাকায় বিষয়টি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য লাভজনক নাও হতে পারে বলে মনে করছেন মনজুর আহমেদ। আবার নেপাল ও ভুটানে পণ্যবাহী যান সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ২০০ মিটার পর্যন্ত প্রবেশ করতে দিতে ভারতের সম্মতিকে এই সুবিধার কার্যকারিতা সীমিত করে ফেলবে বলে মনে করেন তিনি।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মনজুর আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ভেতরে কোন স্থান পর্যন্ত নেপাল-ভুটানের গাড়ি যাবে, তা নির্ধারণের এখতিয়ার এককভাবে বাংলাদেশের। এখানে ভারত কোনো সীমা টেনে দিতে পারে না। আমাদের পক্ষে যাঁরা এ বিষয়ে সমঝোতা করেছেন, তাঁরা এ ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখাতে পারেননি।’
মনজুর আহমেদ আরও বলেন, ট্রানজিট মানে তৃতীয় দেশকে সংযোগের সুবিধা দেওয়া, যা ঢাকায় ১৩তম সার্ক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংই বলে গেছেন। সুতরাং ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার বিষয়টি সেই আলোকেই পরিচালনা করতে হবে।
ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার বিষয়টিও ইতিবাচকভাবে দেখতে চান মনজুর আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিধিমালার আওতায় এ ধরনের সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে।
এ বিষয়ে জায়েদ বখত বলেন, বাংলাদেশ ভারতের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দিতে চায়। কিন্তু এসব বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে ফেরত যাওয়ার সময় ভারত যে নেপাল বা ভুটানের জন্য কোনো বাধা তৈরি করবে না, তা স্পষ্ট করা দরকার।
অবশ্য বাংলাদেশের বন্দরগুলোর অবকাঠামোগত অবস্থাসহ সার্বিক দক্ষতা না বাড়ানো গেলে এই সুবিধা শেষ পর্যন্ত অর্থবহ হবে না বলে মনে করেন জায়েদ বখত। তিনি বলেন, যেখানে দেশের ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো বন্দরের সুবিধা পাচ্ছেন না, সেখানে অন্য দেশকে তা কীভাবে দেওয়া যাবে?
বিআইডিএসের এই অর্থনীতিবিদ বন্দরের অবকাঠামো উন্নততর করার জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে ভারতের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি যুক্ত করা উচিত ছিল।
একইভাবে মনজুর আহমেদ বলেন, বন্দর ব্যবহার করতে হলে রাস্তাঘাট আরও উন্নত করতে হবে, ভারতীয় ট্রাকের ভার বহনযোগ্য করতে হবে। এর জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু যৌথ ঘোষণায় এ সংক্রান্ত অর্থায়নের বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।
তিনি আখউড়া-আগরতলা রেল সংযোগের পরিকল্পনাকে ইতিবাচক উল্লেখ করে এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করার তাগিদ দেন। তবে আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য পরিবহনের বিষয়টি আরও সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনার পক্ষে মনজুর আহমেদ। বিশেষ করে স্থায়ীভাবে ভারী পণ্য বহনের সুবিধা প্রদানের বিষয়ে। যদিও এর বিপরীতে বাংলাদেশকে শিলাঘাট ব্যবহার করতে দেবে।
অন্যদিকে জায়েদ বখত মনে করেন, স্থলবন্দর ও এর সংযোগ সড়কগুলো উন্নত করা হলে উভয় দেশই লাভবান হবে। সেদিক থেকে এই কাজ যত দ্রুত করা যায়, ততই ভালো।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমানে বড় ধরনের বাণিজ্য-ঘাটতি রয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ভারতে সাড়ে ২৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে দেশটি থেকে বাংলাদেশ ২৮৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৫৮ কোটি ডলারে ওপরে।
অন্যদিকে নেপাল ও ভুটানকে ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসতে দেওয়ায় ভারত সম্মত হলেও বাংলাদেশি পণ্যবাহী গাড়ি নেপাল ও ভুটানে যেতে একই সুবিধা পাবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় নয়াদিল্লিতে গত মঙ্গলবার দুই দেশের পক্ষ থেকে যে যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা হয়েছে, তা পর্যালোচনা করে দেশের অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা এসব অভিমত প্রকাশ করেছেন।
একই সঙ্গে ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থায়নের বিষয়টি সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখত এ প্রসঙ্গে গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশি পণ্যে আরও বেশি শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া এবং অশুল্ক বাধা দূর করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের প্রতিশ্রুতি আগেও বহুবার দেওয়া হয়েছিল। তাই এখন তা কাজে প্রমাণ করা দরকার।
জায়েদ বখত আরও বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের মানের বিষয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) সনদ ভারতে গ্রহণ করার বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিষয়টির নিষ্পত্তি না হলে অশুল্ক বাধা অপসারণের বিষয়টিও কার্যত স্থবির হয়ে থাকবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে বিএসটিআই-সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হবে—এমনটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কিছু হয়নি। ফলে অশুল্ক বাধা অপসারণের বিষয়েও কোনো অগ্রগতি হলো না।’
মনজুর আহমেদ আরও বলেন, ৪৭টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার যে কথা ভারত বলেছে, তা অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। পণ্যের তালিকাটি পাওয়া গেলে বলা যাবে যে এটি বাংলাদেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে কতখানি সহায়ক হবে। কিন্তু অশুল্ক বাধাগুলো দূর করা না গেলে অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না বলে মনে করেন তিনি।
মনজুর আহমেদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে অশুল্ক বাধা অপসারণের বিষয়টি উঠে এলেও তা আরও জোরালো হওয়া প্রয়োজন ছিল। আশার দিকটি হলো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের এই সমস্যাটির কথা উল্লেখ করেছেন।
নেপাল ও ভুটানকে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য ট্রানজিট দিতে ভারতের সম্মতিকেও ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে এর বিপরীতে বাংলাদেশও একইভাবে ভারত হয়ে নেপাল বা ভুটানে যেতে পারবে কি না, তার কোনো উল্লেখ না থাকায় বিষয়টি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য লাভজনক নাও হতে পারে বলে মনে করছেন মনজুর আহমেদ। আবার নেপাল ও ভুটানে পণ্যবাহী যান সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ২০০ মিটার পর্যন্ত প্রবেশ করতে দিতে ভারতের সম্মতিকে এই সুবিধার কার্যকারিতা সীমিত করে ফেলবে বলে মনে করেন তিনি।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মনজুর আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের ভেতরে কোন স্থান পর্যন্ত নেপাল-ভুটানের গাড়ি যাবে, তা নির্ধারণের এখতিয়ার এককভাবে বাংলাদেশের। এখানে ভারত কোনো সীমা টেনে দিতে পারে না। আমাদের পক্ষে যাঁরা এ বিষয়ে সমঝোতা করেছেন, তাঁরা এ ক্ষেত্রে দক্ষতা দেখাতে পারেননি।’
মনজুর আহমেদ আরও বলেন, ট্রানজিট মানে তৃতীয় দেশকে সংযোগের সুবিধা দেওয়া, যা ঢাকায় ১৩তম সার্ক সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংই বলে গেছেন। সুতরাং ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার বিষয়টি সেই আলোকেই পরিচালনা করতে হবে।
ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়ার বিষয়টিও ইতিবাচকভাবে দেখতে চান মনজুর আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিধিমালার আওতায় এ ধরনের সুযোগ দেওয়া যেতেই পারে।
এ বিষয়ে জায়েদ বখত বলেন, বাংলাদেশ ভারতের পাশাপাশি নেপাল ও ভুটানকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে দিতে চায়। কিন্তু এসব বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে ফেরত যাওয়ার সময় ভারত যে নেপাল বা ভুটানের জন্য কোনো বাধা তৈরি করবে না, তা স্পষ্ট করা দরকার।
অবশ্য বাংলাদেশের বন্দরগুলোর অবকাঠামোগত অবস্থাসহ সার্বিক দক্ষতা না বাড়ানো গেলে এই সুবিধা শেষ পর্যন্ত অর্থবহ হবে না বলে মনে করেন জায়েদ বখত। তিনি বলেন, যেখানে দেশের ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো বন্দরের সুবিধা পাচ্ছেন না, সেখানে অন্য দেশকে তা কীভাবে দেওয়া যাবে?
বিআইডিএসের এই অর্থনীতিবিদ বন্দরের অবকাঠামো উন্নততর করার জন্য বড় ধরনের বিনিয়োগ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ ক্ষেত্রে ভারতের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি যুক্ত করা উচিত ছিল।
একইভাবে মনজুর আহমেদ বলেন, বন্দর ব্যবহার করতে হলে রাস্তাঘাট আরও উন্নত করতে হবে, ভারতীয় ট্রাকের ভার বহনযোগ্য করতে হবে। এর জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু যৌথ ঘোষণায় এ সংক্রান্ত অর্থায়নের বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই।
তিনি আখউড়া-আগরতলা রেল সংযোগের পরিকল্পনাকে ইতিবাচক উল্লেখ করে এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করার তাগিদ দেন। তবে আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে ভারতের পণ্য পরিবহনের বিষয়টি আরও সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনার পক্ষে মনজুর আহমেদ। বিশেষ করে স্থায়ীভাবে ভারী পণ্য বহনের সুবিধা প্রদানের বিষয়ে। যদিও এর বিপরীতে বাংলাদেশকে শিলাঘাট ব্যবহার করতে দেবে।
অন্যদিকে জায়েদ বখত মনে করেন, স্থলবন্দর ও এর সংযোগ সড়কগুলো উন্নত করা হলে উভয় দেশই লাভবান হবে। সেদিক থেকে এই কাজ যত দ্রুত করা যায়, ততই ভালো।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমানে বড় ধরনের বাণিজ্য-ঘাটতি রয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ভারতে সাড়ে ২৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে দেশটি থেকে বাংলাদেশ ২৮৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৫৮ কোটি ডলারে ওপরে।
No comments