পোপ দ্বিতীয় জন পলের ওপর হামলাকারী মুক্তি পেয়েছেন
সাবেক পোপ প্রয়াত দ্বিতীয় জন পলের ওপরমেহমাত আলী আগকা তুরস্কের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
জন পলকে গুলি করার দায়ে এবং অন্য একটি হত্যা মামলায় টানা ২৯ বছর বন্দী থাকার পর গত সোমবার তিনি আঙ্কারার কারাগার থেকে মুক্তি পান।
৫২ বছর বয়সী আগকাকে যখন কারগার থেকে বের করা হয়, তখন তাঁর পরনে ছিল একটি নীল সোয়েটার। এরপর তাঁকে একটি গাড়িতে করে নেওয়া হয় সামরিক হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
১৯৮১ সালের ১৩ মে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটারস স্কয়ারে পোপ দ্বিতীয় জন পলকে লক্ষ করে গুলি করেন আগকা। গুলিতে পোপ মারত্মকভাবে জখম হন।
তবে আগকা পোপের ওপর কেন হামলা চালিয়েছিলেন সেটি এখনো রহস্যই রয়ে গেছে। এ বিষয়ে আগকা তদন্ত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে আসছেন। কখনো বলেন, পবিত্র দায়িত্ব হিসেবেই তিনি পোপকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কোনো সময় তিনি দাবি করেছেন, তিনি দ্বিতীয় যিশুখ্রিষ্ট। আবার ঘোষণা দেন তিনিই ‘সঠিক বাইবেল’ লিখবেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, পোপকে হত্যাচেষ্টার পেছনে তত্কালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট বুলগেরিয়ার হাত ছিল। আবার অনেকে মনে করেন, সবাইকে বোকা বানানোর জন্যই তিনি একেক সময় একেক কথা বলেছেন।
১৯৮৩ সালে আগকার সঙ্গে কারাগারে দেখা করার পর তাঁকে ক্ষমা করে দেন পোপ জন পল। হত্যাচেষ্টা সম্পর্কে নিজের লেখা মেমোরি অ্যান্ড আইডেন্টিটি বইতে পোপ জানিয়েছেন, হত্যাচেষ্টা ছিল সুপরিকল্পিত এবং এ জন্যই আগকাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে আগকা ছিল শুধুই ভাড়াটে হত্যাকারী।
তুর্কি নাগরিক আগকা পোপকে হত্যাচেষ্টার দায়ে ১৯ বছর জেল খাটেন ইতালিতে। এরপর তাঁকে তুরস্কে পাঠানো হয়। সেখানে একজন সাংবাদিককে হত্যা, সশস্ত্র ডাকাতি, জেল থেকে পালানোর চেষ্টাসহ অনেকগুলো অপরাধে তাঁকে আবার জেলে ঢুকানো হয়। এসব অপরাধ তিনি করেছিলেন সত্তরের দশকে।
২০০৬ সালের জানুয়ারিতে আগকা কারগার থেকে মুক্তি পান। কিন্তু কারাকর্তৃপক্ষ জানায়, হিসাবে ভুল হয়েছে, তাঁর সাজা আরও বাড়বে। এরপর মুক্তি পাওয়ার আট দিনের মাথায় তাঁকে আবার কারাগারে ঢুকানো হয়। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত সোমবার তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
মুক্তি পাওয়ার পর এক বিবৃতিতে আগকা বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি বিশ্ব ধ্বংস হবে। এ শতাব্দীতেই দুনিয়ার সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। এ শতকেই সব মানুষ মারা যাবে। আমিই যিশুখ্রিষ্ট।’
জন পলকে গুলি করার দায়ে এবং অন্য একটি হত্যা মামলায় টানা ২৯ বছর বন্দী থাকার পর গত সোমবার তিনি আঙ্কারার কারাগার থেকে মুক্তি পান।
৫২ বছর বয়সী আগকাকে যখন কারগার থেকে বের করা হয়, তখন তাঁর পরনে ছিল একটি নীল সোয়েটার। এরপর তাঁকে একটি গাড়িতে করে নেওয়া হয় সামরিক হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
১৯৮১ সালের ১৩ মে ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটারস স্কয়ারে পোপ দ্বিতীয় জন পলকে লক্ষ করে গুলি করেন আগকা। গুলিতে পোপ মারত্মকভাবে জখম হন।
তবে আগকা পোপের ওপর কেন হামলা চালিয়েছিলেন সেটি এখনো রহস্যই রয়ে গেছে। এ বিষয়ে আগকা তদন্ত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে আসছেন। কখনো বলেন, পবিত্র দায়িত্ব হিসেবেই তিনি পোপকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কোনো সময় তিনি দাবি করেছেন, তিনি দ্বিতীয় যিশুখ্রিষ্ট। আবার ঘোষণা দেন তিনিই ‘সঠিক বাইবেল’ লিখবেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, পোপকে হত্যাচেষ্টার পেছনে তত্কালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট বুলগেরিয়ার হাত ছিল। আবার অনেকে মনে করেন, সবাইকে বোকা বানানোর জন্যই তিনি একেক সময় একেক কথা বলেছেন।
১৯৮৩ সালে আগকার সঙ্গে কারাগারে দেখা করার পর তাঁকে ক্ষমা করে দেন পোপ জন পল। হত্যাচেষ্টা সম্পর্কে নিজের লেখা মেমোরি অ্যান্ড আইডেন্টিটি বইতে পোপ জানিয়েছেন, হত্যাচেষ্টা ছিল সুপরিকল্পিত এবং এ জন্যই আগকাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে আগকা ছিল শুধুই ভাড়াটে হত্যাকারী।
তুর্কি নাগরিক আগকা পোপকে হত্যাচেষ্টার দায়ে ১৯ বছর জেল খাটেন ইতালিতে। এরপর তাঁকে তুরস্কে পাঠানো হয়। সেখানে একজন সাংবাদিককে হত্যা, সশস্ত্র ডাকাতি, জেল থেকে পালানোর চেষ্টাসহ অনেকগুলো অপরাধে তাঁকে আবার জেলে ঢুকানো হয়। এসব অপরাধ তিনি করেছিলেন সত্তরের দশকে।
২০০৬ সালের জানুয়ারিতে আগকা কারগার থেকে মুক্তি পান। কিন্তু কারাকর্তৃপক্ষ জানায়, হিসাবে ভুল হয়েছে, তাঁর সাজা আরও বাড়বে। এরপর মুক্তি পাওয়ার আট দিনের মাথায় তাঁকে আবার কারাগারে ঢুকানো হয়। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত সোমবার তিনি মুক্তি পেয়েছেন।
মুক্তি পাওয়ার পর এক বিবৃতিতে আগকা বলেন, ‘আমি ঘোষণা করছি বিশ্ব ধ্বংস হবে। এ শতাব্দীতেই দুনিয়ার সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। এ শতকেই সব মানুষ মারা যাবে। আমিই যিশুখ্রিষ্ট।’
No comments