কাশ্মীর নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে মোদি সরকারের by খালিদ ইসাক
ভারতীয়
জনতা পার্টি (বিজেপি) দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী
হয়ে আসার পর জম্মু ও কাশ্মীরে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান যেন নতুন গতি পেয়েছে।
বিগত দেড় মাসে সরকারের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাগুলো দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় হয়েছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরও সেখানে ব্যতিক্রম নয়। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মালিক রাজ্যের বন বিভাগের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে কড়া কথা বলেছেন। গভর্নর মালিক দাবি করেন যে, তারা বহু ‘মিলিয়ন’ রুপির মালিক হয়েছেন এবং নয়াদিল্লীর অভিজাত এলাকায় বাংলোর মালিক হয়েছেন। তিনি এটা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলোকে সব ধরনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং রাঘব বোয়ালরাও এখানে ছাড় পাবে না।
শ্রীনগরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মালিক বলেন, “এখানে প্রতিশোধের কোন বিষয় নেই। দুর্নীতি দমন ব্যুরো (এসিবি) তার স্বাভাবিক গতিতে কাজ করছে এবং আমরা কোন রাঘব বোয়ালকেও ছাড়বো না। কেউ ছাড় পাবে না – তা তিনি কোন রাজনৈতিক দলেরই হোন বা যত বড়ই হোন। আইনের সামনে কেউ বড় নন। আমি এখানে আছি। আমি কোথাও যাচ্ছি না”।
গভর্নর মালিক যেভাবে কড়া ভাষায় সরাসরি কথা বলেছেন, তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, দুর্নীতিগ্রস্তদের সময় শেষ হয়ে এসেছে এবং দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাগুলো তাদের বিরুদ্ধে নামতে যাচ্ছে।
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সে কারণেই তরুণরা সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আস্থা হারিয়েছে। এটা মনে হচ্ছে যেন কর্তাব্যক্তিরা দুর্নীতি নির্মূলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে সবাই তাদের প্রাপ্য অংশ পেতে পারে।
দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেয়ায় কাশ্মীরের অধিকাংশ মানুষ খুশি। তারা জানে অতীতেও রাজনৈতিক শক্তিগুলো দুর্নীতি দূর করার জন্য বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো কিন্তু সেগুলো কাগজে কলমেই রয়ে গেছে। কিন্তু গভর্নরের শাসনের অধীনে পরিস্থিতি বদলে গেছে এবং দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা – যেগুলোকে আগে দন্ত্যবিহীন বাঘ বলা হতো – সেগুলোকে এখন এতটা শক্তি দেয়া হয়েছে, যাতে তারা দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
নয়াদিল্লীর নতুন কাশ্মীর নীতি খুব স্পষ্ট। যারা শুধুমাত্র শ্লোগান দিয়ে আর বড় বড় কথা বলে পার পেয়ে গেছে, তাদের আর জায়গা নেই বলে মনে হচ্ছে। গত এক বছরে এমনকি কাশ্মীরের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোকেও সরিয়ে রাখা হয়েছে এবং এবং নয়াদিল্লীর কর্তাব্যক্তিদের তাদের কথা শোনার ধৈর্য নেই বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিকে ‘রাঘব বোয়াল’ যারা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে আসছে, তারা এখন লুকানোর জায়গা খুঁজছে।
বিগত ত্রিশ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো নয়াদিল্লী তাদের কাশ্মীর নীতি বদলালো। নয়াদিল্লীকে মনে হচ্ছে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে আলোচনায় আগ্রহী নয় এবং এমনকি উপত্যকার মূলধারার নেতাদের সাথেও আলোচনা করতে চায় না তারা, কারণ রাজধানীর অনেকেই মনে করেন যে, বিগত বছরগুলোতে তারা অনেক বেশি প্রশ্রয় পেয়েছেন। দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি বদলে গেছে বলে মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে ক্ষমতাসীনরা শুধুমাত্র কাশ্মীরের সেই নেতাদেরকেই পৃষ্ঠপোষকতা দিতে চাচ্ছেন, যারা জাতীয়তাবাদী মানসিকতা পোষণ করে।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে এবং মনে হচ্ছে যেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাশ্মীরকে পুরোপুরি পরিবর্তিত একটা জায়গা হিসেবে দেখবো আমরা। সাবেক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং কয়েক মাস আগে বলেছিলেন যে, কাশ্মীরের সব সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত সরকার ২০২৪ সালকে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে এবং মনে হচ্ছে যে সরকার যেন কাশ্মীরের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবার সত্যিই সিরিয়াস হয়ে উঠেছে।
>>>লেখক জেকে ইয়ুথ অ্যালায়েন্সের সাবেক সাংবাদিক সদস্য
বিগত দেড় মাসে সরকারের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাগুলো দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সক্রিয় হয়েছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরও সেখানে ব্যতিক্রম নয়। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মালিক রাজ্যের বন বিভাগের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে কড়া কথা বলেছেন। গভর্নর মালিক দাবি করেন যে, তারা বহু ‘মিলিয়ন’ রুপির মালিক হয়েছেন এবং নয়াদিল্লীর অভিজাত এলাকায় বাংলোর মালিক হয়েছেন। তিনি এটা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলোকে সব ধরনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং রাঘব বোয়ালরাও এখানে ছাড় পাবে না।
শ্রীনগরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মালিক বলেন, “এখানে প্রতিশোধের কোন বিষয় নেই। দুর্নীতি দমন ব্যুরো (এসিবি) তার স্বাভাবিক গতিতে কাজ করছে এবং আমরা কোন রাঘব বোয়ালকেও ছাড়বো না। কেউ ছাড় পাবে না – তা তিনি কোন রাজনৈতিক দলেরই হোন বা যত বড়ই হোন। আইনের সামনে কেউ বড় নন। আমি এখানে আছি। আমি কোথাও যাচ্ছি না”।
গভর্নর মালিক যেভাবে কড়া ভাষায় সরাসরি কথা বলেছেন, তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, দুর্নীতিগ্রস্তদের সময় শেষ হয়ে এসেছে এবং দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাগুলো তাদের বিরুদ্ধে নামতে যাচ্ছে।
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং সে কারণেই তরুণরা সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আস্থা হারিয়েছে। এটা মনে হচ্ছে যেন কর্তাব্যক্তিরা দুর্নীতি নির্মূলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যাতে সবাই তাদের প্রাপ্য অংশ পেতে পারে।
দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেয়ায় কাশ্মীরের অধিকাংশ মানুষ খুশি। তারা জানে অতীতেও রাজনৈতিক শক্তিগুলো দুর্নীতি দূর করার জন্য বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো কিন্তু সেগুলো কাগজে কলমেই রয়ে গেছে। কিন্তু গভর্নরের শাসনের অধীনে পরিস্থিতি বদলে গেছে এবং দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা – যেগুলোকে আগে দন্ত্যবিহীন বাঘ বলা হতো – সেগুলোকে এখন এতটা শক্তি দেয়া হয়েছে, যাতে তারা দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
নয়াদিল্লীর নতুন কাশ্মীর নীতি খুব স্পষ্ট। যারা শুধুমাত্র শ্লোগান দিয়ে আর বড় বড় কথা বলে পার পেয়ে গেছে, তাদের আর জায়গা নেই বলে মনে হচ্ছে। গত এক বছরে এমনকি কাশ্মীরের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোকেও সরিয়ে রাখা হয়েছে এবং এবং নয়াদিল্লীর কর্তাব্যক্তিদের তাদের কথা শোনার ধৈর্য নেই বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিকে ‘রাঘব বোয়াল’ যারা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে আসছে, তারা এখন লুকানোর জায়গা খুঁজছে।
বিগত ত্রিশ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো নয়াদিল্লী তাদের কাশ্মীর নীতি বদলালো। নয়াদিল্লীকে মনে হচ্ছে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে আলোচনায় আগ্রহী নয় এবং এমনকি উপত্যকার মূলধারার নেতাদের সাথেও আলোচনা করতে চায় না তারা, কারণ রাজধানীর অনেকেই মনে করেন যে, বিগত বছরগুলোতে তারা অনেক বেশি প্রশ্রয় পেয়েছেন। দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি বদলে গেছে বলে মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে ক্ষমতাসীনরা শুধুমাত্র কাশ্মীরের সেই নেতাদেরকেই পৃষ্ঠপোষকতা দিতে চাচ্ছেন, যারা জাতীয়তাবাদী মানসিকতা পোষণ করে।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে এবং মনে হচ্ছে যেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই কাশ্মীরকে পুরোপুরি পরিবর্তিত একটা জায়গা হিসেবে দেখবো আমরা। সাবেক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং কয়েক মাস আগে বলেছিলেন যে, কাশ্মীরের সব সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত সরকার ২০২৪ সালকে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে এবং মনে হচ্ছে যে সরকার যেন কাশ্মীরের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এবার সত্যিই সিরিয়াস হয়ে উঠেছে।
>>>লেখক জেকে ইয়ুথ অ্যালায়েন্সের সাবেক সাংবাদিক সদস্য
No comments