ভারত-চীন পানিযুদ্ধ: নয়াদিল্লির ঘুম কেড়ে নিতে পারে চীন!
ভারতের
ব্রহ্মপুত্র নদ চীনে ‘ইয়ারল্যাং জাঙবো’ নামে পরিচিত। ইয়ারল্যাং জাঙবো
তিব্বতে বয়ে যায়। আর এই ইয়ারল্যাং জাঙবোতে আধুনিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বানিয়ে
নদীর গতিপথ উত্তরে ঘোরাতে চায় চীন। ভারতকে নাকি এভাবেই চাপে রাখতে চায়
চীন। এখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মোদি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে চীন
কি নতুন করে চিন্তার কারণ হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অবশ্যই, নরেন্দ্র মোদির চিন্তার কারণ হবে চীন। ব্রহ্মপুত্র নদের উপর চীনের বাড়তি লোভ নয়াদিল্লির ঘুম কেড়ে নিতে পারে। আসুন জানি, ব্রহ্মপুত্র নদ’কে নিয়ে চীনের এত উৎসাহের আসল কারণ কী।
জেনে রাখা দরকার ব্রহ্মপুত্রের পানি ব্যবহারে চীনের সঙ্গে ভারতের কোনো চুক্তি নেই। যেকারণে ভারত বিষয়টিতে লাল সঙ্কেত দেখছে। চীন মনে করে, ব্রহ্মপুত্রের উপর বাঁধ দিয়ে নিজের দেশের জন্য পানি প্রকল্প তৈরি করলেই ভারতের অরুণাচল প্রদেশ কব্জা করা যাবে। ভারত মনে করে বিতর্কিত তিব্বত মালভূমিতে চীনের প্রকল্প তৈরি হলে দেশের উত্তর-পূর্বে পানির যোগান কমবে। চাপ পড়বে অর্থনীতিতে। তাহলে ভারত-চীনের পানিযুদ্ধ কি রক্তক্ষয়ী হাতিয়ার যুদ্ধে পরিণত হতে পারে? উত্তেজনার আশঙ্কা রয়েছে। ২০১৭ সালে একটি ভিন্ন ইস্যুকে নিয়ে ভুটানের ডোকলামে দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মোদি সরকার চীনকে ছেড়ে কথা বলেনি। পরে অবশ্য সেনাবাহিনী সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় চীন।
চীন নাকি ভারতকে নদের বহমানতা সম্পর্কে কোনো তথ্যই দেয় না। নদের বহমানতা নিয়ে চীনের এই লুকোচুরির প্রধান কারণ অন্য। চীন ভালো করেই জানে ইয়ারল্যাং জাঙবো বা ব্রহ্মপুত্রের বহমানতার খবর ভারত পেয়ে গেলে উত্তর-পূর্বে বন্যার হাত থেকে বেঁচে যাবে। বেঁচে যাবে বাংলাদেশও। ভারতকে এই সুবিধা দিতে চায়না চীন। বিশ্বের দরবারে চীন দেখাতে চায় যে ভারত বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। এও শোনা যায়, চীন নাকি বাংলাদেশকে নদের বহমানতা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে দলে টানতে চায়। চীনকে ২০১৩ সালে সরকারিস্তরে তাদের জলবিদ্যুত প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত।
চীন নদের বহমানতা সম্পর্কে কোনো তথ্য ভারতে না দিতে চাইলেও, ২০০৮ এবং ২০১০ সালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জলস্তর এবং বৃষ্টিপাতের ব্যাপারে তথ্য দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চিনের লাল-হো জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে জিয়াবকু নদীর উপর। সিকিমের কাছে ওই জায়গাটির নাম জিগেজ। ৭৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই জায়গা থেকেই চীন নেপালের দিকে রেলপথ নিয়ে যেতে চায়। ২০১০ সালে জাংমুতে ইয়ারল্যাং জাঙবো নদীর উপর প্রথম বাঁধ দিয়েছিল চীন। দাগু, জিয়াচা এবং জেইজুতে আরো তিনটি ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।
চীনের কথা ওঠলেই পাকিস্তানের নাম জড়াবেই। অনেক প্রতিবেদন বলছে, ইয়ারল্যাং জাঙবো-এর উপর চীন বাঁধ দিয়ে জলপ্রকল্প শুরু করেছিল তখনই যখন ভারত সিন্ধু নদ চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের থেকে প্রাপ্য জল ছিনিয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল। ভারতকে পালটা চাপে ফেলতে চীনের কাছে পাকিস্তান অনুরোধ করেছে। সেই কারণেই চীন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হয়।
বিশেষজ্ঞ থেকে গবেষক অনেকেরই মতে চীনের সঙ্গে ভারতে পানিযুদ্ধের তীক্ষ্ণতা বাড়বে। নয়াদিল্লি-বেইজিং, চিন্তায় থাকবে দুই শিবিরই।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, অবশ্যই, নরেন্দ্র মোদির চিন্তার কারণ হবে চীন। ব্রহ্মপুত্র নদের উপর চীনের বাড়তি লোভ নয়াদিল্লির ঘুম কেড়ে নিতে পারে। আসুন জানি, ব্রহ্মপুত্র নদ’কে নিয়ে চীনের এত উৎসাহের আসল কারণ কী।
জেনে রাখা দরকার ব্রহ্মপুত্রের পানি ব্যবহারে চীনের সঙ্গে ভারতের কোনো চুক্তি নেই। যেকারণে ভারত বিষয়টিতে লাল সঙ্কেত দেখছে। চীন মনে করে, ব্রহ্মপুত্রের উপর বাঁধ দিয়ে নিজের দেশের জন্য পানি প্রকল্প তৈরি করলেই ভারতের অরুণাচল প্রদেশ কব্জা করা যাবে। ভারত মনে করে বিতর্কিত তিব্বত মালভূমিতে চীনের প্রকল্প তৈরি হলে দেশের উত্তর-পূর্বে পানির যোগান কমবে। চাপ পড়বে অর্থনীতিতে। তাহলে ভারত-চীনের পানিযুদ্ধ কি রক্তক্ষয়ী হাতিয়ার যুদ্ধে পরিণত হতে পারে? উত্তেজনার আশঙ্কা রয়েছে। ২০১৭ সালে একটি ভিন্ন ইস্যুকে নিয়ে ভুটানের ডোকলামে দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মোদি সরকার চীনকে ছেড়ে কথা বলেনি। পরে অবশ্য সেনাবাহিনী সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় চীন।
চীন নাকি ভারতকে নদের বহমানতা সম্পর্কে কোনো তথ্যই দেয় না। নদের বহমানতা নিয়ে চীনের এই লুকোচুরির প্রধান কারণ অন্য। চীন ভালো করেই জানে ইয়ারল্যাং জাঙবো বা ব্রহ্মপুত্রের বহমানতার খবর ভারত পেয়ে গেলে উত্তর-পূর্বে বন্যার হাত থেকে বেঁচে যাবে। বেঁচে যাবে বাংলাদেশও। ভারতকে এই সুবিধা দিতে চায়না চীন। বিশ্বের দরবারে চীন দেখাতে চায় যে ভারত বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। এও শোনা যায়, চীন নাকি বাংলাদেশকে নদের বহমানতা সম্পর্কে তথ্য দিয়ে দলে টানতে চায়। চীনকে ২০১৩ সালে সরকারিস্তরে তাদের জলবিদ্যুত প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে ভারত।
চীন নদের বহমানতা সম্পর্কে কোনো তথ্য ভারতে না দিতে চাইলেও, ২০০৮ এবং ২০১০ সালে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জলস্তর এবং বৃষ্টিপাতের ব্যাপারে তথ্য দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চিনের লাল-হো জলবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে জিয়াবকু নদীর উপর। সিকিমের কাছে ওই জায়গাটির নাম জিগেজ। ৭৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই জায়গা থেকেই চীন নেপালের দিকে রেলপথ নিয়ে যেতে চায়। ২০১০ সালে জাংমুতে ইয়ারল্যাং জাঙবো নদীর উপর প্রথম বাঁধ দিয়েছিল চীন। দাগু, জিয়াচা এবং জেইজুতে আরো তিনটি ছোট জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হচ্ছে।
চীনের কথা ওঠলেই পাকিস্তানের নাম জড়াবেই। অনেক প্রতিবেদন বলছে, ইয়ারল্যাং জাঙবো-এর উপর চীন বাঁধ দিয়ে জলপ্রকল্প শুরু করেছিল তখনই যখন ভারত সিন্ধু নদ চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের থেকে প্রাপ্য জল ছিনিয়ে দিতে উদ্যত হয়েছিল। ভারতকে পালটা চাপে ফেলতে চীনের কাছে পাকিস্তান অনুরোধ করেছে। সেই কারণেই চীন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হয়।
বিশেষজ্ঞ থেকে গবেষক অনেকেরই মতে চীনের সঙ্গে ভারতে পানিযুদ্ধের তীক্ষ্ণতা বাড়বে। নয়াদিল্লি-বেইজিং, চিন্তায় থাকবে দুই শিবিরই।
No comments