যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সেনাদের কাছে গুয়েতামালার এক মায়ের আকুতি
যুক্তরাষ্ট্রে
প্রবেশ করতে ছয় বছর বয়সী সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে গুয়াতেমালা থেকে দেড় হাজার
মাইল পথ পাড়ি দিয়েছেন লেডি পেরেজ। স্বপ্নের দেশের সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক
ফুট দূরত্বে কুয়েদাদ জুয়ারেজ শহরে তাদের পথ আটকে দিয়েছে মেক্সিকোর ন্যাশনাল
গার্ডের সদস্যরা। অসহায় হয়ে সন্তানকে জড়িয়ে ধরে হাটু মুড়ে বসে পড়ে ওই মা
বসে সেনা সদস্যের কাছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন। গত ২২ জুলাই সোমবার এমন একটি দৃশ্য ধরা পড়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের আলোকচিত্রি জোস
লুইস গঞ্জালেসের ক্যামেরায়।
গঞ্জালেস বলেন, ন্যাশনাল গার্ডের কাছে সন্তানকে নিয়ে ওই নারী তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে দেওয়ার জন্য অনুনয় করছিলেন। একটি উন্নত ভবিষ্যতের আশায় সন্তান অ্যান্থনি ডায়াজকে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিতে চান তিনি। তবে রাইফেল কাঁধে সামরিক পোশাক পরিহিত ওই সেনা সদস্য বলেছিলেন, তিনি শুধু আদেশ পালন করছেন। নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি ওই সেনা সদস্য।
এই ঘটনার কয়েকটি ছবি রয়টার্স প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। মধ্য আমেরিকার অভিবাসীদের ঠেকাতে মেক্সিকোর সামরিকায়িত ন্যাশনাল গার্ডের ব্যবহারের ওপর আলোকপাত করে এসব ছবি।
রেকর্ড পরিমাণ খুনের হার কমাতে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোর ন্যাশনাল গার্ড প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু এখন এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ সেনা সদস্য সীমান্ত টহলে নিয়োজিত। যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখী অভিবাসী ঢল থামাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি মেটাতে এসব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
রয়টার্সের আলোকচিত্রি গঞ্জালেস জানান, লেডি পেরেজ ও তার সন্তানের সঙ্গে নয় মিনিটের আলাপের সময় ওই সেনা সদস্য অতিরিক্ত আগ্রাসন দেখাননি।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত মেক্সিকোর সাবেক রাষ্টদূত আরথুরো সারুখান ছবিটি টুইট করার পর তা রিটুইট করে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ফেলিপে কালডেরন লেখেন, ‘কী দুর্ভোগ, মেক্সিকোর এটা মেনে নেওয়া উচিত না।’
লোপেজ ওব্রাদোর এর মুখপাত্র জেসাস রমিরেজ বলেন, ‘জননিরাপত্তা রক্ষায় ন্যাশনাল গার্ড যে তাদের ভূমিকা রাখছে এই ছবি তার উদাহরণ’। তিনি আরও বলেন, ওই সেনা সদস্য পেরেজকে সীমান্ত অতিক্রম করতে আটকাননি বরং তিনি তাকে এর বিপদ সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন।
রমিরেজ বলেন, গার্ড সদস্যরা মানব পাচার মোকাবিলা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং অভিবাসীদের সীমান্ত অতিক্রম ঠেকাতে কাজ করছে। ন্যাশনাল গার্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেনা সদস্য ওই নারীকে শিশুকে নিয়ে নদী পারের ঝুঁকি না নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গত জুনে লোপেজ ওব্রাদোর বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীদের আটকের নির্দেশ ন্যাশনাল গার্ডকে দেওয়া হয়নি। তিনি প্রায়ই বলে আসছেন অভিবাসীদের কঠোর হাতে দমন করতে গিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হবে না।
মার্কিন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দক্ষিণ সীমান্তে মেক্সিকো ন্যাশনাল গার্ডের ২১ হাজার সদস্য মোতায়েন করার পর গত জুন থেকে সীমান্তে অভিবাসীর সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে।
বুধবার ট্রাম্প বলেছেন, মেক্সিকো সম্ভবত আরও সদস্য মোতায়েন করতে যাচ্ছে। তবে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র দফতর তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
কুয়েদাদ জুয়ারেজ শহরে মোতায়েন করা ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছে ব্যালেস্টিক হেলমেট ও রাইফেল। রিও গ্রান্দে নদীর পাড় দিয়ে নিয়মিত ভ্রমণের সময়ে সেনা সদস্যদের সঙ্গে গুয়েতেমালার নারীর কথোপকথন দেখতে পান রয়টার্সের আলোকচিত্রি গঞ্জালেস। নদীর ওপারেই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এল পাসো শহর।
ওই নারী ও গার্ড সদস্যের কথোপকথনের বর্ণনা দিয়ে গঞ্জালেস বলেন, ‘কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাৎ করে ওই সেনা সদস্যের অন্য দিকে তাকানোর সুযোগ নিয়ে নদীর মধ্য দিয়ে দৌড় দেন ওই নারী। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নদীর ওপারে উঠলে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত ও রাজস্ব সুরক্ষা এলাকার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে তাদের আটক করা হয়।’
মার্কিন সীমান্ত টহল বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গুয়েতেমালার ওই নারীকে স্থানীয় সময় সকাল আটটা দশ মিনিটে সন্তানসহ আটক করা হয়। তাদের স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে। নিউ মেক্সিকোর লর্ডসবার্গ সীমান্ত টহল স্টেশনে তাদের আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানায় মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
গুয়েতেমালার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে আর তাদের মামলা চলছে। সীমান্ত টহল বাহিনী তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আর তারাই আমাদের এই বিষয়ে জানিয়েছে।
গঞ্জালেস বলেন, ন্যাশনাল গার্ডের কাছে সন্তানকে নিয়ে ওই নারী তাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে দেওয়ার জন্য অনুনয় করছিলেন। একটি উন্নত ভবিষ্যতের আশায় সন্তান অ্যান্থনি ডায়াজকে নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিতে চান তিনি। তবে রাইফেল কাঁধে সামরিক পোশাক পরিহিত ওই সেনা সদস্য বলেছিলেন, তিনি শুধু আদেশ পালন করছেন। নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি ওই সেনা সদস্য।
এই ঘটনার কয়েকটি ছবি রয়টার্স প্রকাশের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। মধ্য আমেরিকার অভিবাসীদের ঠেকাতে মেক্সিকোর সামরিকায়িত ন্যাশনাল গার্ডের ব্যবহারের ওপর আলোকপাত করে এসব ছবি।
রেকর্ড পরিমাণ খুনের হার কমাতে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদোর ন্যাশনাল গার্ড প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু এখন এর প্রায় এক তৃতীয়াংশ সেনা সদস্য সীমান্ত টহলে নিয়োজিত। যুক্তরাষ্ট্র অভিমুখী অভিবাসী ঢল থামাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি মেটাতে এসব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
রয়টার্সের আলোকচিত্রি গঞ্জালেস জানান, লেডি পেরেজ ও তার সন্তানের সঙ্গে নয় মিনিটের আলাপের সময় ওই সেনা সদস্য অতিরিক্ত আগ্রাসন দেখাননি।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত মেক্সিকোর সাবেক রাষ্টদূত আরথুরো সারুখান ছবিটি টুইট করার পর তা রিটুইট করে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ফেলিপে কালডেরন লেখেন, ‘কী দুর্ভোগ, মেক্সিকোর এটা মেনে নেওয়া উচিত না।’
লোপেজ ওব্রাদোর এর মুখপাত্র জেসাস রমিরেজ বলেন, ‘জননিরাপত্তা রক্ষায় ন্যাশনাল গার্ড যে তাদের ভূমিকা রাখছে এই ছবি তার উদাহরণ’। তিনি আরও বলেন, ওই সেনা সদস্য পেরেজকে সীমান্ত অতিক্রম করতে আটকাননি বরং তিনি তাকে এর বিপদ সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন।
রমিরেজ বলেন, গার্ড সদস্যরা মানব পাচার মোকাবিলা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং অভিবাসীদের সীমান্ত অতিক্রম ঠেকাতে কাজ করছে। ন্যাশনাল গার্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেনা সদস্য ওই নারীকে শিশুকে নিয়ে নদী পারের ঝুঁকি না নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গত জুনে লোপেজ ওব্রাদোর বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত অতিক্রমকারী অভিবাসীদের আটকের নির্দেশ ন্যাশনাল গার্ডকে দেওয়া হয়নি। তিনি প্রায়ই বলে আসছেন অভিবাসীদের কঠোর হাতে দমন করতে গিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হবে না।
মার্কিন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দক্ষিণ সীমান্তে মেক্সিকো ন্যাশনাল গার্ডের ২১ হাজার সদস্য মোতায়েন করার পর গত জুন থেকে সীমান্তে অভিবাসীর সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে।
বুধবার ট্রাম্প বলেছেন, মেক্সিকো সম্ভবত আরও সদস্য মোতায়েন করতে যাচ্ছে। তবে মেক্সিকোর পররাষ্ট্র দফতর তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
কুয়েদাদ জুয়ারেজ শহরে মোতায়েন করা ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের সঙ্গে রয়েছে ব্যালেস্টিক হেলমেট ও রাইফেল। রিও গ্রান্দে নদীর পাড় দিয়ে নিয়মিত ভ্রমণের সময়ে সেনা সদস্যদের সঙ্গে গুয়েতেমালার নারীর কথোপকথন দেখতে পান রয়টার্সের আলোকচিত্রি গঞ্জালেস। নদীর ওপারেই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এল পাসো শহর।
ওই নারী ও গার্ড সদস্যের কথোপকথনের বর্ণনা দিয়ে গঞ্জালেস বলেন, ‘কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাৎ করে ওই সেনা সদস্যের অন্য দিকে তাকানোর সুযোগ নিয়ে নদীর মধ্য দিয়ে দৌড় দেন ওই নারী। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নদীর ওপারে উঠলে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত ও রাজস্ব সুরক্ষা এলাকার অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে তাদের আটক করা হয়।’
মার্কিন সীমান্ত টহল বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গুয়েতেমালার ওই নারীকে স্থানীয় সময় সকাল আটটা দশ মিনিটে সন্তানসহ আটক করা হয়। তাদের স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে। নিউ মেক্সিকোর লর্ডসবার্গ সীমান্ত টহল স্টেশনে তাদের আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানায় মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
গুয়েতেমালার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে আর তাদের মামলা চলছে। সীমান্ত টহল বাহিনী তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আর তারাই আমাদের এই বিষয়ে জানিয়েছে।
No comments