ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করছে পাকিস্তান, বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত
কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সিদ্ধান্তের জেরে রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারসহ চির
প্রতিদ্বন্দ্বী এই প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার
ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান, বন্ধ করেছে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যও।
নরেন্দ্র মোদীর সরকার কাশ্মীরের ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা রদ করে কেন্দ্রের শাসন জারির প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) বুধবার এই পদক্ষেপ নেয়।
ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে, আবার দুই দেশই কাশ্মীরের একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ করে।
আরেক বড় প্রতিবেশী চীনও কাশ্মীরের একটি অংশের দাবিদার। পাক-ভারত উত্তেজনায় ইসলামাবাদের ‘বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত চীনও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
তবে পাকিস্তানের বাণিজ্য বন্ধ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার ঘোষণা নিয়ে ভারত সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
‘দ্য ইকোনোমিক টাইমস’ পত্রিকা জানায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বুধবার রাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় সুরক্ষা কমিটির (এনএসসি) একটি বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্তগুলো হয়।
বৈঠকেই ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে ভারতে ফেরত পাঠানো এবং নয়া দিল্লিতে পাকিস্তানের হাই কমিশনার না রাখার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ পত্রিকা।
পাকিস্তানের টিভি নেটওয়ার্ক ‘এআরওয়াই’ নিউজে ঘোষণা দিয়ে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, “আমাদের দূত আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না। আর এখানেও তাদের অনুরূপ পদমর্যাদার ভারতীয়কে রাখা হবে না।”
এর পরপরই পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হাই কমিশনারকে প্রত্যাহার করে নিতে নয়া দিল্লিকে বলা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, এই ঘোষণার কারণে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিসারিয়াকে ফিরে আসতে হচ্ছে।
তবে ভারতে বর্তমানে পাকিস্তানের হাই কমিশনার নেই। সদ্য নিয়োগ পাওয়া মইনুল হক এখনও নয়া দিল্লিতে কাজে যোগ দেননি। এখন ইসলামাবাদের সিদ্ধান্তের কারণে তার আর ভারতে যাওয়া হচ্ছে না।
এনএসসির বৈঠকে ইমরান খান ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ এবং ভারতের ‘বৈষম্যমূলক শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ চিত্র তুলে ধরতে সব কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবৈধ এবং একতরফা পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিসহ ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীর এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর ভিত্তিতেই কমিটি ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। এগুলো হল:
নরেন্দ্র মোদীর সরকার কাশ্মীরের ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা রদ করে কেন্দ্রের শাসন জারির প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) বুধবার এই পদক্ষেপ নেয়।
ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ দাবি করে, আবার দুই দেশই কাশ্মীরের একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ করে।
আরেক বড় প্রতিবেশী চীনও কাশ্মীরের একটি অংশের দাবিদার। পাক-ভারত উত্তেজনায় ইসলামাবাদের ‘বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত চীনও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
তবে পাকিস্তানের বাণিজ্য বন্ধ ও কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার ঘোষণা নিয়ে ভারত সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
‘দ্য ইকোনোমিক টাইমস’ পত্রিকা জানায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বুধবার রাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় সুরক্ষা কমিটির (এনএসসি) একটি বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্তগুলো হয়।
বৈঠকেই ভারতীয় হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে ভারতে ফেরত পাঠানো এবং নয়া দিল্লিতে পাকিস্তানের হাই কমিশনার না রাখার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ পত্রিকা।
পাকিস্তানের টিভি নেটওয়ার্ক ‘এআরওয়াই’ নিউজে ঘোষণা দিয়ে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, “আমাদের দূত আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না। আর এখানেও তাদের অনুরূপ পদমর্যাদার ভারতীয়কে রাখা হবে না।”
এর পরপরই পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হাই কমিশনারকে প্রত্যাহার করে নিতে নয়া দিল্লিকে বলা হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, এই ঘোষণার কারণে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিসারিয়াকে ফিরে আসতে হচ্ছে।
তবে ভারতে বর্তমানে পাকিস্তানের হাই কমিশনার নেই। সদ্য নিয়োগ পাওয়া মইনুল হক এখনও নয়া দিল্লিতে কাজে যোগ দেননি। এখন ইসলামাবাদের সিদ্ধান্তের কারণে তার আর ভারতে যাওয়া হচ্ছে না।
এনএসসির বৈঠকে ইমরান খান ভারতীয় বিমানের জন্য পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ এবং ভারতের ‘বৈষম্যমূলক শাসন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ চিত্র তুলে ধরতে সব কূটনৈতিক কৌশল অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবৈধ এবং একতরফা পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতিসহ ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মীর এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এর ভিত্তিতেই কমিটি ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। এগুলো হল:
- *ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা
- *ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বন্ধ করা
- *দুই দেশের কূটনৈতিক নানা চুক্তি পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখা
- *ভারতের ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বিষয়টি জাতিসংঘে তোলা
- *১৪ অগাস্টে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসকে কাশ্মীরিদের জন্য সৌহার্দ্য দিবস এবং তাদের আত্মনিয়ন্ত্রাধিকারের ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ের স্পৃহার সঙ্গে একাত্ম হয়ে উদযাপন করা।
- *ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ অগাস্ট-কে কালো দিবস হিসাবে উদযাপন করা।
No comments