গুলিতে ঝাঁঝরা একটি পরিবার: ১০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের
একশ’
টাকার দ্বন্দ্ব নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। তখন
একটি পক্ষ বিপক্ষ দলকে প্রতিহত করার জন্য শটগান দিয়ে গুলি ছুড়ে। সেই গুলি
প্রতিপক্ষকে ছুঁতে না পারলেও নীরিহ একটি পরিবারের চার সদস্যের শরীর ঝাঝরা
করে দিয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। শিশু দুটির চোখের মধ্যেও গুলি
লেগেছে। এই চারজন ছাড়াও স্থানীয় এক ব্যবসায়ীও আহত হয়েছেন গুলিতে। শনিবার
রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানাধীন শনির আখড়ার গোবিন্দপুর নূর
মসজিদ এলাকায়। আহতরা হলেন, হাফিজুল ইসলাম (২৪), তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাথী
আক্তার (২০), হাফিজুলের ভাতিজি আবিদা আক্তার (৫), ভাগিনা জুনায়েত হোসেন
(৪) এবং ওই এলাকার ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম এনায়েত (২৪)।
এ ঘটনায় পুলিশ একটি শটগান ও কিছু গুলি উদ্ধার করেছে।
গুলির ঘটনায় এনায়েতের বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে যাত্রবাড়ি থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন, মো. এরশাদুর রহমান হ্যাপি (৩৫), তার বাবা হাফিজ উদ্দিন (৬০) ও সাইফুল ইসলাম (৪০)। এই মামলায় আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার, স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় ইয়াছিন ও বাবুর সঙ্গে মামলার এক নম্বর আসামি মো. এরশাদুর রহমান হ্যাপির চাচাত ভাই হৃদয়ের একশ টাকা নিয়ে ঝগড়া ও বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি মিটমাট করে দেন স্থানীয় মোবারক হোসেন নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু ইয়াছিন ও বাবু কেন মোবারকের কাছে বিচার দিল এজন্য ক্ষুব্ধ হন হ্যাপি। এজন্য শনিবার রাতে তাদের চড়-থাপ্পর দেন তিনি। পরে তারা দুজন চড়-থাপ্পড়ের বিচার চাইতে হ্যাপির বাবা হাফিজ উদ্দিনের কাছে যান। হাফিজ উদ্দিন বিচার না করে উল্টো তাদের বকাবকি করেন। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে হ্যাপি, সাইফুল ও আরও ১০/১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে হামলা করেন ইয়াছিন, বাবু ও তাদের বন্ধুদের ওপর। তখন তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ইয়াছিন, বাবু ও অন্যরা আশ্রয় নেন ৬৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের ক্লাবে। কিন্তু মামলার আসামিরা ওই ক্লাবে গিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এছাড়া হ্যাপি তার কাছে থাকা শটগান দিয়ে তাদের ওপর ছররা গুলি ছোঁড়ে। গুলি ছোঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইয়াছিন, বাবু ও অন্যান্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। এসময় হাফিজুলের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের ঘরে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। বাসার পাশের মাঠ থেকে ছোড়া গুলি জানালা ভেদ করে তাদের শরীরে লাগে।
আহত হাফিজুল ইসলাম বলেন, তার দুই ভাই, দুই ভাবী ও তাদের সন্তানদের সঙ্গে তিনি গোবিন্দুপর এলাকার রহিম সরদারের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকেন। তবে তারা মূলত রাজবাড়ি এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন টাইলস মিস্ত্রি। ওই বাসার পাশে একটি ছোট্ট মাঠে একশ টাকা পাওনা নিয়ে হাফিজ উদ্দিন ও তার ছেলে হ্যাপীর সঙ্গে স্থানীয় দুই যুবকের ঝগড়া চলছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধস্তাধস্তি হয়। তিনি বলেন, আমরা সবাই তখন খাটের ওপর বসে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। মাঠের মধ্যে হট্টগোলের শব্দ শুনে আমার ভাতিজি ও ভাগ্নে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। তখন জানালা দিয়ে দেখতে পাই একটি পক্ষ হাতে শটগান নিয়ে আরেকটি পক্ষকে তাড়া করছে। আর পেছন থেকে ছররা গুলি ছুঁড়ছে। তখন সামনে থেকে ওই পক্ষের লোকজন সরে যাওয়াতে সেই গুলি জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা ভাতিজি, ভাগ্নে ও আমি ও আমার ভাইয়ের স্ত্রী আহত হন। হঠাৎ করে আসা গুলির কারণে আমরা মারাত্বকভাবে আহত হয়েছি। হাফিজুলের ভাই আব্দুল্লাহ জানান, তার ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় বাসার পাশের মাঠে ব্যাপক হট্টগোল চলছিল। হঠাৎ করে গোলাগুলি শুরু হলে জানালা দিয়ে আসা শটগানের গুলিতে চারজন আহত হন। এ সময় বাইরে আরও এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে। ছররা গুলি হওয়ার কারণে তারা হয়তো প্রাণে বেঁচে গেছেন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত দুই শিশুর চোখে গুলি লাগায় তাদের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, এখন পর্যন্ত এঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আর এ ঘটনাটি মাত্র ১০০ টাকার দ্বন্দ্ব নিয়েই হয়েছে বলে জেনেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নাই। অথচ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। আমরা একটি শটগানও উদ্ধার করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। খুব তাড়াতাড়ি তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ওসি জানান।
এ ঘটনায় পুলিশ একটি শটগান ও কিছু গুলি উদ্ধার করেছে।
গুলির ঘটনায় এনায়েতের বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে যাত্রবাড়ি থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন, মো. এরশাদুর রহমান হ্যাপি (৩৫), তার বাবা হাফিজ উদ্দিন (৬০) ও সাইফুল ইসলাম (৪০)। এই মামলায় আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার, স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় ইয়াছিন ও বাবুর সঙ্গে মামলার এক নম্বর আসামি মো. এরশাদুর রহমান হ্যাপির চাচাত ভাই হৃদয়ের একশ টাকা নিয়ে ঝগড়া ও বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি মিটমাট করে দেন স্থানীয় মোবারক হোসেন নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু ইয়াছিন ও বাবু কেন মোবারকের কাছে বিচার দিল এজন্য ক্ষুব্ধ হন হ্যাপি। এজন্য শনিবার রাতে তাদের চড়-থাপ্পর দেন তিনি। পরে তারা দুজন চড়-থাপ্পড়ের বিচার চাইতে হ্যাপির বাবা হাফিজ উদ্দিনের কাছে যান। হাফিজ উদ্দিন বিচার না করে উল্টো তাদের বকাবকি করেন। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে হ্যাপি, সাইফুল ও আরও ১০/১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে হামলা করেন ইয়াছিন, বাবু ও তাদের বন্ধুদের ওপর। তখন তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ইয়াছিন, বাবু ও অন্যরা আশ্রয় নেন ৬৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের ক্লাবে। কিন্তু মামলার আসামিরা ওই ক্লাবে গিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এছাড়া হ্যাপি তার কাছে থাকা শটগান দিয়ে তাদের ওপর ছররা গুলি ছোঁড়ে। গুলি ছোঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইয়াছিন, বাবু ও অন্যান্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। এসময় হাফিজুলের পরিবারের সদস্যরা নিজেদের ঘরে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। বাসার পাশের মাঠ থেকে ছোড়া গুলি জানালা ভেদ করে তাদের শরীরে লাগে।
আহত হাফিজুল ইসলাম বলেন, তার দুই ভাই, দুই ভাবী ও তাদের সন্তানদের সঙ্গে তিনি গোবিন্দুপর এলাকার রহিম সরদারের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া থাকেন। তবে তারা মূলত রাজবাড়ি এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। পেশায় তিনি একজন টাইলস মিস্ত্রি। ওই বাসার পাশে একটি ছোট্ট মাঠে একশ টাকা পাওনা নিয়ে হাফিজ উদ্দিন ও তার ছেলে হ্যাপীর সঙ্গে স্থানীয় দুই যুবকের ঝগড়া চলছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে ধস্তাধস্তি হয়। তিনি বলেন, আমরা সবাই তখন খাটের ওপর বসে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। মাঠের মধ্যে হট্টগোলের শব্দ শুনে আমার ভাতিজি ও ভাগ্নে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। তখন জানালা দিয়ে দেখতে পাই একটি পক্ষ হাতে শটগান নিয়ে আরেকটি পক্ষকে তাড়া করছে। আর পেছন থেকে ছররা গুলি ছুঁড়ছে। তখন সামনে থেকে ওই পক্ষের লোকজন সরে যাওয়াতে সেই গুলি জানালায় দাঁড়িয়ে থাকা ভাতিজি, ভাগ্নে ও আমি ও আমার ভাইয়ের স্ত্রী আহত হন। হঠাৎ করে আসা গুলির কারণে আমরা মারাত্বকভাবে আহত হয়েছি। হাফিজুলের ভাই আব্দুল্লাহ জানান, তার ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় বাসার পাশের মাঠে ব্যাপক হট্টগোল চলছিল। হঠাৎ করে গোলাগুলি শুরু হলে জানালা দিয়ে আসা শটগানের গুলিতে চারজন আহত হন। এ সময় বাইরে আরও এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লেগেছে। ছররা গুলি হওয়ার কারণে তারা হয়তো প্রাণে বেঁচে গেছেন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত দুই শিশুর চোখে গুলি লাগায় তাদের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, এখন পর্যন্ত এঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আর এ ঘটনাটি মাত্র ১০০ টাকার দ্বন্দ্ব নিয়েই হয়েছে বলে জেনেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নাই। অথচ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হলাম।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। আমরা একটি শটগানও উদ্ধার করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। খুব তাড়াতাড়ি তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ওসি জানান।
No comments