বিচ্ছিন্ন সিলেট বিভাগ: স্থবির বিকল্প সড়ক, হেঁটে চলছে মানুষ by জাবেদ রহিম বিজন
সড়ক
যোগাযোগে কার্যত সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন সিলেট বিভাগ। নামমাত্র
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিকল্প পথে কিছু যানবাহন চলাচল করছে। ট্রাক চলাচল বন্ধ
পুরোপুরি। শত শত পণ্যবাহী ট্রাক অবস্থান করছে মহাসড়কের ওপর। নষ্ট হচ্ছে
ট্রাক বোঝাই কাঁচামাল। পায়ে হেঁটেও মাইলের পর মাইল চলছে মানুষ। এই অবর্ণনীয়
দুর্ভোগে ক্ষোভ চালক-যাত্রী সবার মধ্যে।
সেতু মেরামতের কাজ ঢিলেঢালা ভাবে হচ্ছে এই অভিযোগ এনে চালকদের কেউ কেউ সেনাবাহিনীকে এ কাজে নিয়োজিত করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শেষ হতো বলে মন্তব্য করেন।
সরজমিন খোঁজখবরে জানা গেছে, সিলেট থেকে শাহবাজপুরে সেতুর গোড়া পর্যন্ত দীর্ঘ পথের বিভিন্নস্থানে মহাসড়কের ওপর অবস্থান করছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যমুখী হাজার হাজার মালবোঝাই ট্রাক।
সেতুর অন্যপাশে সরাইল বিশ্বরোড পর্যন্তও দীর্ঘ সিলেটমুখী ট্রাকের সারি। শনিবার সকালে সরাইলের ইসলামাবাদে কথা হয় কয়েকজন ট্রাকচালকের সঙ্গে। একটি কাভার্ড ভ্যানের নিচে ১০/১২ জন চালক আলুভর্তা দিয়ে ভাত খাচ্ছিলেন। এই গ্রামের বৃদ্ধ আবদুর রাজ্জাক এই খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। ট্রাকচালক মানিক মিয়া জানান, একদিন বিশ্বরোডে আর ৩ দিন গাড়ি নিয়ে অবস্থান করছেন ইসলামাবাদে।
প্যাকেটজাত বিভিন্ন পানীয়ভর্তি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে তারা যাচ্ছেন সিলেটে। বিকল্প রাস্তার একটিতে ট্রাক ফেঁসে যাওয়ায় এবং অন্যটিতে ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তারা ট্রাক নিয়ে ওই দুই পথের কোনোটি দিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এসব পণ্য বোঝাই আরো ক’টি কাভার্ড ভ্যানের চালক মোতাচ্ছির আলী, আলীম উদ্দিন, শাহজাহান এভাবে মহাসড়কে পড়ে থাকায় তাদের নানা ভোগান্তি হচ্ছে বলেও জানান। মহাসড়কের এই স্থানে নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার উল্লেখ করে তারা জানান, ভয়ঙ্কর জায়গা এটি। রাতে ডাকাতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গ্রাম থেকে ডাকাতরা উঠে আসে বলে অভিযোগ তাদের। সে কারণে সারারাত জেগে থাকতে হয়। পুলিশ টহল দিয়ে চলে গেলে আবারো ডাকাতদের আনাগোনা শুরু হয়।
এ ছাড়া গোসল-টয়লেট করার সমস্যাও হচ্ছে তাদের। আলী আজম নামের এক চালক বলেন, বিশ্বরোডে গাড়ি পার্কিং করার পর পুলিশ সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে খোলা জায়গায় গাড়ি রেখে ভয়ে কোথাও যেতেও পারছেন না। সারারাত গাড়ির নিচে সজাগ বসে থাকতে হচ্ছে। খাবার পাচ্ছেন না, কোনো কিছু করতে পারছেন না। চাঁপাই নবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ থেকে পিয়াজভর্তি ট্রাক নিয়ে এসেছেন জামান মিয়া। সিলেটের কালীঘাট তার গন্তব্য। জানান তার গাড়ি বোঝাই পিয়াজ পচে যাচ্ছে। দিনাজপুরের হিলি থেকে পিয়াজ নিয়ে সেতু পাড়ি দেয়ার অপেক্ষায় আবদুস সালাম। তিনিও জানান, তার গাড়ি বোঝাই ৯ লাখ টাকার পিয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাঁচামাল বোঝাই গাড়ি চলতে দেয়া হচ্ছে না।
সরজমিন দেখা গেছে, সেতুর পূর্ব পাশের রেলিং ভাঙা। এটি সংলগ্ন বেইলি ব্রিজ মেরামত করা হচ্ছে। আর পশ্চিম পাশের বেইলি ব্রিজ দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু গভীররাতে এই বেইলির উপর দিয়ে পণ্য বোঝাই ট্রাক চলাচল করে বলে অভিযোগ করেন বসে থাকা ট্রাকচালকরা। তারা জানান, দেড়-দু’হাজার করে টাকা নিয়ে ভাঙা ব্রিজের একপাশের ওই বেইলি ব্রিজ দিয়ে মাল বোঝাই ট্রাক চলাচলের এই সুযোগ দিচ্ছে পুলিশ। দেড়-দু’শ ট্রাক পার হচ্ছে প্রতিরাতেই। তারা বলেন- এ গাড়ি তো ব্রিজের উপর দিয়েই আসছে। যারা পার হয়ে আসছে তারাই আমাদেরকে বলছে টাকা দিয়ে আসছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসেন সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সারারাত তারা সেতুর এখানে ছিলেন। সেতুর উপর দিয়ে কোনো গাড়ি চলেনি। তবে পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, রাতে সরকারের এক সচিবকে বহনকারী বাস এই সেতু পাড়ি দিয়েছে। তখন আরো কিছু গাড়ি সেতু পাড়ি দেয়।
তিতাসের উপরই নির্মাণাধীন আরেকটি সেতুর কাজ শেষ হতে বিলম্ব আর পুরাতন এই সেতুর মেরামত কাজের ধীরগতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গাড়িচালকরা। সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী একটি ট্রাকের চালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সিলেট বিভাগের হাইওয়ে রোড এটা। ৫দিন ধরে ব্রিজ বন্ধ। আর্মিকে দায়িত্ব দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই সেতু মেরামত হয়ে যেত। এদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটেই চলছে শত শত মানুষ।
শাহবাজপুর থেকে রামপুর পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে যাচ্ছে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন। এভাবে কিছুদূর হেঁটে, কিছুদূর যানবাহনে করে চলছে মানুষ। উল্লেখ্য, গত ১৮ই জুন বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের শাহবাজপুরে তিতাস নদীর উপর সেতুটির চতুর্থ স্পেনের ফুটপাথসহ রেলিং ভেঙে পড়ে। এরপরই সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) সব ধরনের ভারী ও মাঝারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠা এই সেতুর উপর দিয়ে। সড়ক বিভাগ বিকল্প পথ হিসেবে চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক দিয়ে কুমিল্লা-সিলেট এবং চট্টগ্রামের এবং সরাইল-নাসিরনগর হয়ে লাখাই এবং রতনপুর দিয়ে ঢাকা-সিলেট গন্তব্যের যানবাহন চলাচল করার নির্দেশনা দেয়। কিন্তু এ দু’পথের কোনোটিতেই নানা সমস্যায় যানবাহন সেভাবে চলাচল করতে পারছে না।
ট্রাক তো নয়ই। ওইসব সড়কের বেহালদশা আর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু-কালভার্টের জন্য গাড়ি চলাচল হয়ে পড়েছে সীমিত। তাতেও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যদি বিকল্প চান্দুরা-আখাউড়া সড়কের কথা বলা হয়; সাড়ে ৫ মিটার পাশের ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক পাড়ি দিতে সময় লেগে যাচ্ছে কয়েক ঘণ্টা। তারপরও এই সড়ক দিয়ে ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-সিলেট ও চট্টগ্রাম পথের যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে।
সেতু মেরামতের কাজ ঢিলেঢালা ভাবে হচ্ছে এই অভিযোগ এনে চালকদের কেউ কেউ সেনাবাহিনীকে এ কাজে নিয়োজিত করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শেষ হতো বলে মন্তব্য করেন।
সরজমিন খোঁজখবরে জানা গেছে, সিলেট থেকে শাহবাজপুরে সেতুর গোড়া পর্যন্ত দীর্ঘ পথের বিভিন্নস্থানে মহাসড়কের ওপর অবস্থান করছে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যমুখী হাজার হাজার মালবোঝাই ট্রাক।
সেতুর অন্যপাশে সরাইল বিশ্বরোড পর্যন্তও দীর্ঘ সিলেটমুখী ট্রাকের সারি। শনিবার সকালে সরাইলের ইসলামাবাদে কথা হয় কয়েকজন ট্রাকচালকের সঙ্গে। একটি কাভার্ড ভ্যানের নিচে ১০/১২ জন চালক আলুভর্তা দিয়ে ভাত খাচ্ছিলেন। এই গ্রামের বৃদ্ধ আবদুর রাজ্জাক এই খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। ট্রাকচালক মানিক মিয়া জানান, একদিন বিশ্বরোডে আর ৩ দিন গাড়ি নিয়ে অবস্থান করছেন ইসলামাবাদে।
প্যাকেটজাত বিভিন্ন পানীয়ভর্তি কাভার্ড ভ্যান নিয়ে তারা যাচ্ছেন সিলেটে। বিকল্প রাস্তার একটিতে ট্রাক ফেঁসে যাওয়ায় এবং অন্যটিতে ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তারা ট্রাক নিয়ে ওই দুই পথের কোনোটি দিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। এসব পণ্য বোঝাই আরো ক’টি কাভার্ড ভ্যানের চালক মোতাচ্ছির আলী, আলীম উদ্দিন, শাহজাহান এভাবে মহাসড়কে পড়ে থাকায় তাদের নানা ভোগান্তি হচ্ছে বলেও জানান। মহাসড়কের এই স্থানে নিজেদের নিরাপত্তাহীনতার উল্লেখ করে তারা জানান, ভয়ঙ্কর জায়গা এটি। রাতে ডাকাতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গ্রাম থেকে ডাকাতরা উঠে আসে বলে অভিযোগ তাদের। সে কারণে সারারাত জেগে থাকতে হয়। পুলিশ টহল দিয়ে চলে গেলে আবারো ডাকাতদের আনাগোনা শুরু হয়।
এ ছাড়া গোসল-টয়লেট করার সমস্যাও হচ্ছে তাদের। আলী আজম নামের এক চালক বলেন, বিশ্বরোডে গাড়ি পার্কিং করার পর পুলিশ সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে খোলা জায়গায় গাড়ি রেখে ভয়ে কোথাও যেতেও পারছেন না। সারারাত গাড়ির নিচে সজাগ বসে থাকতে হচ্ছে। খাবার পাচ্ছেন না, কোনো কিছু করতে পারছেন না। চাঁপাই নবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ থেকে পিয়াজভর্তি ট্রাক নিয়ে এসেছেন জামান মিয়া। সিলেটের কালীঘাট তার গন্তব্য। জানান তার গাড়ি বোঝাই পিয়াজ পচে যাচ্ছে। দিনাজপুরের হিলি থেকে পিয়াজ নিয়ে সেতু পাড়ি দেয়ার অপেক্ষায় আবদুস সালাম। তিনিও জানান, তার গাড়ি বোঝাই ৯ লাখ টাকার পিয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাঁচামাল বোঝাই গাড়ি চলতে দেয়া হচ্ছে না।
সরজমিন দেখা গেছে, সেতুর পূর্ব পাশের রেলিং ভাঙা। এটি সংলগ্ন বেইলি ব্রিজ মেরামত করা হচ্ছে। আর পশ্চিম পাশের বেইলি ব্রিজ দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু গভীররাতে এই বেইলির উপর দিয়ে পণ্য বোঝাই ট্রাক চলাচল করে বলে অভিযোগ করেন বসে থাকা ট্রাকচালকরা। তারা জানান, দেড়-দু’হাজার করে টাকা নিয়ে ভাঙা ব্রিজের একপাশের ওই বেইলি ব্রিজ দিয়ে মাল বোঝাই ট্রাক চলাচলের এই সুযোগ দিচ্ছে পুলিশ। দেড়-দু’শ ট্রাক পার হচ্ছে প্রতিরাতেই। তারা বলেন- এ গাড়ি তো ব্রিজের উপর দিয়েই আসছে। যারা পার হয়ে আসছে তারাই আমাদেরকে বলছে টাকা দিয়ে আসছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসেন সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, সারারাত তারা সেতুর এখানে ছিলেন। সেতুর উপর দিয়ে কোনো গাড়ি চলেনি। তবে পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, রাতে সরকারের এক সচিবকে বহনকারী বাস এই সেতু পাড়ি দিয়েছে। তখন আরো কিছু গাড়ি সেতু পাড়ি দেয়।
তিতাসের উপরই নির্মাণাধীন আরেকটি সেতুর কাজ শেষ হতে বিলম্ব আর পুরাতন এই সেতুর মেরামত কাজের ধীরগতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গাড়িচালকরা। সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী একটি ট্রাকের চালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সিলেট বিভাগের হাইওয়ে রোড এটা। ৫দিন ধরে ব্রিজ বন্ধ। আর্মিকে দায়িত্ব দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই সেতু মেরামত হয়ে যেত। এদিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটেই চলছে শত শত মানুষ।
শাহবাজপুর থেকে রামপুর পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে যাচ্ছে বিভিন্ন বয়সী মানুষজন। এভাবে কিছুদূর হেঁটে, কিছুদূর যানবাহনে করে চলছে মানুষ। উল্লেখ্য, গত ১৮ই জুন বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইলের শাহবাজপুরে তিতাস নদীর উপর সেতুটির চতুর্থ স্পেনের ফুটপাথসহ রেলিং ভেঙে পড়ে। এরপরই সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) সব ধরনের ভারী ও মাঝারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠা এই সেতুর উপর দিয়ে। সড়ক বিভাগ বিকল্প পথ হিসেবে চান্দুরা-আখাউড়া সড়ক দিয়ে কুমিল্লা-সিলেট এবং চট্টগ্রামের এবং সরাইল-নাসিরনগর হয়ে লাখাই এবং রতনপুর দিয়ে ঢাকা-সিলেট গন্তব্যের যানবাহন চলাচল করার নির্দেশনা দেয়। কিন্তু এ দু’পথের কোনোটিতেই নানা সমস্যায় যানবাহন সেভাবে চলাচল করতে পারছে না।
ট্রাক তো নয়ই। ওইসব সড়কের বেহালদশা আর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু-কালভার্টের জন্য গাড়ি চলাচল হয়ে পড়েছে সীমিত। তাতেও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। যদি বিকল্প চান্দুরা-আখাউড়া সড়কের কথা বলা হয়; সাড়ে ৫ মিটার পাশের ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক পাড়ি দিতে সময় লেগে যাচ্ছে কয়েক ঘণ্টা। তারপরও এই সড়ক দিয়ে ঢাকা-সিলেট এবং কুমিল্লা-সিলেট ও চট্টগ্রাম পথের যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে।
No comments