কুলাউড়ায় ট্রেনের ৬টি বগি লাইনচ্যুত, বহু হতাহত
সিলেট
থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ভয়াবহ দুর্ঘটনার
কবলে পড়েছে। রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে ট্রেনটির ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে
ছিটকে পড়ে। এর মধ্যে একটি খালে পড়ে এবং অপর পাঁচটি বগি জমিতে উল্টে পড়ে।
এতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ৬ জন নিহত ও অন্তত দুই শতাধিক
যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসের ২৭টি ইউনিটের পাশাপাশি স্থানীয়
বাসিন্দারা উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তার নাম মনোয়ারা পারভীন।
তিনি কুলাউড়ার বাসিন্দা। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে কালা মিয়া বাজার সংলগ্ন একটি ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিলেটের সঙ্গে সড়কের পর ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক জানান, এ পর্যন্ত ৬০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ আহত যাত্রীকে সিলেটে স্থানান্তর করা হয়েছে। চারজনের লাশ কুলাউড়া হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের লোকাল ইনচার্জ দুলাল চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরেই জিআরপি পুলিশ, দমকল বাহিনী ছাড়াও কুলাউড়ার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এছাড়া ট্রেনের বগি উদ্ধারে তাদের স্টাফরাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
ঘটনাস্থলের যাত্রী জৈন্তাপুর ইমরান আহমদ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহেদ আহমদ জানান, কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশন সংলগ্ন একটি ব্রিজে হঠাৎ ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে। এর মধ্যে একটি খালে এবং পাঁচটি বগি উল্টে জমিতে পড়ে।
ওই ট্রেনে থাকা অপর যাত্রী সাইদুর রহমান রাব্বী বলেন, আমরা ছয় বন্ধু সিলেট বেড়াতে গিয়েছিলাম। রাতেই সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরছি। বরমচাল নামক একটি জায়গায় আসার পর আমাদের পেছনের তিনটি বগি ছিটকে যাওয়ার কথা শুনেছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে অন্য বগিতে থাকা যাত্রীরা বেঁচে গেছেন। আমরাও বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে রয়েছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরাইলের শাহবাজপুরে বেইলি ব্রিজ স্থাপনের কাজ চলায় ঢাকা-সিলেট বাস চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে। ফলে ট্রেনের উপর চাপ এখন বেশি। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণেই ট্রেনটির বগিগুলো লাইনচ্যুত হয় বলে ওই ট্রেনটির যাত্রীদের ধারণা। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম এবং শমসের নগরের স্টেশন মাস্টার কবির হোসেন বলেন, বরমচাল এলাকায় উপবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পড়ার কারণে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তার নাম মনোয়ারা পারভীন।
তিনি কুলাউড়ার বাসিন্দা। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরে কালা মিয়া বাজার সংলগ্ন একটি ব্রিজে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিলেটের সঙ্গে সড়কের পর ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল হক জানান, এ পর্যন্ত ৬০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ আহত যাত্রীকে সিলেটে স্থানান্তর করা হয়েছে। চারজনের লাশ কুলাউড়া হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের লোকাল ইনচার্জ দুলাল চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরেই জিআরপি পুলিশ, দমকল বাহিনী ছাড়াও কুলাউড়ার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এছাড়া ট্রেনের বগি উদ্ধারে তাদের স্টাফরাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
ঘটনাস্থলের যাত্রী জৈন্তাপুর ইমরান আহমদ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহেদ আহমদ জানান, কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশন সংলগ্ন একটি ব্রিজে হঠাৎ ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ছিটকে পড়ে। এর মধ্যে একটি খালে এবং পাঁচটি বগি উল্টে জমিতে পড়ে।
ওই ট্রেনে থাকা অপর যাত্রী সাইদুর রহমান রাব্বী বলেন, আমরা ছয় বন্ধু সিলেট বেড়াতে গিয়েছিলাম। রাতেই সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরছি। বরমচাল নামক একটি জায়গায় আসার পর আমাদের পেছনের তিনটি বগি ছিটকে যাওয়ার কথা শুনেছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে অন্য বগিতে থাকা যাত্রীরা বেঁচে গেছেন। আমরাও বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে রয়েছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরাইলের শাহবাজপুরে বেইলি ব্রিজ স্থাপনের কাজ চলায় ঢাকা-সিলেট বাস চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে। ফলে ট্রেনের উপর চাপ এখন বেশি। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণেই ট্রেনটির বগিগুলো লাইনচ্যুত হয় বলে ওই ট্রেনটির যাত্রীদের ধারণা। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম এবং শমসের নগরের স্টেশন মাস্টার কবির হোসেন বলেন, বরমচাল এলাকায় উপবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পড়ার কারণে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
No comments