যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রাশিয়ার সিক্রেট ফার্স্ট লেডি!
পুতিন ও কাবায়েভা |
গ্লাসনস্ত
আর পেরেস্ত্রৈকার ধাক্কায় লাল রাশিয়ার শিকল অনেক দিন আগেই ছিঁড়ে গেছে। সেই
নয়ের দশক থেকেই রাশিয়ায় শুরু হয়েছে মুক্ত হাওয়া। কিন্তু এই মুক্ত হাওয়ার
মধ্যেও কোথাও যেন একটা অদৃশ্য বন্ধন রয়ে গিয়েছে। সেই কারণে
রাষ্ট্রপ্রধানদের জীবন নিয়ে কোনো খবর নেই রুশ সংবাদমাধ্যমে। ক্রেমলিনের এই
অলিখিত নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে প্রতিটি সংবাদমাধ্যমই।
এরই মধ্যে সম্প্রতি একটি প্রথমসারির সংবাদপত্র তাদের ওয়েবসাইটে সামান্য সময়ের জন্য একটি খবর প্রকাশ করে। তাতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। মস্কোবাসী খবরটা শুনে বুঝতেই পারছে না, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কী শুভেচ্ছা জানানো যাবে? খবরটা কী? ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছিল, যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আলিনা কাবায়েভা।
কে এই আলিনা কাবায়েভা? ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের উজবেকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন কাবায়েভা। তার বাবা ছিলেন পেশাদার ফুটবলার। অর্থাৎ ছোট থেকেই একটা ক্রীড়া পরিবেশে বড় হয়েছিলেন কাবায়েভা। তবে তিনি ছোটবেলাতেই জিমনাস্টিক্সকে নিজের পছন্দের খেলা হিসেবে বেছে নেন। কিশোরী বয়সেই রিদমিক জিমন্যাস্টে রাশিয়ার প্রথমসারির ক্রীড়াবিদ হিসেবে পরিচিত হয়ে যান কাবায়েভা। ২০০০ সালের সিডনি ওলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ ও ২০০৪ সালের আথেন্স ওলিম্পিক্সে সোনার পদক জেতেন কাবায়েভা। ১৯৯৯ সালের ওসাকা ও ২০০৩ সালের বুদাপেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আটটি সোনার পদক জেতেন তিনি। ২০০৭ সালেই রুশ সংসদ ডুমার সদস্য হন এই সুন্দরী জিমন্যাস্ট। শোনা যায় তখন থেকেই কাবায়েভার প্রেমে মজেছিলেন পুতিন। সুন্দরী এই জিমন্যাস্ট রাশিয়ায় ভোগ পত্রিকার কাভার পেজেও স্থান পেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ সাংসদ কাবায়েভা এখন মিডিয়া ব্যারন।
২০১৮ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় একাই ভোট দিতে এসেছিলেন কাবায়েভা। তার হাতে ছিল ওয়েডিং রিং। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কাকে ভোট দিলেন? হাল্কা হেসে কাবায়েভা বলেছিলেন, যিনি নিশ্চিতভাবেই জিতবেন, তাকেই দিয়েছি। জিতেছিলেন পুতিনই। ২০০৮ সালে কাবায়েভার সঙ্গে পুতিনের সম্পর্ক শুরু হয়। তাদের সম্পর্ক নিয়ে গল্প জোরদার হয় ২০১৩ সালে। কারণ তখন দীর্ঘ ৩০ বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টানেন পুতিন।
তখন থেকেই এমপি কাবায়েভা রাশিয়ার সিক্রেট ফার্স্ট লেডি। পুতিন-কাবায়েভার প্রেম, বিয়ে নিয়ে নানারকম চর্চা তারপর থেকে চলছেই। কিন্তু দু’জনের কেউই সরাসরি এই বিয়ের কথা স্বীকার করে নেননি। বরং পুতিন বলেই দিয়েছিলেন, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা হোক, সেটা তার পছন্দের নয়। যদিও গত বছরের জুলাইয়ে মুখ ফস্কেই প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছিলেন, তার জীবনে সাবেক স্ত্রী লুডমিলা নন, অন্য কোনো রহস্যময়ী আছেন। কে সেই রহস্যময়ী? পুতিন-কাবায়েভার বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট কীভাবে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন সুন্দরী জিমন্যাস্টের দিকে। কাবায়েভাকে জনসমক্ষে খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু গত বছর থেকেই দু’একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গিয়েছে বিয়ের আংটি পরা অবস্থায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইতালি ঘুরতে যাওয়ার সময়ও ওই বিয়ের আংটি দেখিয়ে গিয়েছিলেন কাবায়েভা।
পুতিন-কাবায়েভার সন্তান নিয়েও জোর চর্চা চলছে। বিশেষ করে ওয়েবসাইটের খবর নিয়ে। সেই খবরে লেখা হয়েছে, কুলাকভ রিসার্চ সেন্টারের ভিআইপি ফ্লোরের পুরো তলাটাই খালি করে দেয়া হয়েছে। সেখানকার রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়। বহু ডাক্তারকে সরিয়ে দেয়া হয়। ইতালি থেকে বিশেষ ডাক্তার সেখানে আসেন একজন ভিআইপি রোগীর জন্য। সেই রোগীর জন্য খাবার এসেছিল পাশের সেরা রেস্তরাঁ থেকে। শোনা যায়, সেই রোগীই হলেন কাবায়েভা। সেখানেই তিনি যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। যদিও ক্রেমলিন এ ব্যাপারে টু শব্দটি করেনি।
তবে কাবায়েভার সন্তানের খবর এই প্রথম নয়, ২০০৮ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি ক্লিনিকে তার কন্যা সন্তান হওয়ার খবর বেরিয়েছিল। শোনা যায় ইতালির প্রধানমন্ত্রী বারলুসকোনি ওই ক্লিনিকের খবর দিয়েছিলেন কাবায়েভাকে। কারণ ওই ক্লিনিকেই তার কন্যার সন্তান হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, কাবায়েভা ও তার দেহরক্ষীর জন্য ঘর সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। ঘটনা হলো, ওই সন্তান হওয়ার খবরও কেউ স্বীকার করেনি। শুধু তখনই নয়, ২০০৯ সালেও কাবায়েভা-পুতিনের দিমিত্রি বলে পুত্র সন্তান হয়েছিল বলে খবর রটেছিল। তাই এবারের যমজ সন্তান হওয়ার ঘটনা সত্যি কি না, তা নিয়ে ধাঁধা বেড়েই চলছে।
এরই মধ্যে সম্প্রতি একটি প্রথমসারির সংবাদপত্র তাদের ওয়েবসাইটে সামান্য সময়ের জন্য একটি খবর প্রকাশ করে। তাতেই হইচই শুরু হয়ে যায়। মস্কোবাসী খবরটা শুনে বুঝতেই পারছে না, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কী শুভেচ্ছা জানানো যাবে? খবরটা কী? ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছিল, যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আলিনা কাবায়েভা।
কে এই আলিনা কাবায়েভা? ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের উজবেকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন কাবায়েভা। তার বাবা ছিলেন পেশাদার ফুটবলার। অর্থাৎ ছোট থেকেই একটা ক্রীড়া পরিবেশে বড় হয়েছিলেন কাবায়েভা। তবে তিনি ছোটবেলাতেই জিমনাস্টিক্সকে নিজের পছন্দের খেলা হিসেবে বেছে নেন। কিশোরী বয়সেই রিদমিক জিমন্যাস্টে রাশিয়ার প্রথমসারির ক্রীড়াবিদ হিসেবে পরিচিত হয়ে যান কাবায়েভা। ২০০০ সালের সিডনি ওলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ ও ২০০৪ সালের আথেন্স ওলিম্পিক্সে সোনার পদক জেতেন কাবায়েভা। ১৯৯৯ সালের ওসাকা ও ২০০৩ সালের বুদাপেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আটটি সোনার পদক জেতেন তিনি। ২০০৭ সালেই রুশ সংসদ ডুমার সদস্য হন এই সুন্দরী জিমন্যাস্ট। শোনা যায় তখন থেকেই কাবায়েভার প্রেমে মজেছিলেন পুতিন। সুন্দরী এই জিমন্যাস্ট রাশিয়ায় ভোগ পত্রিকার কাভার পেজেও স্থান পেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ সাংসদ কাবায়েভা এখন মিডিয়া ব্যারন।
২০১৮ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় একাই ভোট দিতে এসেছিলেন কাবায়েভা। তার হাতে ছিল ওয়েডিং রিং। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কাকে ভোট দিলেন? হাল্কা হেসে কাবায়েভা বলেছিলেন, যিনি নিশ্চিতভাবেই জিতবেন, তাকেই দিয়েছি। জিতেছিলেন পুতিনই। ২০০৮ সালে কাবায়েভার সঙ্গে পুতিনের সম্পর্ক শুরু হয়। তাদের সম্পর্ক নিয়ে গল্প জোরদার হয় ২০১৩ সালে। কারণ তখন দীর্ঘ ৩০ বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টানেন পুতিন।
তখন থেকেই এমপি কাবায়েভা রাশিয়ার সিক্রেট ফার্স্ট লেডি। পুতিন-কাবায়েভার প্রেম, বিয়ে নিয়ে নানারকম চর্চা তারপর থেকে চলছেই। কিন্তু দু’জনের কেউই সরাসরি এই বিয়ের কথা স্বীকার করে নেননি। বরং পুতিন বলেই দিয়েছিলেন, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা হোক, সেটা তার পছন্দের নয়। যদিও গত বছরের জুলাইয়ে মুখ ফস্কেই প্রেসিডেন্ট স্বীকার করেছিলেন, তার জীবনে সাবেক স্ত্রী লুডমিলা নন, অন্য কোনো রহস্যময়ী আছেন। কে সেই রহস্যময়ী? পুতিন-কাবায়েভার বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট কীভাবে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন সুন্দরী জিমন্যাস্টের দিকে। কাবায়েভাকে জনসমক্ষে খুব একটা দেখা যায় না। কিন্তু গত বছর থেকেই দু’একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গিয়েছে বিয়ের আংটি পরা অবস্থায়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইতালি ঘুরতে যাওয়ার সময়ও ওই বিয়ের আংটি দেখিয়ে গিয়েছিলেন কাবায়েভা।
পুতিন-কাবায়েভার সন্তান নিয়েও জোর চর্চা চলছে। বিশেষ করে ওয়েবসাইটের খবর নিয়ে। সেই খবরে লেখা হয়েছে, কুলাকভ রিসার্চ সেন্টারের ভিআইপি ফ্লোরের পুরো তলাটাই খালি করে দেয়া হয়েছে। সেখানকার রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়। বহু ডাক্তারকে সরিয়ে দেয়া হয়। ইতালি থেকে বিশেষ ডাক্তার সেখানে আসেন একজন ভিআইপি রোগীর জন্য। সেই রোগীর জন্য খাবার এসেছিল পাশের সেরা রেস্তরাঁ থেকে। শোনা যায়, সেই রোগীই হলেন কাবায়েভা। সেখানেই তিনি যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। যদিও ক্রেমলিন এ ব্যাপারে টু শব্দটি করেনি।
তবে কাবায়েভার সন্তানের খবর এই প্রথম নয়, ২০০৮ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি ক্লিনিকে তার কন্যা সন্তান হওয়ার খবর বেরিয়েছিল। শোনা যায় ইতালির প্রধানমন্ত্রী বারলুসকোনি ওই ক্লিনিকের খবর দিয়েছিলেন কাবায়েভাকে। কারণ ওই ক্লিনিকেই তার কন্যার সন্তান হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল, কাবায়েভা ও তার দেহরক্ষীর জন্য ঘর সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। ঘটনা হলো, ওই সন্তান হওয়ার খবরও কেউ স্বীকার করেনি। শুধু তখনই নয়, ২০০৯ সালেও কাবায়েভা-পুতিনের দিমিত্রি বলে পুত্র সন্তান হয়েছিল বলে খবর রটেছিল। তাই এবারের যমজ সন্তান হওয়ার ঘটনা সত্যি কি না, তা নিয়ে ধাঁধা বেড়েই চলছে।
No comments