চীনে আফগান শান্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের চেষ্টা চলছে
চীনে
আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক বৈঠকের আয়োজনের
চেষ্টা চলছে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, রাশিয়া, ভারত ও আফগানিস্তানের
প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আফগান সরকারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র রোববার জানিয়েছে যে পরিকল্পনাটি নিয়ে কাজ চলছে তবে এখনো সবকিছুর বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীনে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের খবর আরেকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক জাবিউল্লাহ ফারহাং এই বার্তা সংস্থাকে বলেন যে প্রস্তাবিত সম্মেলনে যদি আফগান সরকারের প্রতিনিধিরা অংশ নেয় তাহলে শান্তির আশা জোরদার হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান সরকার চায় তালেবান যেন যুদ্ধবিরতি করে। ইউরোপ ও ভারত এই ধারণা সমর্থন করে।
ফারহাং আরো বলেন, রাশিয়া চাচ্ছে তালেবানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি গ্রুপ হিসেবে তুলে ধরতে। তারা এই গ্রুপটির অতীত বিবেচনায় নিচ্ছে না। এই অবস্থায় চীনের পররাষ্ট্র নীতি অনেকটাই ধোঁয়াশাপূর্ণ। তারা একদিকে বলছে যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সৈন্য সরিয়ে নেয়া হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করবে। অন্যদিকে তারা তালেবানের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করছে না।
ফলে বৈঠকটিতে দুই ধারণার পক্ষে গোলমেলে পরিবেশ তৈরি হবে। সেখানে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যেমন মতৈক্য হবে না, তেমনি সেনাপ্রত্যাহারের সুনির্দিষ্ট তারিখও ঠিক হবে না বলে ফারহাং মনে করেন।
আগামী শনিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে সপ্তম দফা আলোচনা শুরুর খবর প্রকাশের প্রেক্ষাপটে চীনে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বড় ধরনের সম্মেলনের আয়োজনের খবর প্রকাশ পেলো।
গত শনিবার পাকিস্তানের লাহোরে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এক সম্মেলনে যোগ দেন আফগান রাজনীতিকরা। তাদের মধ্যে গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, আতা মোহাম্মদ নুর, মোহাম্মদ করিম খলিলি, আনোয়ারুল হক আহাদি, হামিদ গিলানি, মোহাম্মদ মোহাকিক, আব্দুল লতিফ পেদরাম, মোহাম্মদ হানিফ আতমার, আহমেদ ওয়ালি মাসুদসহ আরো অনেক যোগ দেন।
রোববারও বৈঠকটি চলে। তালেবানদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা এতে যোগ দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আফগান সরকারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র রোববার জানিয়েছে যে পরিকল্পনাটি নিয়ে কাজ চলছে তবে এখনো সবকিছুর বিস্তারিত ঠিক হয়নি।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চীনে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের খবর আরেকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক জাবিউল্লাহ ফারহাং এই বার্তা সংস্থাকে বলেন যে প্রস্তাবিত সম্মেলনে যদি আফগান সরকারের প্রতিনিধিরা অংশ নেয় তাহলে শান্তির আশা জোরদার হবে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান সরকার চায় তালেবান যেন যুদ্ধবিরতি করে। ইউরোপ ও ভারত এই ধারণা সমর্থন করে।
ফারহাং আরো বলেন, রাশিয়া চাচ্ছে তালেবানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি গ্রুপ হিসেবে তুলে ধরতে। তারা এই গ্রুপটির অতীত বিবেচনায় নিচ্ছে না। এই অবস্থায় চীনের পররাষ্ট্র নীতি অনেকটাই ধোঁয়াশাপূর্ণ। তারা একদিকে বলছে যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশী সৈন্য সরিয়ে নেয়া হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করবে। অন্যদিকে তারা তালেবানের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করছে না।
ফলে বৈঠকটিতে দুই ধারণার পক্ষে গোলমেলে পরিবেশ তৈরি হবে। সেখানে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যেমন মতৈক্য হবে না, তেমনি সেনাপ্রত্যাহারের সুনির্দিষ্ট তারিখও ঠিক হবে না বলে ফারহাং মনে করেন।
আগামী শনিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবানের মধ্যে সপ্তম দফা আলোচনা শুরুর খবর প্রকাশের প্রেক্ষাপটে চীনে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বড় ধরনের সম্মেলনের আয়োজনের খবর প্রকাশ পেলো।
গত শনিবার পাকিস্তানের লাহোরে আফগান শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এক সম্মেলনে যোগ দেন আফগান রাজনীতিকরা। তাদের মধ্যে গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, আতা মোহাম্মদ নুর, মোহাম্মদ করিম খলিলি, আনোয়ারুল হক আহাদি, হামিদ গিলানি, মোহাম্মদ মোহাকিক, আব্দুল লতিফ পেদরাম, মোহাম্মদ হানিফ আতমার, আহমেদ ওয়ালি মাসুদসহ আরো অনেক যোগ দেন।
রোববারও বৈঠকটি চলে। তালেবানদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তারা এতে যোগ দেয়নি।
আব্দুল ঘানি বারদারের নেতৃত্বে (মাঝে) একটি তালেবান প্রতিনিধি দল সম্প্রতি চীন সফর করে |
No comments