তিন হাজার বছর ধরেই জেরুসালেম ইসরাইলের রাজধানী ছিলো : নেতানিয়াহু
জেরুসালেমকে
ইসরােইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতি
দেয়ার পর থেকে মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদ বিক্ষোভের মাঝেই জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব
অ্যান্টেনিও গুয়েটেরেস সিএনএনকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি
প্রক্রিয়ার উদ্যোগকে ঝুঁকিতে ফেলছে। আর মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সাংঘর্ষিক
পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। এদিকে এই ঘোষণার
প্রতিবাদে আরব ও মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। একটি বিবৃতি দিয়ে
ওই এলাকায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আলোচনার
মাধ্যমেই কেবল এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন পোপ
ফ্রান্সিস। এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁ প্যারিসে একটি
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত না
করার অনুরোধ করেছেন। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর
বক্তব্যের সূত্র ধরে ম্যাক্রঁ বলেন, "আমি তাকে বলছি, অনুগ্রহ করে শান্তি
আনতে আরেকটি সুযোগ দিন। ফিলিস্তিনদের কথা ভাবুন, শান্তি যুক্তরাষ্ট্রের
হাতে নেই। শান্তি রয়েছে দুই দেশের দুই নেতার হাতে- তাদের শান্তি স্থাপনের
উদ্যোগের ওপর।" তবে নেতানিয়াহু আবারো বলেছেন, শান্তির জন্য ফিলিস্তিনদের
অবশ্যই বাস্তবতার মোকাবেলা করতে হবে যে, তার ভাষায় 'জেরুসালেমই ইসরাইলের
রাজধানী'। নেতানিয়াহু বলেন, "গত ৩০০০ বছর ধরেই জেরুসালেম ইসরাইলের রাজধানী
ছিলো এবং এটি কখনোই আর কারো রাজধানী ছিল না।" এদিকে মার্কিন ভাইস
প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের কঠিন সমালোচনা করেছেন বলে
তার মুখপাত্র জানিয়েছেন। জেরুসালেমকে রাজধানী ঘোষণা করার প্রতিবাদে মাইক
পেন্সের সাথে পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে অনীহা প্রকাশ করেছেন ফিলিস্তিনী
প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরুসালেমকে রাজধানী
হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণায় বিশ্বনেতাদের অনেকেই এর নিন্দা জানাচ্ছেন।
পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রের রাজধানী স্বীকৃতি দেয়ার জন্যও
বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ২২টি দেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। প্রতিবাদ হচ্ছে খোদ জেরুসালেমও। এক ফিলিস্তিনি বাস
স্টেশনে ছুরিকাঘাত করে ইসরায়েলি এক নিরাপত্তা প্রহরীকে আহত করার ঘটনা
ঘটেছে। লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের কাছে পুলিশের সাথে
বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয় এবং নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিবাদকারীদের ওপর
টিয়ারগ্যাস ছোড়ে।
জাকার্তা ও বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ
জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতি ঘোষণার প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে গতকাল বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। দেশটির বিভিন্ন শহরেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে এদিন। লেবাননের রাজধানী বৈরুতেও মার্কিন দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামউদ্দিন হুসেইন বলেছেন, জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া পুরো মুসলিম বিশ্বের গালে চপেটাঘাতের শামিল। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে তার দেশের সেনাবাহিনী ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল প্রোসপারাস জাস্টিস পার্টি (পিকেএস) আয়োজন করেছে দেশব্যাপী এই বিক্ষোভের। গত বুধবার ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দানের পর জাকার্তার এই বিক্ষোভ লোক সমাগমের দিক থেকে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। বিক্ষোভকারীরা এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছে। বিক্ষোভকালে ‘আমেরিকা আল কুদস থেকে হট যাও’, ‘জেরুসালেম ও ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি আমরা’সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান লেখা ব্যানার ফেস্টুন বহন করে। এ সময় ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিস্তিনের পতাকাও বহন করে তারা। বিক্ষোভের পর পিকেএসের এক লিখিত বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও অবমাননাকর’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। একই দিন একই সময়ে ইন্দোনেশিয়ার ১০টি প্রাদেশিক রাজধানীতেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গতকাল সকালে জার্কার্তার মার্কিন দূতাবাসের কিছুটা দূরে বিক্ষোভ করে ইন্দোনেশিয়া স্বেচ্ছাসেবী সমাজ নামে একটি সংস্থা। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ট্রাম্পের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে জাতিসঙ্ঘ সনদের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই ফিলিস্তিনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার, এই দেশটির ইসরাইলের সাথে কোনো কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই।
লেবাননে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ
লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও পানিকামান ব্যবহার করেছে। বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে এই ঘটনা ঘটে গতকাল। স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দূতাবাসের প্রধান ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে।
মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত
আলজাজিরা জানায়, মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামউদ্দিন হুসেইন বলেছেন, জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া পুরো মুসলিম বিশ্বের গালে চপেটাঘাতের শামিল। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে তার দেশের সেনাবাহিনী ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। হিশামউদ্দিন বলেছেন, ‘সম্ভাব্য যেকোনো কিছুর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এটিএম (মালয়েশিয়ান আর্মড ফোর্সেস) তৈরি আছে, শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামউদ্দিন হুসেইনের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বার্নামার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘আমরা দোয়া করি, এই বিরোধ যেন সংঘর্ষে রূপ না নেয়।’ - এপি ও আলজাজিরা
জাকার্তা ও বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ
জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতি ঘোষণার প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে গতকাল বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। দেশটির বিভিন্ন শহরেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে এদিন। লেবাননের রাজধানী বৈরুতেও মার্কিন দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামউদ্দিন হুসেইন বলেছেন, জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া পুরো মুসলিম বিশ্বের গালে চপেটাঘাতের শামিল। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে তার দেশের সেনাবাহিনী ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ইন্দোনেশিয়ার ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল প্রোসপারাস জাস্টিস পার্টি (পিকেএস) আয়োজন করেছে দেশব্যাপী এই বিক্ষোভের। গত বুধবার ট্রাম্প জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দানের পর জাকার্তার এই বিক্ষোভ লোক সমাগমের দিক থেকে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। বিক্ষোভকারীরা এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছে। বিক্ষোভকালে ‘আমেরিকা আল কুদস থেকে হট যাও’, ‘জেরুসালেম ও ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি আমরা’সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান লেখা ব্যানার ফেস্টুন বহন করে। এ সময় ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিস্তিনের পতাকাও বহন করে তারা। বিক্ষোভের পর পিকেএসের এক লিখিত বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণাকে ‘বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ও অবমাননাকর’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। একই দিন একই সময়ে ইন্দোনেশিয়ার ১০টি প্রাদেশিক রাজধানীতেও একই ধরনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গতকাল সকালে জার্কার্তার মার্কিন দূতাবাসের কিছুটা দূরে বিক্ষোভ করে ইন্দোনেশিয়া স্বেচ্ছাসেবী সমাজ নামে একটি সংস্থা। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ট্রাম্পের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে জাতিসঙ্ঘ সনদের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই ফিলিস্তিনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার, এই দেশটির ইসরাইলের সাথে কোনো কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই।
লেবাননে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ
লেবাননে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও পানিকামান ব্যবহার করেছে। বৈরুতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে এই ঘটনা ঘটে গতকাল। স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দূতাবাসের প্রধান ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে।
মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত
আলজাজিরা জানায়, মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামউদ্দিন হুসেইন বলেছেন, জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া পুরো মুসলিম বিশ্বের গালে চপেটাঘাতের শামিল। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়লে তার দেশের সেনাবাহিনী ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। হিশামউদ্দিন বলেছেন, ‘সম্ভাব্য যেকোনো কিছুর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এটিএম (মালয়েশিয়ান আর্মড ফোর্সেস) তৈরি আছে, শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিশামউদ্দিন হুসেইনের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বার্নামার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘আমরা দোয়া করি, এই বিরোধ যেন সংঘর্ষে রূপ না নেয়।’ - এপি ও আলজাজিরা
No comments