বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ নিরাপত্তা ঝুঁকি কোরিয়া
বিশ্বের
সবচেয়ে ভয়াবহ নিরাপত্তা ঝুঁকি এখন উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে। এখানে উত্তেজনার
পারদ প্রায় স্ফুটনাংকে। সামান্যতম ভুলে গর্জে উঠতে পারে পারমাণবিক অস্ত্র।
মুহূর্তে সৃষ্টি হতে পারে আরেকটি হিরোশিমা-নাগাসাকি। তাই যুদ্ধকে এড়িয়ে এ
সমস্যাকে দ্রুততার সঙ্গে এবং কূটনৈতিক উপায়ে মিটিয়ে ফেলার ওপর গুরুত্বারোপ
করেছেন জাতিসংঘের একজন শীর্ষ স্থানীয় দূত। তিনি সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া সফর
করেছেন। এমন সফর বিরল। এরপর তিনি ওই সতর্কবাণী দিয়েছেন। ওই কর্মকর্তা হলেন
রাজনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জেফ্রে
ফেল্টম্যান। তিনি গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সফর করেন উত্তর
কোরিয়া। গত ৬ বচরের মধ্যে এটাই জাতিসংঘের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তার উত্তর
কোরিয়া সফর। এ সময়ে তিনি সাক্ষাত করেছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি
ইয়ং হো’র সঙ্গে। এর এক সপ্তাহ আগে উত্তর কোরিয়া দূরপাল্লার একটি
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। তার জবাবে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র
যৌথভাবে সামরিক মহড়া করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশে গর্জন করেছে
যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। উত্তেজনা তখন তুঙ্গে। এমন সময়ে ওই
বৈঠক করেন জেফ্রে। এরপর তারা দু’জনেই একমত জন যে, বর্তমান পরিস্থিতি সবচেয়ে
উত্তেজনাকর। এটা বর্তমান বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্যও সবচেয়ে
বিপদজনক। এমন কথা বলা হয়েছে জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন
সিএনএন। এই উত্তেজনা নিরসনে জেফ্রে ফেল্টম্যান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের
প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আন্তরিক
সংলাপের মধ্য দিয়ে কূটনৈতিক সমাধান বের করা যেতে পারে। সাংবাদিকদের কাছে
দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ভুল হিসাবনিকাশ বন্ধ করতে জরুরি ভিত্তিতে
উন্মুক্ত চ্যানেলের মাধ্যমে ঝুঁকি কমিয়ে আনা জরুরি। তিনি আরো বলেন, কোরিয়
উপদ্বীপ অঞ্চলে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে সে বিষয়ে বিশ্ববাসী উদ্বিগ্ন। সবাই
চান এর একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান। কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকেই প্রতিবেশী দক্ষিণ
কোরিয়ার বিরুদ্ধে কৌশলগত যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
No comments