অভিযোগ মাথায় নিয়ে অবসরে বেরোবি ভিসি
অবশেষে অনেক অভিযোগ মাথায় নিয়ে অবসরে গেলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভিসি একেএম নূর-উন-নবী। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবন ত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয় করাসহ অনেক অনিয়মের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তে প্রমাণিত হয়েছিল। এর আগে চাকরি দাবিকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ১৩ ঘণ্টা অবরোধের মুখে ছিলেন তিনি। অধ্যাপক নূর-উন-নবীর মেয়াদ শেষ হওয়ার দুদিন আগে গত বুধবার সকালে উপাচার্যকে অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, উপাচার্য তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে নিয়োগের আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি। দিনভর অবরুদ্ধ থাকার পর শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ঘেরাও কর্মসূচির পরই অধ্যাপক নূর-উন-নবীর বিরুদ্ধে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ইউজিসি কর্মকর্তারা বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ওই তদন্ত প্রতিবেদনে অধ্যাপক নূর-উন নবীর বিরুদ্ধে অতিরিক্ত আপ্যায়ন খরচ,
ভর্তি পরীক্ষার সম্মানি হিসেবে ‘অনৈতিকভাবে’ বিপুল অংকের অর্থগ্রহণ এবং একটির স্থলে ঢাকা এবং রংপুরে তিনটি গাড়ি ব্যবহারের তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কোষাধাক্ষ্যসহ একাই ১৪ পদ আকড়ে থেকে ‘অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন’ এমন ১৬টি তথ্য উঠে আসে ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে। তবে অধ্যাপক নূর-উন নবী ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার ভাষ্য, "ইউজিসির প্রতিবেদন 'পক্ষপাতমূলক' । শিক্ষকদের একটি পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার সঙ্গে তদন্ত কর্তৃপক্ষ সময় নিয়ে কথা বলে অনুসন্ধান করেনি।" তার মতে, "এই তদন্ত প্রতিবেদনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।" তার আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগের দাবির মুখে আগের উপাচার্য আব্দুল জলিল মিয়াকে সরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক নূর-উন নবীকে ২০১৩ সালের ৬ মে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেয় সরকার।
No comments