'দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইটের' ১০টি তথ্য
ভারত সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে বহুল আলোচিত যোগাযোগ উপগ্রহ 'দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট- জিএসএটি-৯'। স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকাল ৪টা ৫৭ মিনিটে দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। এই স্যাটেলাইট সম্পর্কে ১০টি তথ্য:
১. এই যোগাযোগ স্যাটেলাইটের ওজন ২,২৩০ কেজি যা চারটি বড়সড় হাতির চেয়েও বেশি ভারী। এর নির্মাণ খরচ পড়েছে ৪৫০ কোটি রুপি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সাত প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা এবং আফগানিস্তানের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সংযোগ ঘটাবে। পাকিস্তান এই প্রকল্প থেকে সরে গেছে।
২. প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, 'এই স্যাটেলাইট নির্মাণের উদ্যোগ ছিল আমাদের অংশীদারিত্বের সম্পর্কের সবচেয়ে অগ্রসর পরিসর গড়ে তোলার পথে যাত্রা। আর আমাদের জনগণের প্রয়োজন অগ্রভাগে রাখতে আমাদের সমন্বিত সংকল্পের প্রতীক এটি।'
৩. এই স্যাটেলাইটে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্র প্রধানরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেন, আঞ্চলিক সমন্বয় গড়ে তোলার ব্যাপারে কদাচিৎ কথা হলেও এ উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া সত্যিকারের সমন্বয় শুরু করলো।
৪. এই স্যাটেলাইট ভারতের দিলখোলা উপহার এবং সত্যিকারের নিদর্শন স্বরূপ- এমন মন্তব্য করে ভুটানের শেরিং টোবাগে বলেন, স্যাটেলাইটভিত্তিক যোগাযোগ এখন বিশ্বব্যাপী আদর্শ হয়ে উঠেছে। ভুটানের মতো যেসব দেশের পক্ষে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সম্ভব নয় তাদের জন্য এই স্যাটেলাইট বিশেষ উপকারী হবে।
৫. ভারতের 'প্রতিবেশী প্রথম নীতির' প্রশংসা করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর প্রধানরা 'উপহারের' জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, এটি আমাদের অঞ্চলের সবার জন্য অগ্রগতি বয়ে আনবে।
৬. আজকের উৎক্ষেপণটিকে চীনের মহাকাশ কূটনীতি মোকাবিলায় পাল্টা পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে যোগাযোগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে চীন সহযোগিতা করেছে।
৭. ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (এএসআরও) প্রায় অর্ধশত সেরা মহাকাশ প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানী 'দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট' উৎক্ষেপণের কাজ মনিটর করেছেন। এ স্যাটেলাইট অংশীদার দেশগুলোকে দুর্যোগের সময় উন্নত যোগাযোগ গড়ে তুলতে এবং দেশগুলোর মধ্যে হটলাইন (সরাসরি সংযোগ) চালু করতে সহযোগিতা করবে। এটি টেলিমেডিসিন এবং শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।
৮. 'দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইটের' নতুন প্রোপালসন (নিক্ষেপক) তিন বছর ধরে নির্মিত হয়েছিল। এর জীবনকাল ১২ বছর। যেই জিএসএলভি রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপিত হয়েছে তার ওজন ৪১৪ কেজি এবং এটি ৫০ মিটার লম্বা। এটি জিএসএলভির একাদশতম ফ্লাইট যাকে বিজ্ঞানীরা 'দুষ্টু ছেলে' আখ্যা দেন।
৯. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রতিবেশী দেশগুলোকে উপহার দেয়ার জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের 'সার্ক স্যাটেলাইট' গড়ে তুলতে বলেন।
১০. পাকিস্তান একমাত্র সার্ক সদস্য দেশ যারা নিজস্ব মহাকাশ কর্মসূচির কথা বলে এ প্রকল্প থেকে বেরিয়ে যায়। পাকিস্তানের পাঁচটি স্যাটেলাইট আছে। কিন্তু দেশটির ভারী উৎক্ষেপক এবং স্যাটেলাইট আবিষ্কার সুবিধার অভাব রয়েছে।
১. এই যোগাযোগ স্যাটেলাইটের ওজন ২,২৩০ কেজি যা চারটি বড়সড় হাতির চেয়েও বেশি ভারী। এর নির্মাণ খরচ পড়েছে ৪৫০ কোটি রুপি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার সাত প্রতিবেশী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা এবং আফগানিস্তানের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সংযোগ ঘটাবে। পাকিস্তান এই প্রকল্প থেকে সরে গেছে।
২. প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, 'এই স্যাটেলাইট নির্মাণের উদ্যোগ ছিল আমাদের অংশীদারিত্বের সম্পর্কের সবচেয়ে অগ্রসর পরিসর গড়ে তোলার পথে যাত্রা। আর আমাদের জনগণের প্রয়োজন অগ্রভাগে রাখতে আমাদের সমন্বিত সংকল্পের প্রতীক এটি।'
৩. এই স্যাটেলাইটে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্র প্রধানরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেন, আঞ্চলিক সমন্বয় গড়ে তোলার ব্যাপারে কদাচিৎ কথা হলেও এ উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া সত্যিকারের সমন্বয় শুরু করলো।
৪. এই স্যাটেলাইট ভারতের দিলখোলা উপহার এবং সত্যিকারের নিদর্শন স্বরূপ- এমন মন্তব্য করে ভুটানের শেরিং টোবাগে বলেন, স্যাটেলাইটভিত্তিক যোগাযোগ এখন বিশ্বব্যাপী আদর্শ হয়ে উঠেছে। ভুটানের মতো যেসব দেশের পক্ষে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সম্ভব নয় তাদের জন্য এই স্যাটেলাইট বিশেষ উপকারী হবে।
৫. ভারতের 'প্রতিবেশী প্রথম নীতির' প্রশংসা করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর প্রধানরা 'উপহারের' জন্য নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, এটি আমাদের অঞ্চলের সবার জন্য অগ্রগতি বয়ে আনবে।
৬. আজকের উৎক্ষেপণটিকে চীনের মহাকাশ কূটনীতি মোকাবিলায় পাল্টা পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে যোগাযোগ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে চীন সহযোগিতা করেছে।
৭. ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (এএসআরও) প্রায় অর্ধশত সেরা মহাকাশ প্রকৌশলী এবং বিজ্ঞানী 'দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইট' উৎক্ষেপণের কাজ মনিটর করেছেন। এ স্যাটেলাইট অংশীদার দেশগুলোকে দুর্যোগের সময় উন্নত যোগাযোগ গড়ে তুলতে এবং দেশগুলোর মধ্যে হটলাইন (সরাসরি সংযোগ) চালু করতে সহযোগিতা করবে। এটি টেলিমেডিসিন এবং শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে।
৮. 'দক্ষিণ এশিয়া স্যাটেলাইটের' নতুন প্রোপালসন (নিক্ষেপক) তিন বছর ধরে নির্মিত হয়েছিল। এর জীবনকাল ১২ বছর। যেই জিএসএলভি রকেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপিত হয়েছে তার ওজন ৪১৪ কেজি এবং এটি ৫০ মিটার লম্বা। এটি জিএসএলভির একাদশতম ফ্লাইট যাকে বিজ্ঞানীরা 'দুষ্টু ছেলে' আখ্যা দেন।
৯. প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রতিবেশী দেশগুলোকে উপহার দেয়ার জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের 'সার্ক স্যাটেলাইট' গড়ে তুলতে বলেন।
১০. পাকিস্তান একমাত্র সার্ক সদস্য দেশ যারা নিজস্ব মহাকাশ কর্মসূচির কথা বলে এ প্রকল্প থেকে বেরিয়ে যায়। পাকিস্তানের পাঁচটি স্যাটেলাইট আছে। কিন্তু দেশটির ভারী উৎক্ষেপক এবং স্যাটেলাইট আবিষ্কার সুবিধার অভাব রয়েছে।
No comments