আগ্নেয়াস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ, যুক্তরাষ্ট্রে ফের বিতর্ক by ইব্রাহীম চৌধুরী
আগ্নেয়াস্ত্রের
নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে আবার জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।
দেশটির সংবিধানে নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অধিকার
দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সময় হত্যাকাণ্ডের পর এই অধিকারের
পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা শুরু হয়। এবারও অরেগন অঙ্গরাজ্যে কলেজে ঢুকে এক
দুর্বৃত্তের গুলিতে নয়জন নিহত হওয়ার পর সেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এমন বিতর্কের মধ্যে মার্কিন সিনেটে গত সপ্তাহে আগ্নেয়াস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে একটি আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট সিনেটর চার্লস শুমার ও সিনেটর ডেবি স্টাবেনো এ আইনের প্রস্তাব করেছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, নাগরিকদের জন্য কল্যাণকর একটি আইন প্রণয়নে তাঁরা সক্ষম হবেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনে পুরোনো আইনের সব ফাঁকফোকর বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এটা কতটা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব সে বিষয়ে নিশ্চিত নন কেউই। নিউ জার্সিতে বসবাসরত লেখিকা এন ফেরার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যারা ব্যবসা করে, যারা যুগযুগ ধরে মার্কিন রাজনীতিকে কার্যত নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের স্বার্থের বাইরে কোনো আইন পাস হলে আমি অবাকই হব।’
প্রায় ৩২ কোটি জনসংখ্যার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা দুই কোটি ৭০ লাখ। প্রতিবছর গড়ে ১৫ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটে। তারপরও দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্রের নিয়ন্ত্রণের প্রতি সমর্থন বাড়ছে না। এনবিসি নিউজ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, সমর্থন না বাড়ার কারণ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হওয়া এবং রাজনৈতিক বিতর্ক।
বিদ্যমান আইনে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা মামুলি ব্যাপার। কেন্দ্রীয় আইনে বলা হয়েছে মাতাল, অপরাধী, অবৈধ অভিবাসী, আইনের দৃষ্টিতে পলাতক ও আদালতের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং সহিংসতার কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত ও মানসিক প্রতিবন্ধীরা আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় বা এর মালিকানা অর্জন করতে পারবেন না। এর বাইরে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে কড়াকড়ি আরোপ করে আলাদাভাবে আইন রয়েছে।
এমন বিতর্কের মধ্যে মার্কিন সিনেটে গত সপ্তাহে আগ্নেয়াস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে একটি আইনের প্রস্তাব করা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট সিনেটর চার্লস শুমার ও সিনেটর ডেবি স্টাবেনো এ আইনের প্রস্তাব করেছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, নাগরিকদের জন্য কল্যাণকর একটি আইন প্রণয়নে তাঁরা সক্ষম হবেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনে পুরোনো আইনের সব ফাঁকফোকর বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এটা কতটা এগিয়ে নেওয়া সম্ভব সে বিষয়ে নিশ্চিত নন কেউই। নিউ জার্সিতে বসবাসরত লেখিকা এন ফেরার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যারা ব্যবসা করে, যারা যুগযুগ ধরে মার্কিন রাজনীতিকে কার্যত নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের স্বার্থের বাইরে কোনো আইন পাস হলে আমি অবাকই হব।’
প্রায় ৩২ কোটি জনসংখ্যার দেশ যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা দুই কোটি ৭০ লাখ। প্রতিবছর গড়ে ১৫ হাজারের বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটে। তারপরও দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্রের নিয়ন্ত্রণের প্রতি সমর্থন বাড়ছে না। এনবিসি নিউজ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, সমর্থন না বাড়ার কারণ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন না হওয়া এবং রাজনৈতিক বিতর্ক।
বিদ্যমান আইনে কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করা মামুলি ব্যাপার। কেন্দ্রীয় আইনে বলা হয়েছে মাতাল, অপরাধী, অবৈধ অভিবাসী, আইনের দৃষ্টিতে পলাতক ও আদালতের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং সহিংসতার কারণে দণ্ডপ্রাপ্ত, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত ও মানসিক প্রতিবন্ধীরা আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয় বা এর মালিকানা অর্জন করতে পারবেন না। এর বাইরে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে কড়াকড়ি আরোপ করে আলাদাভাবে আইন রয়েছে।
No comments