আইএস বিভ্রান্তি কাটছে না by মো. আসাদুজ্জামান
‘বিরাজমান
গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থাকে উৎখাত করে খিলাফত রাষ্ট্র গঠনের’ লক্ষ্যে
তৎপরতা এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে
সিরিয়া-ইরাকভিত্তিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘আইএসের সমন্বয়ক’ শাফায়াতুল কবীরসহ
সংগঠনের চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানায় করা একটি মামলায় {নম্বর-৪৩(১) ২০১৫} দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক এ কে এম কামরুল আহসান গত ১৫ মে এই অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ইতিমধ্যে এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন। বাকি তিন আসামি হলেন আনোয়ার হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। আসামিরা সবাই কারাগারে আছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ জব্দকৃত আলামত, সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে যে, উল্লিখিত আসামিরা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। এক নম্বর আসামি শাফায়াতুল জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক। সে পাকিস্তান হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জেএমবির পাশাপাশি আইএসআইএস-এর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে। তারা জেএমবি ও আইএসআইএসের মতাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গোপনে বিভিন্ন ভিডিও প্রদর্শন ও জিহাদি লিফলেট বিতরণ করেছে।’
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে গোপনে অর্থ ও কর্মী সংগ্রহ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর হামলা করে ক্ষতিসাধন ও হুমকির সৃষ্টি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও যোগদানের অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার খানবাড়ী চৌরাস্তায় মৃত মো. খানের বাড়িতে জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক শাফায়াতুল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএসের দিকনির্দেশনা মোতাবেক সদস্য সংগ্রহের জন্য গোপনে বৈঠক করছিলেন। ওই বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে আইএসআইএস-সম্পর্কিত জিহাদি প্রচারপত্র, তাঁর ল্যাপটপে আইএসআইএস-সংক্রান্ত প্রচুর ভিডিও জব্দ করা হয়।
* এক মামলায় আইএস ‘সমন্বয়ক’ ও ‘সক্রিয় সদস্য’ হিসেবে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
* আরেক মামলার আসামিকে বলা হয়েছে আইএসের সমন্বয়ক
মামলাটি ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। অভিযোগ গঠনের শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম।
অবশ্য এর আগে-পরে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইএসে যুক্ত থাকার অভিযোগে বা আইএস সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছিল, যা তখন সংবাদ ব্রিফিং করে ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।
সম্প্রতি ঢাকায় ও রংপুরে দুই বিদেশি নাগরিক খুন হওয়া এবং তার পরপর আইএসআইএসের কথিত দায় স্বীকারের পর এ দেশে আইএসের অস্তিত্ব আছে কি না, এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে বলা হয়েছে যে এ দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই।
অথচ পাঁচ মাস আগে দেওয়া যাত্রাবাড়ী থানার ওই মামলার অভিযোগপত্রে পুলিশই বলেছে, আসামিরা আইএসে জড়িত তা তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। এই অবস্থায় আইএসের অস্তিত্ব নিয়ে পুলিশের বক্তব্য কি—তা জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুনতাসীরুল ইসলাম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগপত্রে আদৌ আসামিদের আইএসের সদস্য লেখা হয়েছে কি না, তা গণমাধ্যমে সঠিকভাবে, নির্ভুলভাবে উপস্থাপনের স্বার্থে আমার দেখে মন্তব্য করা প্রয়োজন। এ জন্য আমাকে জানতে হবে, পড়তে হবে।’
আর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ডিবির পরিদর্শক) এ কে এম কামরুল আহসান বলেন, ‘পুরো ঘটনা আমার মনে নেই।’
আরও মামলা: গত মে মাসে আমিনুল ইসলাম বেগ, সাকিব বিন কামাল, ফিদা মুনতাসীর যাকের ও আবদুল্লাহ আল গালিব নামে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন ডিবির পরিদর্শক মো. শাহাদত হোসেন খান। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৪ মে উত্তরা পশ্চিম মডেল থানার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে আমিনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন আমিনুল পুলিশকে জানান যে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আইএসের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে উত্তরার বাসায় বসে প্রশিক্ষণ দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে লালমাটিয়ার সাকিব বিন কামাল, আতিক সরকার, সিফাত, আবদুল্লাহ, জাবেদ কায়সারসহ ১৫-২০ জন সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করে থাকেন।
পরে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক মনির হোসেন মোল্লা আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আইএসের সমন্বয়ক হিসেবে সাকিব বিন কামাল দায়িত্ব পালন করছেন। আসামিরা (সাকিব ও আমিনুল) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কর্মী সংগ্রহ করে আইএস সম্পর্কে ধারণা দিয়ে তাঁদের তুরস্কে পাঠান।
আসামিদের আইএস সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন মোল্লা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামিদের একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। যা পেয়েছি তা আদালতকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানিয়েছি।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইএস আছে কি নেই, এ নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য আমরা দেখছি। একদিকে পুলিশ অভিযোগপত্র দিচ্ছে, আবার বলা হচ্ছে আইএস নাই। এটা বিভ্রান্তিকর। এটা কেবল আমাদের বিভ্রান্তিতে ফেলছে না, যাঁরা বিদেশি আছেন, তাঁদেরও বিভ্রান্ত করছে।’
যাত্রাবাড়ী থানায় করা একটি মামলায় {নম্বর-৪৩(১) ২০১৫} দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক এ কে এম কামরুল আহসান গত ১৫ মে এই অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ইতিমধ্যে এই অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন। বাকি তিন আসামি হলেন আনোয়ার হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। আসামিরা সবাই কারাগারে আছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ জব্দকৃত আলামত, সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে যে, উল্লিখিত আসামিরা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। এক নম্বর আসামি শাফায়াতুল জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক। সে পাকিস্তান হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জেএমবির পাশাপাশি আইএসআইএস-এর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে। তারা জেএমবি ও আইএসআইএসের মতাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গোপনে বিভিন্ন ভিডিও প্রদর্শন ও জিহাদি লিফলেট বিতরণ করেছে।’
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে গোপনে অর্থ ও কর্মী সংগ্রহ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর হামলা করে ক্ষতিসাধন ও হুমকির সৃষ্টি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও যোগদানের অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার খানবাড়ী চৌরাস্তায় মৃত মো. খানের বাড়িতে জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক শাফায়াতুল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএসের দিকনির্দেশনা মোতাবেক সদস্য সংগ্রহের জন্য গোপনে বৈঠক করছিলেন। ওই বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে আইএসআইএস-সম্পর্কিত জিহাদি প্রচারপত্র, তাঁর ল্যাপটপে আইএসআইএস-সংক্রান্ত প্রচুর ভিডিও জব্দ করা হয়।
* এক মামলায় আইএস ‘সমন্বয়ক’ ও ‘সক্রিয় সদস্য’ হিসেবে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
* আরেক মামলার আসামিকে বলা হয়েছে আইএসের সমন্বয়ক
মামলাটি ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। অভিযোগ গঠনের শুনানির পর্যায়ে রয়েছে। গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম।
অবশ্য এর আগে-পরে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইএসে যুক্ত থাকার অভিযোগে বা আইএস সন্দেহে গ্রেপ্তার করেছিল, যা তখন সংবাদ ব্রিফিং করে ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল।
সম্প্রতি ঢাকায় ও রংপুরে দুই বিদেশি নাগরিক খুন হওয়া এবং তার পরপর আইএসআইএসের কথিত দায় স্বীকারের পর এ দেশে আইএসের অস্তিত্ব আছে কি না, এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে বলা হয়েছে যে এ দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই।
অথচ পাঁচ মাস আগে দেওয়া যাত্রাবাড়ী থানার ওই মামলার অভিযোগপত্রে পুলিশই বলেছে, আসামিরা আইএসে জড়িত তা তদন্তে প্রমাণ মিলেছে। এই অবস্থায় আইএসের অস্তিত্ব নিয়ে পুলিশের বক্তব্য কি—তা জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুনতাসীরুল ইসলাম গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযোগপত্রে আদৌ আসামিদের আইএসের সদস্য লেখা হয়েছে কি না, তা গণমাধ্যমে সঠিকভাবে, নির্ভুলভাবে উপস্থাপনের স্বার্থে আমার দেখে মন্তব্য করা প্রয়োজন। এ জন্য আমাকে জানতে হবে, পড়তে হবে।’
আর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ডিবির পরিদর্শক) এ কে এম কামরুল আহসান বলেন, ‘পুরো ঘটনা আমার মনে নেই।’
আরও মামলা: গত মে মাসে আমিনুল ইসলাম বেগ, সাকিব বিন কামাল, ফিদা মুনতাসীর যাকের ও আবদুল্লাহ আল গালিব নামে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেন ডিবির পরিদর্শক মো. শাহাদত হোসেন খান। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২৪ মে উত্তরা পশ্চিম মডেল থানার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে আমিনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন আমিনুল পুলিশকে জানান যে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আইএসের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে উত্তরার বাসায় বসে প্রশিক্ষণ দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে লালমাটিয়ার সাকিব বিন কামাল, আতিক সরকার, সিফাত, আবদুল্লাহ, জাবেদ কায়সারসহ ১৫-২০ জন সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করে থাকেন।
পরে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক মনির হোসেন মোল্লা আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আইএসের সমন্বয়ক হিসেবে সাকিব বিন কামাল দায়িত্ব পালন করছেন। আসামিরা (সাকিব ও আমিনুল) দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কর্মী সংগ্রহ করে আইএস সম্পর্কে ধারণা দিয়ে তাঁদের তুরস্কে পাঠান।
আসামিদের আইএস সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা মনির হোসেন মোল্লা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসামিদের একাধিকবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। যা পেয়েছি তা আদালতকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানিয়েছি।’
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইএস আছে কি নেই, এ নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য আমরা দেখছি। একদিকে পুলিশ অভিযোগপত্র দিচ্ছে, আবার বলা হচ্ছে আইএস নাই। এটা বিভ্রান্তিকর। এটা কেবল আমাদের বিভ্রান্তিতে ফেলছে না, যাঁরা বিদেশি আছেন, তাঁদেরও বিভ্রান্ত করছে।’
No comments