ছাত্রলীগের জন্য মেডিকেল কলেজ বন্ধ- প্রশাসন কেন কঠোর হবে না?
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা |
ছাত্রলীগের
দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর
রহমান মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্র হোস্টেলের ডাইনিংয়ের
কর্তৃত্ব নিয়ে সংঘাতে সাতজন আহত হয়েছেন এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা
কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ৪ অক্টোবর দুই পক্ষের সংঘর্ষের
কারণে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। ছাত্রলীগের কারণে দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল
কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্রলীগের ওই সব নেতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা নেওয়ার দায় রয়েছে সরকারের।
ডাইনিংয়ের ম্যানেজার কে হবে তা ঠিক করা ছাত্রলীগের কাজ নয়। কিন্তু তা নিয়েই দুটি পক্ষ হয়েছে এবং তারা মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িতও হয়েছে। শুধু দুটি মেডিকেল কলেজই নয়, গত জুলাই মাসে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সেপ্টেম্বর মাসে সিলেটের কানাইঘাট কলেজও ছাত্রলীগের দলাদলিতে বন্ধ হয়ে যায়। বলা দরকার, ঈদের ছুটির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আবার বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা চরম হতাশ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার ও ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগ এসব সংঘাত ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। প্রশ্ন হচ্ছে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মীর অসাধু অভিলাষের খেসারত সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন দেবেন? বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ ছাড়া আর কোনো সংগঠনের প্রকাশ্য কার্যক্রম নেই। যেখানেই ছাত্রলীগের শিক্ষাবিরোধী ভূমিকা দেখা যাবে, সেখানেই ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে পারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। তা ছাড়া শিক্ষা-প্রশাসনেরও উচিত সন্ত্রাস দমন করা, শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা নয়। কিন্তু উপাচার্য, প্রিন্সিপাল প্রভৃতি শীর্ষ পদাধিকারীরা কার্যত ছাত্রলীগকে ভয় পান। এ কারণেই এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও পুলিশ প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।
শহীদ জিয়াউর রহমান ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ দ্রুত খুলে দেওয়া হোক এবং সন্ত্রাসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
ডাইনিংয়ের ম্যানেজার কে হবে তা ঠিক করা ছাত্রলীগের কাজ নয়। কিন্তু তা নিয়েই দুটি পক্ষ হয়েছে এবং তারা মারাত্মক সংঘর্ষে জড়িতও হয়েছে। শুধু দুটি মেডিকেল কলেজই নয়, গত জুলাই মাসে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সেপ্টেম্বর মাসে সিলেটের কানাইঘাট কলেজও ছাত্রলীগের দলাদলিতে বন্ধ হয়ে যায়। বলা দরকার, ঈদের ছুটির পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আবার বন্ধ হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা চরম হতাশ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার ও ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগ এসব সংঘাত ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। প্রশ্ন হচ্ছে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতা-কর্মীর অসাধু অভিলাষের খেসারত সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন দেবেন? বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ ছাড়া আর কোনো সংগঠনের প্রকাশ্য কার্যক্রম নেই। যেখানেই ছাত্রলীগের শিক্ষাবিরোধী ভূমিকা দেখা যাবে, সেখানেই ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে পারে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। তা ছাড়া শিক্ষা-প্রশাসনেরও উচিত সন্ত্রাস দমন করা, শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করা নয়। কিন্তু উপাচার্য, প্রিন্সিপাল প্রভৃতি শীর্ষ পদাধিকারীরা কার্যত ছাত্রলীগকে ভয় পান। এ কারণেই এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও পুলিশ প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপের প্রয়োজন।
শহীদ জিয়াউর রহমান ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ দ্রুত খুলে দেওয়া হোক এবং সন্ত্রাসের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
No comments