মেসেজ পরিষ্কার by সাজেদুল হক
জোয়ার-ভাটার
এই দেশ। অতীতে বহু সংকট মোকাবিলা করেছে সাহসিকতার সঙ্গে। বিরুদ্ধ প্রকৃতির
সঙ্গে এ অঞ্চলের মানুষের লড়াই প্রশংসিত হয়েছে বারবার। মানবসৃষ্ট দুর্যোগও
কম মোকাবিলা করিনি আমরা।
এই সত্য অস্বীকার করার জো নেই, বাংলাদেশ একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। যদিও এ সংকট এসেছে অনেকটা হুট করেই। সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। ২৮শে সেপ্টেম্বর সিজার তাভেলার দুঃখজনক হত্যাকাণ্ড ওলট-পালট করে দেয় পরিস্থিতি। এক সপ্তাহের মধ্যে জাপানি নাগরিকের হত্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর বাতিলের মতো দুঃসংবাদও আমরা পেয়েছি।
এসব হত্যাকা-ের পর পশ্চিমা দুনিয়া যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা নিয়ে নানান আলোচনা চলছে। সর্বশেষ যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর আরও নির্বিচার হামলার শঙ্কা প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও তা যে এখনও খুব বেশি কাজে দেয়নি যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ বার্তাই তার প্রমাণ। ঢাকায় নিযুক্ত ওআইসিভুক্ত এক রাষ্ট্রদূতের বরাতে একটি সহযোগী দৈনিক দুটি বিষয়ের ওপর দৃষ্টিপাত করেছে। পশ্চিমা কূটনীতিকদের কেউ কেউ বিশ্বাস করেন বাংলাদেশে দুই বিদেশী নাগরিক হত্যায় আইএস জড়িত। যদিও বাংলাদেশ সরকার সুস্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশে আইএসের কোন অস্তিত্ব নেই। দ্বিতীয়ত, এসব হত্যাকা-ে বিএনপি-জামায়াতকে জড়ানোর চেষ্টা ভাল চোখে দেখছে না, পশ্চিমা কূটনীতিকদের একটি অংশ।
গত দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ সরকার দুটি বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ১. এসব হত্যাকা-ে আইএস জড়িত নয়। বাংলাদেশে আইএসের কোন অস্তিত্ব নেই। ২. বিএনপি-জামায়াতের মদতে এ হত্যাকা- হয়েছে। তবে আজই একটি সহযোগী দৈনিকে খবর বেরিয়েছে, যাত্রাবাড়ী থানায় করা একটি মামলায় {নম্বর-৪৩(১) ২০১৫} দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক এ কে এম কামরুল আহসান গত ১৫ই মে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ইতিমধ্যে এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন। শাফায়াতুল কবির, আনোয়ার হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম ও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দেয়া হয়। ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে গোপনে অর্থ ও কর্মী সংগ্রহ, সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর হামলা করে ক্ষতিসাধন ও হুমকির সৃষ্টি, সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও যোগদানের অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।’ মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার খানবাড়ী চৌরাস্তায় মৃত মো. খানের বাড়িতে জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক শাফায়াতুল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসের দিকনির্দেশনা মোতাবেক সদস্য সংগ্রহের জন্য গোপনে বৈঠক করছিলেন। ওই বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে আইএসআইএস-সম্পর্কিত জেহাদি প্রচারপত্র, তার ল্যাপটপে আইএস-সংক্রান্ত প্রচুর ভিডিও জব্দ করা হয়।’
দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার এতদিন পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিষ্কার করে বলেনি এসব হত্যায় কারা জড়িত। ঢাকার আকাশে নানা কথা উড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব হত্যার রহস্য উদঘাটনে আর বেশি সময় লাগবে না। গতকাল অন্তত তিনজন মন্ত্রী বিদেশী নাগরিক হত্যায় বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করে বক্তব্য দিয়েছেন। গত কয়েক দিনে এ ধরনের একটি থিওরিও দাঁড় করানো হয়েছে। দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার পর প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া জামায়াত এবং ঘুমন্ত বিএনপিকে নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে। এ আলোচনা কতদূর যায় তাই এখন দেখার বিষয়।
এই সত্য অস্বীকার করার জো নেই, বাংলাদেশ একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। যদিও এ সংকট এসেছে অনেকটা হুট করেই। সবকিছু ঠিকঠাক মতোই চলছিল। ২৮শে সেপ্টেম্বর সিজার তাভেলার দুঃখজনক হত্যাকাণ্ড ওলট-পালট করে দেয় পরিস্থিতি। এক সপ্তাহের মধ্যে জাপানি নাগরিকের হত্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর বাতিলের মতো দুঃসংবাদও আমরা পেয়েছি।
এসব হত্যাকা-ের পর পশ্চিমা দুনিয়া যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা নিয়ে নানান আলোচনা চলছে। সর্বশেষ যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর আরও নির্বিচার হামলার শঙ্কা প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বারবার বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করলেও তা যে এখনও খুব বেশি কাজে দেয়নি যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ বার্তাই তার প্রমাণ। ঢাকায় নিযুক্ত ওআইসিভুক্ত এক রাষ্ট্রদূতের বরাতে একটি সহযোগী দৈনিক দুটি বিষয়ের ওপর দৃষ্টিপাত করেছে। পশ্চিমা কূটনীতিকদের কেউ কেউ বিশ্বাস করেন বাংলাদেশে দুই বিদেশী নাগরিক হত্যায় আইএস জড়িত। যদিও বাংলাদেশ সরকার সুস্পষ্ট ভাষাতেই জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশে আইএসের কোন অস্তিত্ব নেই। দ্বিতীয়ত, এসব হত্যাকা-ে বিএনপি-জামায়াতকে জড়ানোর চেষ্টা ভাল চোখে দেখছে না, পশ্চিমা কূটনীতিকদের একটি অংশ।
গত দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ সরকার দুটি বিষয়ে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ১. এসব হত্যাকা-ে আইএস জড়িত নয়। বাংলাদেশে আইএসের কোন অস্তিত্ব নেই। ২. বিএনপি-জামায়াতের মদতে এ হত্যাকা- হয়েছে। তবে আজই একটি সহযোগী দৈনিকে খবর বেরিয়েছে, যাত্রাবাড়ী থানায় করা একটি মামলায় {নম্বর-৪৩(১) ২০১৫} দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক এ কে এম কামরুল আহসান গত ১৫ই মে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ইতিমধ্যে এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন। শাফায়াতুল কবির, আনোয়ার হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম ও নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দেয়া হয়। ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে গোপনে অর্থ ও কর্মী সংগ্রহ, সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর হামলা করে ক্ষতিসাধন ও হুমকির সৃষ্টি, সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও যোগদানের অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।’ মামলার এজাহারে বলা হয়, ‘গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার খানবাড়ী চৌরাস্তায় মৃত মো. খানের বাড়িতে জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক শাফায়াতুল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসের দিকনির্দেশনা মোতাবেক সদস্য সংগ্রহের জন্য গোপনে বৈঠক করছিলেন। ওই বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে আইএসআইএস-সম্পর্কিত জেহাদি প্রচারপত্র, তার ল্যাপটপে আইএস-সংক্রান্ত প্রচুর ভিডিও জব্দ করা হয়।’
দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার এতদিন পরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিষ্কার করে বলেনি এসব হত্যায় কারা জড়িত। ঢাকার আকাশে নানা কথা উড়ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব হত্যার রহস্য উদঘাটনে আর বেশি সময় লাগবে না। গতকাল অন্তত তিনজন মন্ত্রী বিদেশী নাগরিক হত্যায় বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করে বক্তব্য দিয়েছেন। গত কয়েক দিনে এ ধরনের একটি থিওরিও দাঁড় করানো হয়েছে। দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার পর প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া জামায়াত এবং ঘুমন্ত বিএনপিকে নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে। এ আলোচনা কতদূর যায় তাই এখন দেখার বিষয়।
No comments