অচল ডাকসু, সচল ফি by ফররুখ মাহমুদ
দীর্ঘ
২৫ বছর ধরে অচল রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও
হল ছাত্র সংসদগুলো। কিন্তু নিয়মিতই ছাত্র সংসদের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ
থেকে আদায় করা হচ্ছে নির্ধারিত ফি। বাজেটেও বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ রাখা
হচ্ছে। প্রতিবছর বাড়ছে বরাদ্দের পরিমাণও। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ছাত্র
সংসদগুলোর নামে আদায়কৃত ফি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
কর্তৃপক্ষের দাবি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এসব অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোন ব্যয়ের খাত তারা দেখাতে পারেননি। এদিকে হলগুলোতে ছাত্র সংসদের নামে কোন অফিস বরাদ্দ নেই। এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ডাকসুর নামে কত টাকা খরচ হচ্ছে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ডাকসু নির্বাচন। ডাকসু নির্বাচনের দরকার আছে। কেননা ছাত্র সংসদগুলো ছাড়া কোন বিশ্ববিদ্যালয় সুস্থ থাকতে পারে না। বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ সক্রিয় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শ্রেণীকক্ষমুখী হলে চলবে না। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচনের সময় একটা উৎসবমুখর পরিবেশ কাজ করে। ছাত্র সংসদ না থাকলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী কিভাবে অবসর কাটাচ্ছে তা জানতে পারি না। তাই অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি। না হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষিতদের বস্তিতে পরিণত হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নির্বাচিত হওয়ার পর অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তা বাস্তবায়ন হয় নি। এসব বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্র সংসদগুলোর নামে যে অর্থ সংগ্রহ করা হয় এবং বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয় সেগুলো শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নানা সংগঠন রয়েছে। সেগুলোর কার্যক্রমেও এ অর্থ ব্যয় করা হয়। ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কে ভিসি বলেন, সুনির্দিষ্ট করে তারিখ বলা যায় না। তবে চেষ্টা করছি। দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদগুলো বন্ধ থাকলেও এর নামে ফি আদায়কে অযৌক্তিক দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আল ইমরান বলেন, ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদগুলো যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে তার নামে ফি আদায় অনৈতিক। কারণ এ অর্থ কোথায় ব্যয় করা হবে তার কোন উল্লেখ নেই। এ ছাড়া হলগুলোতে ছাত্র সংসদের নামে কোন কক্ষও কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ দেয়নি। তাই অবিলম্বে হয় ডাকসু নির্বাচনসহ সকল ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিতে হবে না হলে অবৈধ ফি আদায় বন্ধ করতে হবে বলে জোর দাবি জানান তিনি।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ভর্তির সময় প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হল ইউনিয়ন ফি ও বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়ন ফি নামে ৬০ টাকা করে মোট ১২০ টাকা আদায় করা হয়। অর্থাৎ বছর প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪২ লাখ টাকা। সে হিসাবে গত ২৫ বছরে ডাকসু ফান্ডে জমা হওয়ার কথা প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এদিকে বাজেটেও রাখা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ডাকসু’র জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে
বরাদ্দ ৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। হল ছাত্র সংসদের জন্য ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি হল এবং ২টি হোস্টেলে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। হল ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ শিরোনামে বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি হলে মোট ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও শহীদুল্লাহ হল, জগন্নাথ হল ও রোকেয়া হলে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এসব হলে গত অর্থবছরে বাজেট ছিল ২৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা, বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে ২০ হাজার টাকা, কবি সুফিয়া কামাল হলে ২০ হাজার টাকা, বিজয় ’৭১ হলে ২০ হাজার টাকা, নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী ছাত্রীনিবাসে ২০ হাজার টাকা, আইবিএ হোস্টেলে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিজয় ’৭১ হলে এ বছর শিক্ষার্থীদের নামে সিট বরাদ্দ দেয়া হলেও ছাত্র সংসদের নামে গত বছর থেকেই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
১৯৯০ সালের ৬ই জুন সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ বছর ধরে ডাকসু বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত ফি আদায়ে ডাকসু’র ফান্ডে প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা জমা থাকার কথা। কারণ নিয়মানুযায়ী নির্বাচিত ভিপি ও জিএস এর স্বাক্ষর ছাড়া এ অর্থ উত্তোলন করা যাবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ছাত্রসংসদ ফান্ডে বর্তমানে কোন টাকা জমা নেই। এসব অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরে নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। ডাকসু’র নির্বাচিত ভিপি ও জিএস এর স্বাক্ষর ছাড়া এই অর্থ উত্তোলন করা যাবে না উল্লেখ করলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারই ডাকসু’র ট্রেজারার। তাই তিনি অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। প্রতি বছর ডাকসু’র নামে ফি আদায় করা হলেও এর ফান্ডে কোন টাকা জমা নাই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাকসু যতদিন থাকবে ততদিন তার নামে বরাদ্দ দেয়া হবে। তবে ফান্ডে কোন টাকা জমা হবে না। কারণ ডাকসু বন্ধ রয়েছে। ডাকসু চালু হলে তাদের যে টাকা দরকার হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চাইলে তাদের সে টাকা দেয়া হবে। অতীতে বরাদ্দকৃত অর্থ ডাকসু পাবে না বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ডাকসু ভবনে পত্রিকা ও কর্মচারী, হল ছাত্র সংসদগুলোর নামে পত্রিকা ও কর্মচারীদের বেতন এই ফান্ড থেকে দেয়া হয়। প্রতি বছর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এ ফান্ড থেকে খরচ করা হয় বলে জানান তিনি।
কর্তৃপক্ষের দাবি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এসব অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোন ব্যয়ের খাত তারা দেখাতে পারেননি। এদিকে হলগুলোতে ছাত্র সংসদের নামে কোন অফিস বরাদ্দ নেই। এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ডাকসুর নামে কত টাকা খরচ হচ্ছে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ডাকসু নির্বাচন। ডাকসু নির্বাচনের দরকার আছে। কেননা ছাত্র সংসদগুলো ছাড়া কোন বিশ্ববিদ্যালয় সুস্থ থাকতে পারে না। বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ সক্রিয় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শ্রেণীকক্ষমুখী হলে চলবে না। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ ঘটানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচনের সময় একটা উৎসবমুখর পরিবেশ কাজ করে। ছাত্র সংসদ না থাকলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী কিভাবে অবসর কাটাচ্ছে তা জানতে পারি না। তাই অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি। না হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষিতদের বস্তিতে পরিণত হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নির্বাচিত হওয়ার পর অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তা বাস্তবায়ন হয় নি। এসব বিষয়ে তিনি বলেন, ছাত্র সংসদগুলোর নামে যে অর্থ সংগ্রহ করা হয় এবং বাজেটে যে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয় সেগুলো শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নানা সংগঠন রয়েছে। সেগুলোর কার্যক্রমেও এ অর্থ ব্যয় করা হয়। ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কে ভিসি বলেন, সুনির্দিষ্ট করে তারিখ বলা যায় না। তবে চেষ্টা করছি। দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদগুলো বন্ধ থাকলেও এর নামে ফি আদায়কে অযৌক্তিক দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আল ইমরান বলেন, ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদগুলো যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে তার নামে ফি আদায় অনৈতিক। কারণ এ অর্থ কোথায় ব্যয় করা হবে তার কোন উল্লেখ নেই। এ ছাড়া হলগুলোতে ছাত্র সংসদের নামে কোন কক্ষও কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ দেয়নি। তাই অবিলম্বে হয় ডাকসু নির্বাচনসহ সকল ছাত্রসংসদ নির্বাচন দিতে হবে না হলে অবৈধ ফি আদায় বন্ধ করতে হবে বলে জোর দাবি জানান তিনি।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ভর্তির সময় প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হল ইউনিয়ন ফি ও বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়ন ফি নামে ৬০ টাকা করে মোট ১২০ টাকা আদায় করা হয়। অর্থাৎ বছর প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৪২ লাখ টাকা। সে হিসাবে গত ২৫ বছরে ডাকসু ফান্ডে জমা হওয়ার কথা প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এদিকে বাজেটেও রাখা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ডাকসু’র জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে
বরাদ্দ ৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। হল ছাত্র সংসদের জন্য ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি হল এবং ২টি হোস্টেলে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। হল ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দ শিরোনামে বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি হলে মোট ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হলেও শহীদুল্লাহ হল, জগন্নাথ হল ও রোকেয়া হলে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এসব হলে গত অর্থবছরে বাজেট ছিল ২৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫ হাজার টাকা, বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে ২০ হাজার টাকা, কবি সুফিয়া কামাল হলে ২০ হাজার টাকা, বিজয় ’৭১ হলে ২০ হাজার টাকা, নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরাণী ছাত্রীনিবাসে ২০ হাজার টাকা, আইবিএ হোস্টেলে ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিজয় ’৭১ হলে এ বছর শিক্ষার্থীদের নামে সিট বরাদ্দ দেয়া হলেও ছাত্র সংসদের নামে গত বছর থেকেই অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
১৯৯০ সালের ৬ই জুন সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ বছর ধরে ডাকসু বন্ধ রয়েছে। নিয়মিত ফি আদায়ে ডাকসু’র ফান্ডে প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা জমা থাকার কথা। কারণ নিয়মানুযায়ী নির্বাচিত ভিপি ও জিএস এর স্বাক্ষর ছাড়া এ অর্থ উত্তোলন করা যাবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালক আশরাফ উদ্দিন বলেন, ছাত্রসংসদ ফান্ডে বর্তমানে কোন টাকা জমা নেই। এসব অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ধরে নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। ডাকসু’র নির্বাচিত ভিপি ও জিএস এর স্বাক্ষর ছাড়া এই অর্থ উত্তোলন করা যাবে না উল্লেখ করলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারই ডাকসু’র ট্রেজারার। তাই তিনি অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। প্রতি বছর ডাকসু’র নামে ফি আদায় করা হলেও এর ফান্ডে কোন টাকা জমা নাই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাকসু যতদিন থাকবে ততদিন তার নামে বরাদ্দ দেয়া হবে। তবে ফান্ডে কোন টাকা জমা হবে না। কারণ ডাকসু বন্ধ রয়েছে। ডাকসু চালু হলে তাদের যে টাকা দরকার হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চাইলে তাদের সে টাকা দেয়া হবে। অতীতে বরাদ্দকৃত অর্থ ডাকসু পাবে না বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ডাকসু ভবনে পত্রিকা ও কর্মচারী, হল ছাত্র সংসদগুলোর নামে পত্রিকা ও কর্মচারীদের বেতন এই ফান্ড থেকে দেয়া হয়। প্রতি বছর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা এ ফান্ড থেকে খরচ করা হয় বলে জানান তিনি।
No comments