১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় ভারত-চীন সীমান্ত বৈঠক
ভারত ও চীনের পঞ্চম সীমান্ত বৈঠক হিমালয় পর্বতের ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ বিমানক্ষেত্র দৌলত বেগ ওলদাইতে (ডিবিও) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এনডিটিভি জানিয়েছে, রোববার ভারতীয় কাশ্মীরের লাদাখ সীমান্তের ওই বিমানক্ষেত্রে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকটিতে ভারত ও চীনের সামরিক কমান্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। ভারতের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বৈঠকটিকে ‘জটিল’ বলে উল্লেখ করেছেন। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকটিতে টহলদার সীমান্তরক্ষীদের ‘অসাবধানতাবশত অনুপ্রবেশ’ ও তা নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসন করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে ডিবিও সীমান্তের ভারতীয় অংশ চুমুরে স্থাপনা তৈরি সময় চীনারা আপত্তি জানায়। এ নিয়ে সীমান্তে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
তিন সপ্তাহ ধরে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে থাকলে সীমান্তজুড়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। উত্তর লাদাখের ১৬ হাজার ফুট উচ্চতার ডিবিও বিমানক্ষেত্রটি থেকে কারাকোরাম পাসের ওপর নজরদারি করা যায়। কাশ্মীরের লেহ ও চীনের শিনজিয়াংয়ের মধ্যে বাণিজ্যপথ হিসেবে পাসটি প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গত এক বছরে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত বৈঠকের নতুন যে দুটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে ডিবিও তার একটি। অপরটি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব প্রান্তের জেলা আনজ-র কিবিথু। চলতি বছরের মে-তে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চীন সফরকালীন সময়ে ভারত ও চীনা সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে দু’দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সীমান্ত বৈঠকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সীমান্তে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে ভারতের নতুন বিজেপি সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ভারত-চীন সীমান্ত বিতর্ক দীর্ঘদিনের। পূর্ব ও পশ্চিম মিলিয়ে চীনের সঙ্গে ৪ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে ভারত। বেইজিংয়ের দাবি, সমস্যাটা মূলত পূর্ব সীমান্তেই সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ অরুণাচল প্রদেশের অংশ নিয়ে যে বিবাদ, যাকে চীন তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু ভারত পাল্টা জানিয়ে দেয়, সমস্যা রয়েছে পশ্চিমেও। নয়াদিল্লির মতে, ১৯৬২ সালের যুদ্ধে অকসাই চীনের যে অংশ বেইজিং দখল করে রেখেছে, সেই নিয়েও সমাধান প্রয়োজন।
No comments