চীন মৈত্রী প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু: এবার টোলমুক্ত করতে অবরোধ
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু অবরোধ করায় মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েন যানবাহনের যাত্রীরা। সেতু টোলমুক্ত করার দাবিতে গতকাল ওই সেতু অবরোধ করেন পরিবহনচালক ও শ্রমিকেরা l ছবি: প্রথম আলো |
বাংলাদেশ-চীন
মৈত্রী প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতুতে কর্তৃপক্ষ আবার বাড়তি হারে টোল আদায়
শুরু করেছে। এর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার আবার ওই সেতু অবরোধ করে বিক্ষোভ
করেন পরিবহনচালক ও শ্রমিকেরা। এবার তাঁরা সেতু টোলমুক্ত করার দাবি
জানিয়েছেন। তবে তাঁদের অবরোধের কারণে গতকাল ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ।
বাড়তি হারে টোল আদায়ের প্রতিবাদে ঠিক এক সপ্তাহ আগে গত ২৫ জুলাই ওই সেতু পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন পরিবহনশ্রমিকেরা। তখন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ আগের হারে টোল আদায়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে সওজের লোকজন আবার সেতুতে নতুন হারে টোল আদায় শুরু করেন। এর প্রতিবাদে সেতুতে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক ও বাসসহ সব যানবাহনের শ্রমিক ও চালকেরা গতকাল সকাল আটটা থেকে সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সেতুতে যানবাহন চলাচলে বাধা দেন। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কেরানীগঞ্জ, দোহার, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা, ফরিদপুরসহ মাওয়া রুটের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে অবরোধকারীরা সেতুর কাছ থেকে চলে গেলে বিকেল পাঁচটার দিকে আবার সেতুতে বাস, ট্রাকসহ দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
ট্রাকচালক জুম্মন মিয়া বলেন, ‘ট্রাকের টোল ছিল ৩০ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ২৪০ টাকা। এর আগে আমরা গত সপ্তাহে টোল বৃদ্ধির কারণে আন্দোলন করেছি। তখন সওজের লোকজন বলেছিল, পূর্বের হারে টোল আদায় করা হবে। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে আবার নতুন হারে টোল আদায় করছে। আমরা এখন থেকে কোনো অবস্থাতেই সেতুতে টোল দেব না।’
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর-পোস্তগোলা রুটে চলাচলকারী অটোরিকশার চালক মো. ইলিয়াছ বলেন, ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন দফায় দফায় সেতুর টোলভাড়া বাড়াবে ও কমাবে—এ খেলা আমরা সমর্থন করি না। এখন থেকে আমরা কোনো অবস্থাতেই সেতুতে টোল দেব না। প্রয়োজনে আমরা অন্য রুটে গাড়ি চালাব।’
এদিকে সেতুতে অবরোধ চলাকালে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী হাজার হাজার নারী-পুরুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। অনেকে তাদের মালামাল ও পরিবার-পরিজন নিয়ে হেঁটে সেতু পার হয়।
রাজধানীর জুরাইন বাগানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ফাহমিদা আক্তার বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের নিমতলা থেকে বাসে উঠেছি পোস্তগোলা যাব। আমাদের বাসটি কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর এলাকায় আসামাত্র লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বাসটি থামিয়ে দেয়। এরপর আমরা নিরুপায় হয়ে ৫০০ টাকায় ভ্যান ভাড়া করে বাসায় যাচ্ছি।’
বাড়তি হারে টোল আদায়ের প্রতিবাদে ঠিক এক সপ্তাহ আগে গত ২৫ জুলাই ওই সেতু পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন পরিবহনশ্রমিকেরা। তখন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ আগের হারে টোল আদায়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে সওজের লোকজন আবার সেতুতে নতুন হারে টোল আদায় শুরু করেন। এর প্রতিবাদে সেতুতে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক ও বাসসহ সব যানবাহনের শ্রমিক ও চালকেরা গতকাল সকাল আটটা থেকে সেতুর দক্ষিণ প্রান্ত কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সেতুতে যানবাহন চলাচলে বাধা দেন। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কেরানীগঞ্জ, দোহার, মুন্সিগঞ্জ, বরিশাল, খুলনা, ফরিদপুরসহ মাওয়া রুটের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে অবরোধকারীরা সেতুর কাছ থেকে চলে গেলে বিকেল পাঁচটার দিকে আবার সেতুতে বাস, ট্রাকসহ দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
ট্রাকচালক জুম্মন মিয়া বলেন, ‘ট্রাকের টোল ছিল ৩০ টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ২৪০ টাকা। এর আগে আমরা গত সপ্তাহে টোল বৃদ্ধির কারণে আন্দোলন করেছি। তখন সওজের লোকজন বলেছিল, পূর্বের হারে টোল আদায় করা হবে। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে আবার নতুন হারে টোল আদায় করছে। আমরা এখন থেকে কোনো অবস্থাতেই সেতুতে টোল দেব না।’
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর-পোস্তগোলা রুটে চলাচলকারী অটোরিকশার চালক মো. ইলিয়াছ বলেন, ‘সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোকজন দফায় দফায় সেতুর টোলভাড়া বাড়াবে ও কমাবে—এ খেলা আমরা সমর্থন করি না। এখন থেকে আমরা কোনো অবস্থাতেই সেতুতে টোল দেব না। প্রয়োজনে আমরা অন্য রুটে গাড়ি চালাব।’
এদিকে সেতুতে অবরোধ চলাকালে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী হাজার হাজার নারী-পুরুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়। অনেকে তাদের মালামাল ও পরিবার-পরিজন নিয়ে হেঁটে সেতু পার হয়।
রাজধানীর জুরাইন বাগানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ফাহমিদা আক্তার বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের নিমতলা থেকে বাসে উঠেছি পোস্তগোলা যাব। আমাদের বাসটি কেরানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুর এলাকায় আসামাত্র লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বাসটি থামিয়ে দেয়। এরপর আমরা নিরুপায় হয়ে ৫০০ টাকায় ভ্যান ভাড়া করে বাসায় যাচ্ছি।’
No comments