‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা রক্ষা’ প্রকল্প: বাঁধের দুটি স্থানে পদ্মার ভাঙন
পদ্মার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা রক্ষা প্রকল্পের বাঁধ। সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী গ্রাম থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো |
কয়েক
দিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও উজানের ঢলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও
শিবগঞ্জ উপজেলা রক্ষা’ প্রকল্পের পদ্মার বাঁ তীর সংরক্ষণ বাঁধের দুটি
স্থানে ও বাঁধের বাইরে ভাটিতে ভাঙন চলছে।
গত শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন, পাউবোর প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল হক ভূঁইয়া ও উপপরিচালক মো. খুরশিদ আলম এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পাউবোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন বলেন, সদর উপজেলার বাখের আলী এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাটিতে ব্যাপক ভাঙনের ফলে উজানের ৬০০ মিটারসহ ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা রক্ষা’ প্রকল্প বর্তমানে হুমকিতে রয়েছে। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, বাড়িঘর ও জমিজমা হুমকিতে রয়েছে। বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরক্ষামূলক কাজের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গত ২৭ জুলাই পত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাঁধের শেষ মাথা থেকে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রস্তাবনা আগেই দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো একটি কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ৩০ জুন একটি নকশা প্রণয়ন করেছে।
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওমর আলী বলেন, চরবাগডাঙ্গা হাট এখন পদ্মা নদীর খুব কাছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে এ হাটটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ ছাড়া চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তিনটি সীমান্ত ফাঁড়ি (চরবাগডাঙ্গা, বাখের আলী ও ফরিদপুর), একটি কওমি মাদ্রাসা, পাকা রাস্তা, ১৩-১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ গোটা ইউনিয়নই হুমকির মুখে রয়েছে। গত ১০ বছরে ইউনিয়নের ৬০ ভাগ ভূখণ্ডই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ রক্ষা প্রকল্প বাঁধের শেষ মাথা থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত আরও প্রায় তিন কিলোমিটার বাঁধ না দিলে এ ইউনিয়ন রক্ষা করা যাবে না।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধের শেষ মাথায় প্রায় ৫০ মিটার ও বাঁধের বাখের আলী অংশে প্রায় ৫০ মিটারজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বাঁধের শেষ অংশ থেকে ভাটিতে প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন চলছে। চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামেও ভাঙন চলছে। গ্রামের কয়েকজন তাঁদের বাড়িঘর ও গাছপালা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন।
রোডপাড়ার হাজি তমিজ উদ্দীন (৭৬) ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইউসুফ আলী বলেন, গত ১০ দিনে ভাঙনে গৃহহীন হয়েছেন ১০ জন। এর মধ্যে রয়েছেন ইসমাইল হোসেন, নাইমুল হক ও সাদিকুল ইসলাম। নদী কাছে চলে আসায় বাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিয়েছেন এ গ্রামের নঈমুদ্দীন, মজিবুর রহমান, হয়েক আলী, ফজলুর রহমান, ওহাব আলী, তরিকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, জামাল উদ্দীন ও সাইদুর রহমান। গোটা গ্রামের মানুষও গৃহহীন হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।
বাখের আলী গ্রামের মাদ্রাসাশিক্ষক সৈবুর আলী, ইউসুফ আলীসহ এলাকার লোকজন বলেন, ১০-১৫ দিনের ভাঙনে নদী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১০০ মিটার ভেতরে ঢুকে গেছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, বাঁধের বিভিন্ন অংশ একাধিকবার ভেঙেছে। শেষের অংশ এবার নিয়ে চারবার ভেঙেছে।
গত শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজশাহী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মীর মোশারফ হোসেন, পাউবোর প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে নির্বাহী প্রকৌশলী আমিরুল হক ভূঁইয়া ও উপপরিচালক মো. খুরশিদ আলম এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
পাউবোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসির উদ্দীন বলেন, সদর উপজেলার বাখের আলী এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধের ভাটিতে ব্যাপক ভাঙনের ফলে উজানের ৬০০ মিটারসহ ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা রক্ষা’ প্রকল্প বর্তমানে হুমকিতে রয়েছে। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, বাড়িঘর ও জমিজমা হুমকিতে রয়েছে। বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিরক্ষামূলক কাজের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গত ২৭ জুলাই পত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাঁধের শেষ মাথা থেকে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রস্তাবনা আগেই দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাউবো একটি কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ৩০ জুন একটি নকশা প্রণয়ন করেছে।
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওমর আলী বলেন, চরবাগডাঙ্গা হাট এখন পদ্মা নদীর খুব কাছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে এ হাটটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এ ছাড়া চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তিনটি সীমান্ত ফাঁড়ি (চরবাগডাঙ্গা, বাখের আলী ও ফরিদপুর), একটি কওমি মাদ্রাসা, পাকা রাস্তা, ১৩-১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ গোটা ইউনিয়নই হুমকির মুখে রয়েছে। গত ১০ বছরে ইউনিয়নের ৬০ ভাগ ভূখণ্ডই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ রক্ষা প্রকল্প বাঁধের শেষ মাথা থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত আরও প্রায় তিন কিলোমিটার বাঁধ না দিলে এ ইউনিয়ন রক্ষা করা যাবে না।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধের শেষ মাথায় প্রায় ৫০ মিটার ও বাঁধের বাখের আলী অংশে প্রায় ৫০ মিটারজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বাঁধের শেষ অংশ থেকে ভাটিতে প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন চলছে। চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের রোডপাড়া গ্রামেও ভাঙন চলছে। গ্রামের কয়েকজন তাঁদের বাড়িঘর ও গাছপালা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছেন।
রোডপাড়ার হাজি তমিজ উদ্দীন (৭৬) ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইউসুফ আলী বলেন, গত ১০ দিনে ভাঙনে গৃহহীন হয়েছেন ১০ জন। এর মধ্যে রয়েছেন ইসমাইল হোসেন, নাইমুল হক ও সাদিকুল ইসলাম। নদী কাছে চলে আসায় বাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিয়েছেন এ গ্রামের নঈমুদ্দীন, মজিবুর রহমান, হয়েক আলী, ফজলুর রহমান, ওহাব আলী, তরিকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, জামাল উদ্দীন ও সাইদুর রহমান। গোটা গ্রামের মানুষও গৃহহীন হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে।
বাখের আলী গ্রামের মাদ্রাসাশিক্ষক সৈবুর আলী, ইউসুফ আলীসহ এলাকার লোকজন বলেন, ১০-১৫ দিনের ভাঙনে নদী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১০০ মিটার ভেতরে ঢুকে গেছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, বাঁধের বিভিন্ন অংশ একাধিকবার ভেঙেছে। শেষের অংশ এবার নিয়ে চারবার ভেঙেছে।
No comments