মেয়েও সুখীকে দেখে ভয় পায়
হাসপাতালের বিছানায় সুখী।ছবি: মানসুরা হোসাইন |
সুখী
উপড়ে ফেলা ডান চোখটি খুলতে পারেন না। চোখের পাতার নিচের জায়গাটি গর্ত হয়ে
থাকে। বাম চোখের চারপাশে এবং ভেতরে আগের মতো আর আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় না।
চোখটি খুলতেও পারেন। তবে সুখী ওই চোখে এখন পর্যন্ত কিছু দেখতে পাচ্ছেন না।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ফিমেল ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় সুখী শুয়ে আছেন। ঘুমাচ্ছেন বলেই মনে হয়। তবে সুখীর মা লায়লা বেগম জানালেন, সুখী সারা দিনই এভাবে শুয়ে থাকে। দেখলে ঘুমাচ্ছে মনে হলেও আসলে সজাগই থাকে।
কেমন আছেন জানতে চাইলে সুখী শুধু আস্তে করে বলেন, ‘ভালো না।’
এক যুগ আগে বিয়ে হয়েছে সুখী আক্তারের (২৪)। যৌতুকের জন্য ঈদের আগের দিন শুক্রবার সাভারের জিঞ্জিরা এলাকায় এক ভাড়া বাসায় স্বামী ও অন্যান্য স্বজনেরা সুখীর হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক টেস্টার দিয়ে তাঁর এক চোখ উপড়ে ফেলেন। আরেক চোখে প্রচণ্ড আঘাত দেন। ঘটনার পর সুখীর চিৎকারে বাড়িওয়ালার সহায়তায় এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে এই হাসপাতালে ভর্তি করান। আর সুখীর স্বামী রবিউল ইসলামকে তুলে দেন সাভার থানা-পুলিশের হাতে।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক জালাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সুখীর যে চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল সেখানে প্লাস্টিকের চোখ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে কৃত্রিম চোখ লাগানোর পর সেখানে প্রদাহ হচ্ছিল। তাই তা খুলে রাখা হয়েছে। সুখীর আরেক চোখ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সুখী এখন পর্যন্ত সে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
১৬ দিন ধরে সুখীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে কাটাচ্ছেন। সুখীর মা বলেন, ‘খাবার, ওষুধ কেনার জন্য সুখীর বাবা সারাক্ষণ হাসপাতালেই থাকে। এই কয়দিন কাজকাম বন্ধ। সুখীরে বাথরুমে নেওয়া থাইখ্যা সব কাজই কইরা দেওয়া লাগে। তার সাত বছর বয়সী মেয়ে হাসপাতালে আইস্যা মায়ের চেহারা দেইখ্যা ভয় পায়। কান্নাকাটি করে। ওর মনেও ভয় ঢুকছে। খালি কয়-নানি আমারে ফালাইয়্যা যাইও না। আমার মা চোখে না দেখলে আমারে দেখব কেমনে? তাই নাতিরে বাড়ি পাঠাইয়্যা দিছি।’
সুখীর ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশে পর থেকে অনেকেই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন। আর্থিকভাবে সহায়তা করছেন। আজ পাসপোর্ট অফিসে রাইটার হিসেবে কর্মরত এইচ এম শাহজাহান সুখীকে দেখতে যান। তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোতে সুখীর ঘটনা পড়েছি। ছুটির দিনে আজ দেখতে আসলাম। ইচ্ছা আছে ব্যক্তিগত ভাবে সুখী ও তাঁর পরিবারকে আর্থিক ভাবে কিছু সহায়তা করব।’
এর আগে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং সচিব নাছিমা বেগম সুখীকে দেখতে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক দিয়ে আসেন।
ঈদের দিন ১৮ জুলাই সাভার মডেল থানায় সুখীর ভাই মো. মহসিন বাদী হয়ে মামলা করেন (মামলা নং ১৩)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী ২০০৩) ১১ খ) / ৩০ ধারায় মামলা হয়। সাভার থানার সাব ইন্সপেক্টর সুখীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহেদ আলী টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, যৌতুক মামলার আসামি সুখীর স্বামী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলা তদন্তাধীন আছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ফিমেল ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় সুখী শুয়ে আছেন। ঘুমাচ্ছেন বলেই মনে হয়। তবে সুখীর মা লায়লা বেগম জানালেন, সুখী সারা দিনই এভাবে শুয়ে থাকে। দেখলে ঘুমাচ্ছে মনে হলেও আসলে সজাগই থাকে।
কেমন আছেন জানতে চাইলে সুখী শুধু আস্তে করে বলেন, ‘ভালো না।’
এক যুগ আগে বিয়ে হয়েছে সুখী আক্তারের (২৪)। যৌতুকের জন্য ঈদের আগের দিন শুক্রবার সাভারের জিঞ্জিরা এলাকায় এক ভাড়া বাসায় স্বামী ও অন্যান্য স্বজনেরা সুখীর হাত-পা বেঁধে ইলেকট্রিক টেস্টার দিয়ে তাঁর এক চোখ উপড়ে ফেলেন। আরেক চোখে প্রচণ্ড আঘাত দেন। ঘটনার পর সুখীর চিৎকারে বাড়িওয়ালার সহায়তায় এলাকাবাসী তাঁকে উদ্ধার করে এই হাসপাতালে ভর্তি করান। আর সুখীর স্বামী রবিউল ইসলামকে তুলে দেন সাভার থানা-পুলিশের হাতে।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক জালাল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সুখীর যে চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছিল সেখানে প্লাস্টিকের চোখ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে কৃত্রিম চোখ লাগানোর পর সেখানে প্রদাহ হচ্ছিল। তাই তা খুলে রাখা হয়েছে। সুখীর আরেক চোখ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সুখী এখন পর্যন্ত সে চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। তাঁকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
১৬ দিন ধরে সুখীর পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে কাটাচ্ছেন। সুখীর মা বলেন, ‘খাবার, ওষুধ কেনার জন্য সুখীর বাবা সারাক্ষণ হাসপাতালেই থাকে। এই কয়দিন কাজকাম বন্ধ। সুখীরে বাথরুমে নেওয়া থাইখ্যা সব কাজই কইরা দেওয়া লাগে। তার সাত বছর বয়সী মেয়ে হাসপাতালে আইস্যা মায়ের চেহারা দেইখ্যা ভয় পায়। কান্নাকাটি করে। ওর মনেও ভয় ঢুকছে। খালি কয়-নানি আমারে ফালাইয়্যা যাইও না। আমার মা চোখে না দেখলে আমারে দেখব কেমনে? তাই নাতিরে বাড়ি পাঠাইয়্যা দিছি।’
সুখীর ঘটনাটি গণমাধ্যমে প্রকাশে পর থেকে অনেকেই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন। আর্থিকভাবে সহায়তা করছেন। আজ পাসপোর্ট অফিসে রাইটার হিসেবে কর্মরত এইচ এম শাহজাহান সুখীকে দেখতে যান। তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোতে সুখীর ঘটনা পড়েছি। ছুটির দিনে আজ দেখতে আসলাম। ইচ্ছা আছে ব্যক্তিগত ভাবে সুখী ও তাঁর পরিবারকে আর্থিক ভাবে কিছু সহায়তা করব।’
এর আগে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং সচিব নাছিমা বেগম সুখীকে দেখতে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকার চেক দিয়ে আসেন।
ঈদের দিন ১৮ জুলাই সাভার মডেল থানায় সুখীর ভাই মো. মহসিন বাদী হয়ে মামলা করেন (মামলা নং ১৩)। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধনী ২০০৩) ১১ খ) / ৩০ ধারায় মামলা হয়। সাভার থানার সাব ইন্সপেক্টর সুখীর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহেদ আলী টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, যৌতুক মামলার আসামি সুখীর স্বামী ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলা তদন্তাধীন আছে।
No comments