তিস্তার বাঁধ ভেঙে তিন ইউনিয়ন জলাবদ্ধ
লালমনিরহাটের
হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদীর বাম তীর বাঁধ ভেঙেছে গত জুনে। সেটি মেরামত
না হওয়ায় তিস্তার পানি শাখা সতী নদী হয়ে আঘাত করতে থাকে
হাতীবান্ধা-বড়খাতা আঞ্চলিক সড়কে। এতে সড়কের গড্ডিমারী গ্রামের অংশ ভেঙে
পানি ঢুকে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে উপজেলার তিন ইউনিয়নের প্রায় ৪০০ হেক্টর
আবাদি জমি।
জলাবদ্ধ হয়ে পড়া ইউনিয়ন তিনটি হলো গড্ডিমারী, সিংগীমারী ও সিন্দুর্ণা। গড্ডিমারী গ্রামের সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় লোকজন সাঁকো দিয়ে কোনোমতে চলাচলের কাজটি চালাচ্ছে। কিন্তু আমনের এ ভরা মৌসুমে জলাবদ্ধ জমিতে ফসল লাগাতে না পেরে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের নানা বিভাগে বাঁধ ও সড়কের ভাঙা অংশ মেরামতে বিভিন্ন সময় আবেদন জানানো হলেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গত ২৬ জুলাই গিয়ে জানা গেছে, কৃষকেরা জুনের শুরুতে যখন চারা লাগাচ্ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে ভাঙনের শিকার হয় সড়কটি। বাঁধ বা সড়কটি মেরামত না করায় জমিগুলোতে দিন দিন তিস্তার পানি বেড়ে চলেছে। এলাকাবাসী জানান, তিস্তার বাম তীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল প্লাবিত হয়। এরপর সে পানি তিস্তার শাখা সতী নদী হয়ে গড্ডিমারী বাজারের অদূরে হাতীবান্ধা-বড়খাতা আঞ্চলিক সড়কের ওই ভাঙা অংশ দিয়ে প্রচণ্ড বেগে পূর্ব দিকের গড্ডিমারী, সিংগীমারী ও সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের নিচু অংশে ঢুকে পড়ে।
জলাবদ্ধ জমির কৃষক রিয়াজুর ইসলাম (৫৮) বলেন, কৃষকদের আমন লাগানোর জমিতে এখন বুকপানি। এদিকে আমনের মৌসুম চলে যাচ্ছে।
গড্ডিমারী গ্রামের কৃষক আশরাফ (৪২) বলেন, সড়কের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে তাঁর সাত বিঘা জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের বাঁচাতে হলে একই সঙ্গে বাঁধ ও রাস্তার ভাঙা অংশ বন্ধ করতে হবে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলেন, গত জুন মাসের শুরুর দিকে তিস্তার বাম তীর বাঁধ ভাঙে। এ পর্যন্ত বাঁধ বা সড়ক মেরামতের বিষয়টি শুধু পরিদর্শনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু এভাবে কালক্ষেপণ করা হলে আমন চাষের সময় পেরিয়ে যাবে। আষাঢ়-শ্রাবণই আমন লাগানোর ভরা মৌসুম। এরপর ভাদ্রের শুরু পর্যন্ত আমন লাগানো গেলেও ফলন ভালো পাওয়া যায় না। তাই দ্রুত ভাঙনরোধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, জমে যাওয়া পানি নেমে গেলে রোপা আমন লাগানো যাবে। এ বিষয়ে কৃষকদের উঁচু জমিতে বীজতলা তৈরি করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা জমিতে চারা রোপণ করতে পারেন। তিন থেকে চার শ হেক্টর জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ প্রটেকশন দিলে আমরাও সড়কের ভাঙা অংশ বন্ধ করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এর মধ্যে বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তাঁরা নিশ্চয়ই এটি শিগগিরই মেরামত করবেন।’
লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর গত ২৬ জুলাই জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, এত দিন নদীতে পানি বেশি থাকায় বাঁধ মেরামত করা যায়নি। এখন পানি কমতে শুরু করেছে। শিগগিরই ভেঙে যাওয়া বাঁধের মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
জলাবদ্ধ হয়ে পড়া ইউনিয়ন তিনটি হলো গড্ডিমারী, সিংগীমারী ও সিন্দুর্ণা। গড্ডিমারী গ্রামের সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় লোকজন সাঁকো দিয়ে কোনোমতে চলাচলের কাজটি চালাচ্ছে। কিন্তু আমনের এ ভরা মৌসুমে জলাবদ্ধ জমিতে ফসল লাগাতে না পেরে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকেরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের নানা বিভাগে বাঁধ ও সড়কের ভাঙা অংশ মেরামতে বিভিন্ন সময় আবেদন জানানো হলেও কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গত ২৬ জুলাই গিয়ে জানা গেছে, কৃষকেরা জুনের শুরুতে যখন চারা লাগাচ্ছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে ভাঙনের শিকার হয় সড়কটি। বাঁধ বা সড়কটি মেরামত না করায় জমিগুলোতে দিন দিন তিস্তার পানি বেড়ে চলেছে। এলাকাবাসী জানান, তিস্তার বাম তীর বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল প্লাবিত হয়। এরপর সে পানি তিস্তার শাখা সতী নদী হয়ে গড্ডিমারী বাজারের অদূরে হাতীবান্ধা-বড়খাতা আঞ্চলিক সড়কের ওই ভাঙা অংশ দিয়ে প্রচণ্ড বেগে পূর্ব দিকের গড্ডিমারী, সিংগীমারী ও সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের নিচু অংশে ঢুকে পড়ে।
জলাবদ্ধ জমির কৃষক রিয়াজুর ইসলাম (৫৮) বলেন, কৃষকদের আমন লাগানোর জমিতে এখন বুকপানি। এদিকে আমনের মৌসুম চলে যাচ্ছে।
গড্ডিমারী গ্রামের কৃষক আশরাফ (৪২) বলেন, সড়কের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে তাঁর সাত বিঘা জমি চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের বাঁচাতে হলে একই সঙ্গে বাঁধ ও রাস্তার ভাঙা অংশ বন্ধ করতে হবে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলেন, গত জুন মাসের শুরুর দিকে তিস্তার বাম তীর বাঁধ ভাঙে। এ পর্যন্ত বাঁধ বা সড়ক মেরামতের বিষয়টি শুধু পরিদর্শনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু এভাবে কালক্ষেপণ করা হলে আমন চাষের সময় পেরিয়ে যাবে। আষাঢ়-শ্রাবণই আমন লাগানোর ভরা মৌসুম। এরপর ভাদ্রের শুরু পর্যন্ত আমন লাগানো গেলেও ফলন ভালো পাওয়া যায় না। তাই দ্রুত ভাঙনরোধের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জলাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে বলেন, জমে যাওয়া পানি নেমে গেলে রোপা আমন লাগানো যাবে। এ বিষয়ে কৃষকদের উঁচু জমিতে বীজতলা তৈরি করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাতে পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা জমিতে চারা রোপণ করতে পারেন। তিন থেকে চার শ হেক্টর জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ প্রটেকশন দিলে আমরাও সড়কের ভাঙা অংশ বন্ধ করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এর মধ্যে বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তাঁরা নিশ্চয়ই এটি শিগগিরই মেরামত করবেন।’
লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর গত ২৬ জুলাই জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, এত দিন নদীতে পানি বেশি থাকায় বাঁধ মেরামত করা যায়নি। এখন পানি কমতে শুরু করেছে। শিগগিরই ভেঙে যাওয়া বাঁধের মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
No comments