সামরিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় আমজাদ খান

রাষ্ট্রীয় সম্মানের মধ্য দিয়ে সমাহিত করা হলো দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীকে। গতকাল বিকাল সাড়ে তিনটায় মরহুমের মরদেহ বনানী সামরিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। কবরস্থানে উপস্থিত মুসল্লিরা জানান, মরদেহ কবরে রাখার আগে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং সেনাসদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, গণস্বাস্থ্যের সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক সেনাপ্রধান নূর উদ্দিন ও মরহুমের ভক্ত, গুণগ্রাহী এবং পরিবারের সদস্যরা।
প্রাণ সেন্টার থেকে জানায়, গতকাল সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় অবস্থিত প্রাণ-আরএফএল সেন্টারে আমজাদ খান চৌধুরীর মরদেহ আনা হয়। সেখানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা। এতে প্রতিষ্ঠানটির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। বেলা পৌনে ১১টার দিকে প্রাণ-আরএফএল সেন্টার থেকে আমজাদ খান চৌধুরীর মরদেহ বিজয় সরণিস্থ বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘর মাঠের উদ্দেশে নেয়া হয়। দুপুর সোয়া ২টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন। জানাজা শেষে মরদেহ বনানী সামরিক গোরস্থানে আনা হয়।
এর আগে সকাল ৮টায় নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ প্রাণ-আরএফএল সেন্টারে নেয়া হয়।
গত ৮ই জুলাই বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিক্যাল হাসপাতালে ৭৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আমজাদ খান চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। ১৪ই জুলাই বিকাল পৌনে ৬টায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়।
ঘোড়াশালে আমজাদ খান চৌধুরীর প্রথম জানাযা
পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি জানায়, বাংলাদেশ কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের পথিকৎ প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর প্রথম জানাযার নামাজ গতকাল  সকাল ৮টায় পলাশের ঘোড়াশাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাযার নামাজে নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ কামরুল আশরাফ খান পোটন, পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, পৌর মেয়র মো. শরীফুল হক শরীফ, মরহুম আমজাদ খান চৌধুরীর দুই ছেলে আজাহার খান চৌধুরী ও আহসান খান চৌধুরী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় ১০ হাজার লোক অংশ নেয়। আমজাদ খান চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। ৮ই জুলাই বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭-১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিক্যাল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ২ মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জানাযার আগে সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটন, উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, পৌর মেয়র মো. শরীফুল হক শরীফ ও বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ মরহুমের প্রতি ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।

No comments

Powered by Blogger.