সরকারি চিকিৎসকদের কাজ- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজের নীতিমালা কই?
সরকারি চিকিৎসকদের ৮০ শতাংশই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত থাকার সংবাদটি দ্ব্যর্থবোধক। তাঁরা কি সরকারি পদাধিকারী হওয়ার সুবিধা নিয়ে চিকিৎসা-বাণিজ্যে যুক্ত, নাকি তাঁদের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা আরও বিস্তৃত হচ্ছে? তথ্যটি বোঝায়, চিকিৎসকের অপ্রতুলতার সুবিধা নিয়ে সরকারি চিকিৎসকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় ব্যস্ত।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) করা গবেষণা থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, মোট চিকিৎসকের ৬২ শতাংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কাজ করে। আর এতে জড়িত আছেন ৮০ শতাংশ সরকারি চিকিৎসকও। দুটি তথ্যের সমীকরণ যে সত্যটি তুলে ধরে, তা হলো বেসরকারি বাণিজ্যিক চিকিৎসা খাতই সর্বাধিক সংখ্যক চিকিৎসকের আয়ের উৎস। এটি চিকিৎসা খাতের আশঙ্কাজনক বাণিজ্যিকীকরণের বাস্তবতাই তুলে ধরে। যদি সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের বিস্তার আরও ঘটত, তাহলে এই চিকিৎসকেরা সরকারি চিকিৎসাব্যবস্থার অংশ হতেন এবং রোগীরাও সরকারি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর কম খরচে চিকিৎসা পেতে পারতেন।
প্রথমত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে সময় ও দক্ষতা ব্যয় করার পর, সরকারি হাসপাতালের জন্য কতটুকু সময় ও সামর্থ্য অবশিষ্ট থাকে ওই চিকিৎসকদের? মূলত সরকারি চিকিৎসকদের ওপরই নির্ভরশীল বেসরকারি চিকিৎসা-বাণিজ্য।
সরকারি চাকরি করে বাণিজ্যিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে সেবা দেওয়ার ফলে নিশ্চিতভাবেই এসব চিকিৎসক যে জনগণের করের পয়সায় বেতন নিচ্ছেন, তঁাদের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দিতে পারছেন না।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় বিধিবিধান কার্যকর করা জরুরি। আইসিডিডিআরবি যে সমীক্ষা করেছে, এ ধরনের সমীক্ষা সরকারি প্রতিষ্ঠান কেন করে না? কেননা নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়নের আগে তো বাস্তবতার পূর্ণ চিত্রটা জানা চাই। যেমন এই গবেষণায় বিভিন্ন বিভাগে চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসকের সংখ্যার বৈষম্য দেখা যায়। এই বৈষম্য দূর করতে হলে যথাযথ জরিপ ও গবেষণা প্রয়োজন।
চিকিৎসাসেবার বাণিজ্যিকীকরণের রাশ টানা এবং চিকিৎসক ঘাটতি পূরণের দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) করা গবেষণা থেকে এ চিত্র পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, মোট চিকিৎসকের ৬২ শতাংশ ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কাজ করে। আর এতে জড়িত আছেন ৮০ শতাংশ সরকারি চিকিৎসকও। দুটি তথ্যের সমীকরণ যে সত্যটি তুলে ধরে, তা হলো বেসরকারি বাণিজ্যিক চিকিৎসা খাতই সর্বাধিক সংখ্যক চিকিৎসকের আয়ের উৎস। এটি চিকিৎসা খাতের আশঙ্কাজনক বাণিজ্যিকীকরণের বাস্তবতাই তুলে ধরে। যদি সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের বিস্তার আরও ঘটত, তাহলে এই চিকিৎসকেরা সরকারি চিকিৎসাব্যবস্থার অংশ হতেন এবং রোগীরাও সরকারি ব্যবস্থাপনায় অধিকতর কম খরচে চিকিৎসা পেতে পারতেন।
প্রথমত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে সময় ও দক্ষতা ব্যয় করার পর, সরকারি হাসপাতালের জন্য কতটুকু সময় ও সামর্থ্য অবশিষ্ট থাকে ওই চিকিৎসকদের? মূলত সরকারি চিকিৎসকদের ওপরই নির্ভরশীল বেসরকারি চিকিৎসা-বাণিজ্য।
সরকারি চাকরি করে বাণিজ্যিক চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে সেবা দেওয়ার ফলে নিশ্চিতভাবেই এসব চিকিৎসক যে জনগণের করের পয়সায় বেতন নিচ্ছেন, তঁাদের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দিতে পারছেন না।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় বিধিবিধান কার্যকর করা জরুরি। আইসিডিডিআরবি যে সমীক্ষা করেছে, এ ধরনের সমীক্ষা সরকারি প্রতিষ্ঠান কেন করে না? কেননা নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়নের আগে তো বাস্তবতার পূর্ণ চিত্রটা জানা চাই। যেমন এই গবেষণায় বিভিন্ন বিভাগে চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসকের সংখ্যার বৈষম্য দেখা যায়। এই বৈষম্য দূর করতে হলে যথাযথ জরিপ ও গবেষণা প্রয়োজন।
চিকিৎসাসেবার বাণিজ্যিকীকরণের রাশ টানা এবং চিকিৎসক ঘাটতি পূরণের দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
No comments