‘দুর্জয় ভৈরবে’ চরম দুর্ভোগ: কাউন্টার ও পার্কিংয়ের কারণে যানজট by সুমন মোল্লা
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে রাখা হয়েছে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন। আছে বিভিন্ন পরিবহনের টিকিট কাউন্টার। এ কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ছবি -প্রথম আলো |
ঢাকা-সিলেট
মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে এখন ভোগান্তির স্থান কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার
‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বর। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কের ওপর গাড়ি রাখা (পার্কিং) এবং
চত্বরটির চারপাশে প্রায় অর্ধশত বাস কাউন্টার বসানোয় তীব্র যানজটের সৃষ্টি
হচ্ছে। এতে ঈদে ঘরমুখী মানুষের বিড়ম্বনা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন।
দুর্জয় ভৈরব চত্বরকে এই মহাসড়কের অভিশাপ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ভৈরব থানার সার্জেন্ট সাজ্জাদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পার্কিং, যাত্রী ওঠা-নামা, কাউন্টার—সবই সড়কের ওপরে। ইচ্ছে থাকলেও নানা কারণে চত্বরটি পার্কিংমুক্ত রাখতে পারেন না বলে জানান তিনি। ঈদ উপলক্ষে স্বাভাবিক যাত্রায় দুর্জয় ভৈরব বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট অনেকে জানান, দুর্জয় ভৈরব চত্বরের অবস্থান স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম কয়েকটি মহাসড়কের মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক একটি। ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক এই চত্বরে এসে মিলেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এমন অব্যবস্থাপনা বর্তমানে দুর্জয় ভৈরব ছাড়া আর কোথাও নেই।
গত শনিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করে দেখা গেছে, চত্বরটির ১০ গজের মধ্যে উভয় পাশে বেশ কয়েকটি লোকাল বাস রাখা (পার্কিং) আছে। এসব বাস কখন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে তা নিশ্চিত নয়।
আর আধা কিলোমিটারের মধ্যে ফুটপাতে বিআরটিসি, তিশা, সোহাগ, উত্তরা, রয়েল, চলনবিল, কাজল, তিশা গ্রুপ, অনন্যা, অনন্যা সুপার, শ্যামলছায়া, আরপি পরিবহন, যাতায়াতসহ অন্তত অর্ধশত পরিবহনের টিকিট কাউন্টার। এসব কাউন্টারের সামনে এসে বাস থামছে। কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ সময় থামিয়ে যাত্রী পূর্ণ করে গন্তব্যে ছাড়া হচ্ছে। এসব পরিবহনের অতিরিক্ত বাসও পার্কিং করা হয়েছে মহাসড়কেই। তা ছাড়া চত্বরের চারপাশে ছিল শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা। চালকেরা চত্বরের চারপাশকে অটোরিকশার স্ট্যান্ড বানিয়ে বসেছেন। শুধু এ কারণে মহাসড়কের প্রশস্ততা কমে সরু সড়কে পরিণত হয়েছে। ফলে দুটি মহাসড়কের গাড়ি এই চত্বর অতিক্রম করার সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবারও বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই চত্বর ঘুরে সড়কে বিভিন্ন পরিবহনের ৪০-৫০টি বাস পার্কিং করা দেখা গেছে।
চালকেরা জানান, বর্তমানে কোনো কোনো সময় ঢাকা থেকে যানজটের ভোগান্তি ছাড়াই বের হয়ে আসতে পারলেও ভৈরবে সম্ভব নয়। এখানে প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে গাড়ি কচ্ছপ গতিতে চালাতে হয়। এই চত্বর অতিক্রম করতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লেগে যাচ্ছে। আগের ঈদে এক থেকে দেড় ঘণ্টার আগে এই চত্বর অতিক্রমই করা যায়নি। অথচ স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চললে চত্বর অতিক্রম করতে দুই মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়।
বিআরটিসি কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারের সামনে ওই পরিবহনের তিনটি গাড়ি সারি করে রাখা আছে। পার্কিংয়ের কারণ জানতে চাইলে কাউন্টার ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরাতো চত্বর থেকে কিছুটা দূরে আছি। অন্যরা তো মোড়ে রেখে সবকিছু করছে।’
চত্বরের ১০ গজ দূরে চলনবিল পরিবহনের কাউন্টার। টিকিট বিক্রেতা আকরামের দাবি, কাউন্টারের সামনে তাঁরা দুই মিনিটের বেশি গাড়ি থামিয়ে রাখেন না।
কাজল পরিবহনের টিকিট বিক্রেতারও একই মন্তব্য।
এ সময় দুর্জয় ভৈরব চত্বরে কর্তব্যরত ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট সাজ্জাদ খান ও তাঁর দুই সহযোগী খন্দকার রেজাউল করিম ও সাইদুর রহমান। পুরো বিষয়টি নজরে এনে মন্তব্য চাওয়া হলে খন্দকার রেজাউল করিম অনুরোধ রেখে বলেন, ‘আপনি একটু বলে-কয়ে দেখেন না সরাতে পারেন কি না।’ তাঁরা স্বীকার করেন, এই অবস্থার পরিবর্তন করা না গেলে ঈদ যাত্রায় ব্যাপক ভোগান্তি হবে।
দুর্জয় ভৈরব চত্বরকে এই মহাসড়কের অভিশাপ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ভৈরব থানার সার্জেন্ট সাজ্জাদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পার্কিং, যাত্রী ওঠা-নামা, কাউন্টার—সবই সড়কের ওপরে। ইচ্ছে থাকলেও নানা কারণে চত্বরটি পার্কিংমুক্ত রাখতে পারেন না বলে জানান তিনি। ঈদ উপলক্ষে স্বাভাবিক যাত্রায় দুর্জয় ভৈরব বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
পরিবহন-সংশ্লিষ্ট অনেকে জানান, দুর্জয় ভৈরব চত্বরের অবস্থান স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম কয়েকটি মহাসড়কের মধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক একটি। ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক এই চত্বরে এসে মিলেছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এমন অব্যবস্থাপনা বর্তমানে দুর্জয় ভৈরব ছাড়া আর কোথাও নেই।
গত শনিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করে দেখা গেছে, চত্বরটির ১০ গজের মধ্যে উভয় পাশে বেশ কয়েকটি লোকাল বাস রাখা (পার্কিং) আছে। এসব বাস কখন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে তা নিশ্চিত নয়।
আর আধা কিলোমিটারের মধ্যে ফুটপাতে বিআরটিসি, তিশা, সোহাগ, উত্তরা, রয়েল, চলনবিল, কাজল, তিশা গ্রুপ, অনন্যা, অনন্যা সুপার, শ্যামলছায়া, আরপি পরিবহন, যাতায়াতসহ অন্তত অর্ধশত পরিবহনের টিকিট কাউন্টার। এসব কাউন্টারের সামনে এসে বাস থামছে। কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ সময় থামিয়ে যাত্রী পূর্ণ করে গন্তব্যে ছাড়া হচ্ছে। এসব পরিবহনের অতিরিক্ত বাসও পার্কিং করা হয়েছে মহাসড়কেই। তা ছাড়া চত্বরের চারপাশে ছিল শতাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা। চালকেরা চত্বরের চারপাশকে অটোরিকশার স্ট্যান্ড বানিয়ে বসেছেন। শুধু এ কারণে মহাসড়কের প্রশস্ততা কমে সরু সড়কে পরিণত হয়েছে। ফলে দুটি মহাসড়কের গাড়ি এই চত্বর অতিক্রম করার সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবারও বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই চত্বর ঘুরে সড়কে বিভিন্ন পরিবহনের ৪০-৫০টি বাস পার্কিং করা দেখা গেছে।
চালকেরা জানান, বর্তমানে কোনো কোনো সময় ঢাকা থেকে যানজটের ভোগান্তি ছাড়াই বের হয়ে আসতে পারলেও ভৈরবে সম্ভব নয়। এখানে প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে গাড়ি কচ্ছপ গতিতে চালাতে হয়। এই চত্বর অতিক্রম করতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লেগে যাচ্ছে। আগের ঈদে এক থেকে দেড় ঘণ্টার আগে এই চত্বর অতিক্রমই করা যায়নি। অথচ স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চললে চত্বর অতিক্রম করতে দুই মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়।
বিআরটিসি কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারের সামনে ওই পরিবহনের তিনটি গাড়ি সারি করে রাখা আছে। পার্কিংয়ের কারণ জানতে চাইলে কাউন্টার ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরাতো চত্বর থেকে কিছুটা দূরে আছি। অন্যরা তো মোড়ে রেখে সবকিছু করছে।’
চত্বরের ১০ গজ দূরে চলনবিল পরিবহনের কাউন্টার। টিকিট বিক্রেতা আকরামের দাবি, কাউন্টারের সামনে তাঁরা দুই মিনিটের বেশি গাড়ি থামিয়ে রাখেন না।
কাজল পরিবহনের টিকিট বিক্রেতারও একই মন্তব্য।
এ সময় দুর্জয় ভৈরব চত্বরে কর্তব্যরত ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট সাজ্জাদ খান ও তাঁর দুই সহযোগী খন্দকার রেজাউল করিম ও সাইদুর রহমান। পুরো বিষয়টি নজরে এনে মন্তব্য চাওয়া হলে খন্দকার রেজাউল করিম অনুরোধ রেখে বলেন, ‘আপনি একটু বলে-কয়ে দেখেন না সরাতে পারেন কি না।’ তাঁরা স্বীকার করেন, এই অবস্থার পরিবর্তন করা না গেলে ঈদ যাত্রায় ব্যাপক ভোগান্তি হবে।
No comments