যে জলাবদ্ধতার শেষ নেই by রাফাত জামিল
রাজধানীর
আগারগাঁওয়ের আইডিবি সড়কের শেষ মাথা। জায়গাটি ই-ব্লকের কোণে। সড়কটি
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড সড়ক নামেও পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বছর ধরে সড়কটির এই অংশে সারা বছরই জলাবদ্ধতা
থাকে। ভারী বৃষ্টি হলে সড়কটি হাঁটুপানিতে ডুবে যায়। অল্প বৃষ্টি হলে
জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ বাড়ে।
বাংলাদেশ প্রবীণহিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নির্মাণাধীন ভবন পর্যন্ত থাকে এই জলাবদ্ধতা। নোংরা পানিতে ময়লা-আবর্জনা জমে ছোটখাটো ডোবায় পরিণত হয় সড়কের এ অংশটি। ছড়ায় অসহনীয় দুর্গন্ধ। সড়কের এই অংশ ব্যবহার করেন না কেউ। অথচ সড়কটি বাঁয়ে গিয়ে মিশেছে আগারগাঁও-শ্যামলী লিংক রোডে।
বাংলাদেশ প্রবীণহিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নির্মাণাধীন ভবন পর্যন্ত থাকে এই জলাবদ্ধতা। নোংরা পানিতে ময়লা-আবর্জনা জমে ছোটখাটো ডোবায় পরিণত হয় সড়কের এ অংশটি। ছড়ায় অসহনীয় দুর্গন্ধ। সড়কের এই অংশ ব্যবহার করেন না কেউ। অথচ সড়কটি বাঁয়ে গিয়ে মিশেছে আগারগাঁও-শ্যামলী লিংক রোডে।
নোংরা পানিতে ময়লা-আবর্জনা জমে ছোটখাট ডোবায় পরিণত হয়েছে আইডিবি সড়ক। ছবি: প্রথম আলো |
এদিক
দিয়ে কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও গাবতলীতে যাওয়া যায়। ডানের
রাস্তাটা চলে গেছে ভাঙা ব্রিজ (বড় রাস্তার মাথা), মিরপুর ১ ও ২ নম্বর, ৬০
ফুট রাস্তা (নতুন) ও পশ্চিম আগারগাঁওয়ের দিকে। সড়কটির শেষ মাথায় রয়েছে
কুমিল্লা বস্তি। সেখানকার দোকানি মো. রফিক বললেন, ‘এখানে ২০-২৫ বছর ধরে
আছি। আগে এমন দেখিনি। গত দু-তিন বছর ধরে এখানে পানি জমে থাকে। কোনো সংস্কার
নেই। ড্রেনে আবর্জনা আটকে থাকে, পানি যাওয়ার জায়গা নেই।’
এলাকার মিটার ব্যবসায়ী মো. রাশেদ বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে ভেসে আসা ময়লা জড়ো হয় এখানে। দুর্গন্ধে টেকা যায় না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না, তাই পানি ও ময়লা কোনোটাই সরতে পারে না। রাস্তার এ মাথাটা বেশ নিচু, পানি রাস্তা পার হয়েও কোনো দিকে যেতে পারে না।’
এলাকার মিটার ব্যবসায়ী মো. রাশেদ বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে ভেসে আসা ময়লা জড়ো হয় এখানে। দুর্গন্ধে টেকা যায় না। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না, তাই পানি ও ময়লা কোনোটাই সরতে পারে না। রাস্তার এ মাথাটা বেশ নিচু, পানি রাস্তা পার হয়েও কোনো দিকে যেতে পারে না।’
বৃষ্টির পানিতে ভেসে আসা ময়লা জড়ো হয়েছে এখানে। ছড়াচ্ছে অসহনীয় দুর্গন্ধ ও রোগ-জীবাণু বহনকারী বিভিন্ন ভাইরাস। ছবি: প্রথম আলো |
সড়কটির
চারপাশে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সরকারি দপ্তর ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আছে
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), পাসপোর্ট অফিস, বাংলাদেশ প্রবীণ
হাসপাতাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা
ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নির্বাচন কমিশনের
নির্মাণাধীন প্রধান কার্যালয়, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ নানা
প্রতিষ্ঠান। এতে বৃষ্টির দিন, এমনকি সাধারণ দিনগুলোতেও দুর্ভোগে পড়েন এই
সড়ক ব্যবহারকারী মানুষ। বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের এক নিরাপত্তারক্ষী
বলেন, ‘এখানে মানুষ থাকতে পারে! গন্ধে গা গোলায়। ড্রেনগুলো বন্ধ, পানি
যাইতে পারে না। বৃষ্টির দিনে পানি বাড়লে তো ঘর থেকেই বের হওয়া যায় না।’
বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের নির্মাণাধীন ভবন প্রর্যন্ত এই জলাবদ্ধতা। ছবি: প্রথম আলো |
এ
ব্যাপারে জনতে চাইলে ঢাকা ওয়াসার জনতথ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন,
‘সড়কটি ওয়াসার ৪ নম্বর জোনের মধ্যে পড়ে। এটি রক্ষণাবেক্ষণের সব দায়দায়িত্ব
গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি)। ওখানে ওয়াসার নিজস্ব কোনো ড্রেনেজ সংযোগ
নেই। পুরোটাই সরকারি জায়গা। এখনো সড়কটি ওয়াসা বা সিটি করপোরেশনের কাছে
হস্তান্তর করেনি পিডব্লিউডি।’
পিডব্লিউডির উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াসউদ্দিন হায়দার বলেন, আগারগাঁওয়ের অধিকাংশ রাস্তাই পিডব্লিউডির অধীনে। তিনি বলেন, ‘ওই রাস্তায় যাঁরা যাতায়াত করেন, অর্থাৎ সড়কের আশপাশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি পিডব্লিউডির কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়, তাহলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। পিডব্লিউডি ওই সড়কের জলাবদ্ধতা সম্পর্কে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। সিটি করপোরেশন যদি সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়, তাহলে ভালোই হয়। আমরা তাদের তদারকির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেব। এ বিষয়ে তাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।’
পিডব্লিউডির উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াসউদ্দিন হায়দার বলেন, আগারগাঁওয়ের অধিকাংশ রাস্তাই পিডব্লিউডির অধীনে। তিনি বলেন, ‘ওই রাস্তায় যাঁরা যাতায়াত করেন, অর্থাৎ সড়কের আশপাশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি পিডব্লিউডির কাছে লিখিত অভিযোগ জানায়, তাহলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। পিডব্লিউডি ওই সড়কের জলাবদ্ধতা সম্পর্কে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। সিটি করপোরেশন যদি সড়কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেয়, তাহলে ভালোই হয়। আমরা তাদের তদারকির দায়িত্ব বুঝিয়ে দেব। এ বিষয়ে তাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে।’
No comments