‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রয়োজন’ -বৃটিশ পার্লামেন্টে বিতর্ক
বাংলাদেশের
রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন
সফরকে ঘিরে দুইপক্ষের বিক্ষোভের ঘটনায় বৃটিশ পার্লামেন্টের এমপিরা উদ্বেগ
প্রকাশ করেছেন। গতকাল বুধবার বৃটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব
কমন্সের ওয়েস্টমিনস্টার হলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ এবং এর ভবিষ্যৎ’
(Bangladesh and it’s future) শীর্ষক এক বিতর্কে তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ
করেন। ওই বিতর্কে ২০ জনের বেশি এমপি অংশ নেন। এমপিদের প্রশ্নের জবাব দেন
পররাষ্ট্রবিষয়ক (ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস) প্রতিমন্ত্রী হুগো সয়্যার।
তিনি বলেন, গত বছরের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে
নাশকতার ঘটনায় শতাধিক লোক প্রাণ হারিয়েছেন। বিরোধী পক্ষের লোকজনকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য বারবার দুই পক্ষকে সহনীয় আচরণের আহ্বান
জানিয়ে আসছে। সয়্যার বলেন, রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলার একটি সুযোগ নষ্ট হয়েছে
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়। এই নির্বাচন জালিয়াতি ও সহিংসতার দোষে দুষ্ট
ছিল। বাংলাদেশে ব্লগারদের হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,
বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- এবং বাক-স্বাধীনতা পরিস্থিতির লক্ষণীয় কোন উন্নতি
নেই। জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের
প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, পরিস্থিতি যা-ই হোক, যুক্তরাজ্য মৃত্যুদ- সমর্থন
করে না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে যুক্তরাজ্য
স্বাগত জানায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়িত
হওয়ায় হাজার হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হবে। ক্ষমতাসীন
কনজারভেটিভ দলীয় এমপি অ্যান মেইন রাজনৈতিক সংঘাত এবং অস্থিরতাকে বাংলাদেশের
প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি বিলোপের
ঘটনায় অসন্তুষ্ট বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা হ্রাস পেয়েছে বলে মন্তব্য
করেন তিনি। বৃটিশ এমপি কেরি ম্যাকার্থি বলেন, বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি আছে,
কিন্তু যে কথা বলা প্রয়োজন তা হলো দেশটিতে গণতন্ত্র প্রয়োজন। প্রয়োজন
গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে ক্ষমতার পালাবদলের ব্যবস্থা। এর কোন বিকল্প নেই।
No comments