আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য সতর্কবার্তা -প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পর্কে যে গুরুতর তথ্য প্রকাশ করেছেন, তা
শুধু বাহিনীর জন্য একটি দুঃসংবাদ নয়, দেশের জন্যও উদ্বেগজনক। গত মঙ্গলবার
এক সেমিনারে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সম্প্রতি কমিশনের কাছে যত অভিযোগ এসেছে,
তার ৭০ শতাংশই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং এর মধ্যে
অর্ধেকই নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ। চেয়ারম্যান একে ভয়াবহ দিক বলে উল্লেখ
করে মানুষের মনের কথাটিই বলেছেন। কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন না এমন
ভুক্তভোগীর সংখ্যা যে আরও কত তা বলা মুশকিল। তবে চেয়ারম্যান স্বয়ং
নির্দ্বিধায় এই কথাগুলো বলায় অভিযোগগুলোতে নতুন করে প্রাণসঞ্চার হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে দেশের মানুষের কাছে একমাত্র ভরসাস্থল, তা প্রশ্নাতীত। অন্যায়ের প্রতিকার চাইতে মানুষ প্রথমে থানায়ই যায়। পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়, যখন তাদের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ আসে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের একটি দলের বিরুদ্ধে একজন ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ উঠলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে ভালো উদাহরণ স্থাপন করেছে। কিন্তু এ রকম দৃষ্টান্ত বিরল। অভিযোগ উঠলে অনেক সময় বাহিনীর সদস্যদের নিয়েই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে সুবিচার পাওয়া অনিশ্চিত।
কমিশনের চেয়ারম্যান স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে প্রচলিত আইনে সাদা পোশাকে কাউকে আটক করা যাবে না, আসামি ধরতে হলে নিজের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে ইত্যাদি। কিন্তু অনেক সময় পুলিশ এসবের তোয়াক্কা করে না। আসামিকে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাও কম নয়। অথচ এসব বন্ধে ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন-২০১৩’ রয়েছে বলে সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে জানানো হয়েছে। এই আইনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো দোষী ব্যক্তির জন্য কঠোর সাজার ব্যবস্থাও রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য আইন ভেঙে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো, হেফাজতে মৃত্যুর জন্য দায়ী বা কোনো অপরাধে জড়িত বলে অভিযোগ উঠলে তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত, বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে মানুষের আস্থা অর্জন করা যাবে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে দেশের মানুষের কাছে একমাত্র ভরসাস্থল, তা প্রশ্নাতীত। অন্যায়ের প্রতিকার চাইতে মানুষ প্রথমে থানায়ই যায়। পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়, যখন তাদের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ আসে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের একটি দলের বিরুদ্ধে একজন ব্যবসায়ীকে হয়রানির অভিযোগ উঠলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে ভালো উদাহরণ স্থাপন করেছে। কিন্তু এ রকম দৃষ্টান্ত বিরল। অভিযোগ উঠলে অনেক সময় বাহিনীর সদস্যদের নিয়েই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে সুবিচার পাওয়া অনিশ্চিত।
কমিশনের চেয়ারম্যান স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে প্রচলিত আইনে সাদা পোশাকে কাউকে আটক করা যাবে না, আসামি ধরতে হলে নিজের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে ইত্যাদি। কিন্তু অনেক সময় পুলিশ এসবের তোয়াক্কা করে না। আসামিকে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনাও কম নয়। অথচ এসব বন্ধে ‘নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন-২০১৩’ রয়েছে বলে সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে জানানো হয়েছে। এই আইনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো দোষী ব্যক্তির জন্য কঠোর সাজার ব্যবস্থাও রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্য আইন ভেঙে নির্যাতন-নিপীড়ন চালানো, হেফাজতে মৃত্যুর জন্য দায়ী বা কোনো অপরাধে জড়িত বলে অভিযোগ উঠলে তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত, বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে মানুষের আস্থা অর্জন করা যাবে না।
No comments