ফুরিয়ে যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ পানি
ভূগর্ভস্থ পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা |
ভূগর্ভে
যত পানি মজুত আছে তার এক-তৃতীয়াংশই মানুষের কর্মকাণ্ডের কারণে দ্রুত
ফুরিয়ে যাচ্ছে। তবে দ্রুত নিঃশেষ হওয়ার পর যে দুই তৃতীয়াংশ পরিমাণ পানি
থাকল তার সঠিক পরিমাপ কত (অর্থাৎ কত লিটার) সেটা স্পষ্ট নয়। নতুন দুটি
গবেষণা প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। খবর এএফপির।
গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বের বিশাল জনসংখ্যার বেশির ভাগই কবে নাগাদ পানি শেষ হয়ে যাবে তা না জেনেই ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করছে।
‘ওয়াটার রিসোর্সেস রিসার্চ’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হবে ওই গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জে ফেমিগলিয়েটি এক বিবৃতিতে বলেন, পানির মজুত নিয়ে ভৌত ও রাসায়নিক পরীক্ষা পর্যাপ্ত নয়।
জে ফেমিগলিয়েটি আরও বলেন, ‘আমরা কত দ্রুত ভূগর্ভস্থ পানির মজুত শেষ করে ফেলছি তার ওপর ভিত্তি করে আর কতটুকু পানি ভূগর্ভস্থ আছে তা বের করতে যৌথভাবে বৈশ্বিক গবেষণা হওয়া দরকার।’
গবেষকেরা ভূগর্ভস্থ পানি ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিশেষ কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে কাজ করেছেন।
প্রথম গবেষণায়, গবেষকেরা ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৩৭টি বড় ভূগর্ভস্থ পানির মজুত জলস্তর নিয়ে গবেষণা করেন। এর মধ্যে আটটিকে তাঁরা সংকটাপন্ন বলে ধারণা করেন। অর্থাৎ এই আটটি জলস্তর প্রায় শুকিয়ে গেছে যেগুলো ব্যবহার উপযোগী করার জন্য আর প্রাকৃতিক উপায়ে জলপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ ছাড়া পাঁচটি জলস্তরকে অতি সংকটাপন্ন বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
মার্কিন গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট আরও প্রকট হতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে চাপের মুখে থাকা জলস্তরের মধ্যে রয়েছে মরুভূমি অঞ্চলের জলস্তরগুলো যেখানে খুব সামান্য পরিমাণে প্রাকৃতিক উপায়ে জলপূর্ণ হয়।
গবেষকেরা বলছেন, অ্যারাবিয়ান অ্যাকুইফার সিস্টেম যা ছয় কোটি মানুষকে পানি সরবরাহ করে সেটিই এখন চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। এ ছাড়া ভারতের উত্তর পশ্চিম ও পাকিস্তানের ইন্দাস বেসিন দ্বিতীয় চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এরপরে রয়েছে উত্তর আফ্রিকার মারজুক ডাডো বেসিন।
দ্বিতীয় গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা ভূগর্ভস্থ পানির মজুতে কত দিন চলবে তা বের করা চেষ্টা করেছেন। তবে ভূগর্ভস্থ পানি মজুত কী পরিমাণে আছে তা পরিষ্কার করতে পারেননি তাঁরা।
গবেষণা নিবন্ধের লেখক আলেকজান্দ্রা রিচি বলেন, এসব জলস্তরে ঠিক কী পরিমাণ পানি অবশিষ্ট আছে তা ঠিকভাবে বলা যায় না। কিন্তু পানি সংকটাপন্ন এই সমাজে যেখানে দ্রুত ভূগর্ভস্থ পানি শেষ হচ্ছে সেখানে আমরা এই ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে পারি না।
গবেষকেরা বলছেন, বিশ্বের বিশাল জনসংখ্যার বেশির ভাগই কবে নাগাদ পানি শেষ হয়ে যাবে তা না জেনেই ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করছে।
‘ওয়াটার রিসোর্সেস রিসার্চ’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হবে ওই গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক জে ফেমিগলিয়েটি এক বিবৃতিতে বলেন, পানির মজুত নিয়ে ভৌত ও রাসায়নিক পরীক্ষা পর্যাপ্ত নয়।
জে ফেমিগলিয়েটি আরও বলেন, ‘আমরা কত দ্রুত ভূগর্ভস্থ পানির মজুত শেষ করে ফেলছি তার ওপর ভিত্তি করে আর কতটুকু পানি ভূগর্ভস্থ আছে তা বের করতে যৌথভাবে বৈশ্বিক গবেষণা হওয়া দরকার।’
গবেষকেরা ভূগর্ভস্থ পানি ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বুঝতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিশেষ কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে কাজ করেছেন।
প্রথম গবেষণায়, গবেষকেরা ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ৩৭টি বড় ভূগর্ভস্থ পানির মজুত জলস্তর নিয়ে গবেষণা করেন। এর মধ্যে আটটিকে তাঁরা সংকটাপন্ন বলে ধারণা করেন। অর্থাৎ এই আটটি জলস্তর প্রায় শুকিয়ে গেছে যেগুলো ব্যবহার উপযোগী করার জন্য আর প্রাকৃতিক উপায়ে জলপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ ছাড়া পাঁচটি জলস্তরকে অতি সংকটাপন্ন বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
মার্কিন গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ভূগর্ভস্থ পানির সংকট আরও প্রকট হতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে চাপের মুখে থাকা জলস্তরের মধ্যে রয়েছে মরুভূমি অঞ্চলের জলস্তরগুলো যেখানে খুব সামান্য পরিমাণে প্রাকৃতিক উপায়ে জলপূর্ণ হয়।
গবেষকেরা বলছেন, অ্যারাবিয়ান অ্যাকুইফার সিস্টেম যা ছয় কোটি মানুষকে পানি সরবরাহ করে সেটিই এখন চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। এ ছাড়া ভারতের উত্তর পশ্চিম ও পাকিস্তানের ইন্দাস বেসিন দ্বিতীয় চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এরপরে রয়েছে উত্তর আফ্রিকার মারজুক ডাডো বেসিন।
দ্বিতীয় গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা ভূগর্ভস্থ পানির মজুতে কত দিন চলবে তা বের করা চেষ্টা করেছেন। তবে ভূগর্ভস্থ পানি মজুত কী পরিমাণে আছে তা পরিষ্কার করতে পারেননি তাঁরা।
গবেষণা নিবন্ধের লেখক আলেকজান্দ্রা রিচি বলেন, এসব জলস্তরে ঠিক কী পরিমাণ পানি অবশিষ্ট আছে তা ঠিকভাবে বলা যায় না। কিন্তু পানি সংকটাপন্ন এই সমাজে যেখানে দ্রুত ভূগর্ভস্থ পানি শেষ হচ্ছে সেখানে আমরা এই ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকতে পারি না।
No comments