কাঁঠালেও রাসায়নিক প্রয়োগ by নজরুল ইসলাম
জাতীয়
ফল কাঁঠাল পাকাতে এখন আর প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে না কেউ। কাঁঠাল পাকাতে
অহরহ ব্যবহার হচ্ছে এক ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক। বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা
কচি কাঁঠালে নির্বিচারে প্রয়োগ করছে বিষাক্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড,
ইথ্রায়েল, কপার সালফাইড, পটাশের তরল দ্রবণ, কার্বাইড, কার্বনের ধোয়া, কপার
সালফেট, রাইপেন ও ইথিফন জাতীয় বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ।
ঘাটাইল উপজেলার প্রায় ১৫টি কাঁঠালের বাজার রয়েছে। গারো বাজার, সাগরদিঘী, জোড়দিঘী, আষাড়িয়া চালা, রামদেবপুর, শহর গোপিনপুর, ধলাপাড়া, দেওপাড়া, দেলুটিয়া, ছোনখোলা, চাপড়ি, পেচারহাট, মাকড়াই, কুশারিয়া উপজেলার বড় কাঁঠালের বাজার। এসব বাজার থেকে প্রতি হাটবার এক শ থেকে দেড় শতাধিক ট্রাক কাঁঠাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। এ ছাড়াও ঘাটাইলের পার্শ্ববর্তী উপজেলা মধুপুর-সখিপুরেও উৎপাদন হয় প্রচুর কাঁঠাল। এবার ঘাটাইলে কাঁঠালের ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। কাঁঠালের আকারও হয়েছে বেশ বড়। প্রাকৃতিক আবহাওয়াগত কারণে এবারের কাঁঠাল একটু আগেই নামতে শুরু করেছে। মওসুমের শুরুতে এসব এলাকায় শুরু হয়েছে কাঁঠালে রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগের প্রতিযোগিতা। স্থানীয় ভাষায় রাসানিক প্রয়োগের এ পদ্ধতিকে ‘ শিক মারা’ বলে। প্রায় দেড় ফুট লম্বা লোহার শিক কাঁঠালের বোটা বরাবর ঢুকিয়ে দিয়ে ছিদ্র পথে সিরিঞ্জ দিয়ে বিষাক্ত কার্বাইড, ইথ্রায়েল, ইথিফন ও রাইপেন জাতীয় পদার্থ প্রয়োগ করা হয়। পরে স্তূপাকারে সাজিয়ে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে চাপা দিয়ে রাখলেই ২৪ ঘণ্টায় একটি কচি কাঁঠালও পেকে যায়। মেশিনে সেপ্র করেও রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে থাকেন কেউ কেউ। রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে কাঁঠাল পাকানোর ফলে নষ্ট হতে চলেছে ঘাটাইলের কাঁঠালের সুনাম। পাশাপাশি কাঁঠালের বজার হচ্ছে মন্দা এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার নাথ বলেন, কচি কাঁঠাল পাকাতে এসব রাসায়নিক পদার্থ বেশি মাত্রায় ব্যবহার হয়ে থাকে। ফলে ভোক্তাদের মাঝে বিরূপ প্রভাব পড়ে। পরিপক্ব কাঁঠাল স্তুপাকারে পলিথিনে মোড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা রাখলে এমনিতেই পেকে যায় সেক্ষেত্রে রাসায়নিক প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে না। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী এসব রাসানিক দ্রব্য মিশ্রিত কাঁঠাল খেলে আমাশয়, লিভারের রোগ, রাতকানা, শ্বাসকষ্ট, লিভার নষ্ট হওয়া, অ্যাজমা ও ক্যানসারের মতো জটিল রোগ হতে পারে ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্য বছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষিন্দর গ্রামের স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার কাঁঠাল বাগানে অন্যান্য বছরের তুলনায় ফলন বেশি হয়েছে। গারোবাজার অঞ্চলের মুরাইদ গ্রামের কাঁঠাল চাষি মীর ফজলুল হক জানান, তার বাগানে গত বছরের তুলনায় কাঁঠালের ফলন ভাল, কিন্তু দাম কম। সে জানায় গত বছর কাঁঠালের যে বাগান বিক্রি করা হয়েছে এক লাখ টাকা সেই বাগান এবার বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র চল্লিশ হাজার টাকা।
উপজেলার গারোবাজারের ব্যবসায়ী মো. জামাল হোসেন বলেন, বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক প্রয়োগ করে কাঁঠালের প্রাকৃতিক স্বাধ নষ্ট করায় স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন আর কাঁঠাল খেতে চায় না। শালিয়াবহ গ্রামের কাঁঠাল ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, কাঁঠালে রাসায়নিক দ্রব্য মিশানোর কারণে আমরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এর প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন।
ঘাটাইল উপজেলার প্রায় ১৫টি কাঁঠালের বাজার রয়েছে। গারো বাজার, সাগরদিঘী, জোড়দিঘী, আষাড়িয়া চালা, রামদেবপুর, শহর গোপিনপুর, ধলাপাড়া, দেওপাড়া, দেলুটিয়া, ছোনখোলা, চাপড়ি, পেচারহাট, মাকড়াই, কুশারিয়া উপজেলার বড় কাঁঠালের বাজার। এসব বাজার থেকে প্রতি হাটবার এক শ থেকে দেড় শতাধিক ট্রাক কাঁঠাল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায়। এ ছাড়াও ঘাটাইলের পার্শ্ববর্তী উপজেলা মধুপুর-সখিপুরেও উৎপাদন হয় প্রচুর কাঁঠাল। এবার ঘাটাইলে কাঁঠালের ফলন অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। কাঁঠালের আকারও হয়েছে বেশ বড়। প্রাকৃতিক আবহাওয়াগত কারণে এবারের কাঁঠাল একটু আগেই নামতে শুরু করেছে। মওসুমের শুরুতে এসব এলাকায় শুরু হয়েছে কাঁঠালে রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগের প্রতিযোগিতা। স্থানীয় ভাষায় রাসানিক প্রয়োগের এ পদ্ধতিকে ‘ শিক মারা’ বলে। প্রায় দেড় ফুট লম্বা লোহার শিক কাঁঠালের বোটা বরাবর ঢুকিয়ে দিয়ে ছিদ্র পথে সিরিঞ্জ দিয়ে বিষাক্ত কার্বাইড, ইথ্রায়েল, ইথিফন ও রাইপেন জাতীয় পদার্থ প্রয়োগ করা হয়। পরে স্তূপাকারে সাজিয়ে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে চাপা দিয়ে রাখলেই ২৪ ঘণ্টায় একটি কচি কাঁঠালও পেকে যায়। মেশিনে সেপ্র করেও রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে থাকেন কেউ কেউ। রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে কাঁঠাল পাকানোর ফলে নষ্ট হতে চলেছে ঘাটাইলের কাঁঠালের সুনাম। পাশাপাশি কাঁঠালের বজার হচ্ছে মন্দা এবং ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষক। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার নাথ বলেন, কচি কাঁঠাল পাকাতে এসব রাসায়নিক পদার্থ বেশি মাত্রায় ব্যবহার হয়ে থাকে। ফলে ভোক্তাদের মাঝে বিরূপ প্রভাব পড়ে। পরিপক্ব কাঁঠাল স্তুপাকারে পলিথিনে মোড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা রাখলে এমনিতেই পেকে যায় সেক্ষেত্রে রাসায়নিক প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে না। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী এসব রাসানিক দ্রব্য মিশ্রিত কাঁঠাল খেলে আমাশয়, লিভারের রোগ, রাতকানা, শ্বাসকষ্ট, লিভার নষ্ট হওয়া, অ্যাজমা ও ক্যানসারের মতো জটিল রোগ হতে পারে ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্য বছরের তুলনায় এবার কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষিন্দর গ্রামের স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার কাঁঠাল বাগানে অন্যান্য বছরের তুলনায় ফলন বেশি হয়েছে। গারোবাজার অঞ্চলের মুরাইদ গ্রামের কাঁঠাল চাষি মীর ফজলুল হক জানান, তার বাগানে গত বছরের তুলনায় কাঁঠালের ফলন ভাল, কিন্তু দাম কম। সে জানায় গত বছর কাঁঠালের যে বাগান বিক্রি করা হয়েছে এক লাখ টাকা সেই বাগান এবার বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র চল্লিশ হাজার টাকা।
উপজেলার গারোবাজারের ব্যবসায়ী মো. জামাল হোসেন বলেন, বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক প্রয়োগ করে কাঁঠালের প্রাকৃতিক স্বাধ নষ্ট করায় স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন আর কাঁঠাল খেতে চায় না। শালিয়াবহ গ্রামের কাঁঠাল ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, কাঁঠালে রাসায়নিক দ্রব্য মিশানোর কারণে আমরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এর প্রতিকার হওয়া প্রয়োজন।
No comments