চলতি হাওয়ার সঙ্গে ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ by আহমেদ মুনির
দর্শকে ঠাসা পাঁচতারকা হোটেল র্যাডিসন ব্লুর মোহনা মিলনায়তন |
চলতি
হাওয়া বা ফ্যাশনের ট্রেন্ডের সঙ্গে থাকতে হবে ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ। কাটিং বা
স্টাইলে চাই মৌলিকত্ব। ফিনিশিংও হতে হবে নিখুঁত। সব মিলিয়ে পোশাকটা হবে
পরিধানযোগ্য। এবারের ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড-প্রথম আলো ঈদ ফ্যাশন শোতে সেরা পোশাক
নির্বাচন করতে গিয়ে এসবই খেয়াল করেছেন পাঁচ বিচারক শিল্পী আহমেদ নেওয়াজ,
ডিজাইনার আইভি হাসান, এইচ এম ইলিয়াস, নূরে জান্নাত নিপা ও সিমাত মাহমুদ।
শিল্পী আহমেদ নেওয়াজ, আইভি হাসান ও এইচ এম ইলিয়াস অভিজ্ঞ তিন বিচারক ডিজাইনারদের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন পুরোপুরি। অবশ্য এ ক্ষেত্রে তরুণদের দোষও দিচ্ছেন না তাঁরা। নতুনদের মাথায় অনেক কিছু থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। গত বিশ বছরে চট্টগ্রামের ফ্যাশন আন্দোলন একটা সুস্পষ্ট ধারা তৈরি করেছে। এ বিষয়টা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তরুণ ডিজাইনারদের নিয়ে কর্মশালা ও গ্রুমিং করানোর প্রস্তাবও দিলেন তাঁরা।
আহমেদ নেওয়াজ বলেন, ‘মৌলিক ডিজাইন ও দেশি পোশাকশিল্পকে প্রমোট করার কথা মাথায় রেখে আমরা ফ্যাশন আন্দোলনের সূচনা করেছি। কিন্তু এখনকার অনেকের মাথায় এটা নেই। তাই আমি মনে করি তরুণ ডিজাইনারদের প্রতিযোগিতার তিন থেকে ছয় মাস আগ থেকেই গ্রুমিং করানো শুরু করা উচিত।’ উইমেন চেম্বারের সহসভাপতি ও ডিজাইনার আইভি হাসান দায়ী করলেন বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনকে। গতকাল প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘ট্রেন্ড ফলো করতে গিয়ে দেশের সংস্কৃতি ভুলে যাব, এটা কেমন কথা?’ তবে এরপরও চূড়ান্ত বাছাইয়ে বেশ ভালো পোশাকই উঠে এসেছে বলে তিনি জানালেন। জামদানি, মসলিন, সিল্কের কাপড়কে প্রাধান্য দিয়েছেন তাঁরা বাছাই করতে গিয়ে। এবার ঋতুর সঙ্গে মানানসই হালকা রঙের পোশাকই বেশি চলছে। পাশাপাশি মেয়েদের লম্বা ঝুলের ফ্লোর টাচ গাউন ধরনের সালোয়ার বেশি জমা পড়েছে।
বুটিক হাউস শৈল্পিকের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার এইচ এম ইলিয়াস অবশ্য হালের ট্রেন্ড পোশাকে আনার মধ্যে দোষের কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘ট্রেন্ড অনুযায়ী তৈরি না করলে ক্রেতারা কেন সেই পোশাক কিনবেন?’ তরুণ ডিজাইনারদের মধ্যে অন্য ঘাটতি লক্ষ করেছেন তিনি। ইলিয়াস বলেন, ‘ডিজাইনারদের অনেকেরই কোনো অবকাঠামো নেই। তাই ডিজাইন ভালো হলেও ফিনিশিং ভালো হয়নি অনেকের পোশাকের।’
এবার প্রতিযোগিতায় জমা পরা পোশাকের মধ্যে সালোয়ার–কামিজ ও শাড়ির কাজ ভালো ছিল বলে মন্তব্য করেন ডিজাইনার নূরে জান্নাত নিপা। তাঁর মতে, উৎসবের পোশাকে চলতি ট্রেন্ডটা উঠে আসবে। পাশাপাশি প্যাটার্ন আর রঙের বৈচিত্র্যও থাকতে হবে।
বিজিএমইএর ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক সিমাত মাহমুদও এবার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশি ডিজাইনের সঙ্গে পাশ্চাত্য ধাঁচের সংমিশ্রণ আর ভারসাম্যপূর্ণ পোশাক সেরা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শিল্পী আহমেদ নেওয়াজ, আইভি হাসান ও এইচ এম ইলিয়াস অভিজ্ঞ তিন বিচারক ডিজাইনারদের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন পুরোপুরি। অবশ্য এ ক্ষেত্রে তরুণদের দোষও দিচ্ছেন না তাঁরা। নতুনদের মাথায় অনেক কিছু থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। গত বিশ বছরে চট্টগ্রামের ফ্যাশন আন্দোলন একটা সুস্পষ্ট ধারা তৈরি করেছে। এ বিষয়টা ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তরুণ ডিজাইনারদের নিয়ে কর্মশালা ও গ্রুমিং করানোর প্রস্তাবও দিলেন তাঁরা।
আহমেদ নেওয়াজ বলেন, ‘মৌলিক ডিজাইন ও দেশি পোশাকশিল্পকে প্রমোট করার কথা মাথায় রেখে আমরা ফ্যাশন আন্দোলনের সূচনা করেছি। কিন্তু এখনকার অনেকের মাথায় এটা নেই। তাই আমি মনে করি তরুণ ডিজাইনারদের প্রতিযোগিতার তিন থেকে ছয় মাস আগ থেকেই গ্রুমিং করানো শুরু করা উচিত।’ উইমেন চেম্বারের সহসভাপতি ও ডিজাইনার আইভি হাসান দায়ী করলেন বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনকে। গতকাল প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘ট্রেন্ড ফলো করতে গিয়ে দেশের সংস্কৃতি ভুলে যাব, এটা কেমন কথা?’ তবে এরপরও চূড়ান্ত বাছাইয়ে বেশ ভালো পোশাকই উঠে এসেছে বলে তিনি জানালেন। জামদানি, মসলিন, সিল্কের কাপড়কে প্রাধান্য দিয়েছেন তাঁরা বাছাই করতে গিয়ে। এবার ঋতুর সঙ্গে মানানসই হালকা রঙের পোশাকই বেশি চলছে। পাশাপাশি মেয়েদের লম্বা ঝুলের ফ্লোর টাচ গাউন ধরনের সালোয়ার বেশি জমা পড়েছে।
বুটিক হাউস শৈল্পিকের স্বত্বাধিকারী ও ডিজাইনার এইচ এম ইলিয়াস অবশ্য হালের ট্রেন্ড পোশাকে আনার মধ্যে দোষের কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, ‘ট্রেন্ড অনুযায়ী তৈরি না করলে ক্রেতারা কেন সেই পোশাক কিনবেন?’ তরুণ ডিজাইনারদের মধ্যে অন্য ঘাটতি লক্ষ করেছেন তিনি। ইলিয়াস বলেন, ‘ডিজাইনারদের অনেকেরই কোনো অবকাঠামো নেই। তাই ডিজাইন ভালো হলেও ফিনিশিং ভালো হয়নি অনেকের পোশাকের।’
এবার প্রতিযোগিতায় জমা পরা পোশাকের মধ্যে সালোয়ার–কামিজ ও শাড়ির কাজ ভালো ছিল বলে মন্তব্য করেন ডিজাইনার নূরে জান্নাত নিপা। তাঁর মতে, উৎসবের পোশাকে চলতি ট্রেন্ডটা উঠে আসবে। পাশাপাশি প্যাটার্ন আর রঙের বৈচিত্র্যও থাকতে হবে।
বিজিএমইএর ফ্যাশন ইনস্টিটিউটের শিক্ষক সিমাত মাহমুদও এবার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশি ডিজাইনের সঙ্গে পাশ্চাত্য ধাঁচের সংমিশ্রণ আর ভারসাম্যপূর্ণ পোশাক সেরা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
No comments