ডিপ্লোম্যাটের দৃষ্টিতে মোদির ঢাকা সফর
গত
৬ ও ৭ই জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর শেষ করলেন।
এর মধ্য দিয়ে তিনি দক্ষিণ এশিয়াকে ঘিরে রাখা প্রতিবেশী দেশগুলোতে সফর
সমপন্ন করেন। তবে এখনও অবশ্য দুটি দেশ বাকি রয়ে গেছে। সেগুলোর একটি হলো
মালদ্বীপ, যেখানে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে কারাগারে আটকে রাখা
হয়েছে। আরেকটি দেশ হলো পাকিস্তান। দুদেশের সঙ্গেই ভারতের সমপর্ক তলানিতে।
তবে এসব ব্যতিক্রম সত্ত্বেও, এক বছর বয়সী ভারতীয় জনতা পার্টির বর্তমান
সরকার সফলভাবে ভারতের ‘প্রতিবেশীর অগ্রাধিকার’ (নেইবারহুড ফার্স্ট)
পররাষ্ট্রনীতির জানান দিয়েছে। ভারত অতীতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নীরব সমপর্ক
বজায় রেখেছে। কিন্তু বর্তমানে আগের সে নীতি পাল্টে গেছে। এ বিষয়টি সপষ্ট
হয়েছে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানে মোদিকে দেশগুলোর পার্লামেন্ট ও
জনগণের দেয়া উষ্ণ সম্বর্ধনায়। স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া এবং বহু চুক্তি ও প্রকল্প
স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলোও পরিষ্কার করে দিয়েছে, তারাও অধিকতর
সক্রিয় ও সহযোগিতা-প্রবণ ভারতকে দেখতে চায়। জাপানের ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনে
প্রকাশিত এক মতামত কলামে এমন মন্তব্য করা হয়েছে। এতে আরও লেখা হয়েছে,
মোদিও নিজের পররাষ্ট্রনীতিতে জোর দিয়েছেন দ্বিপক্ষীয় সহায়তার গুরুত্বের
প্রতি। তিনি শ্রীলঙ্কায় বিরোধী দলের নেতা মাহিন্দ রাজাপাকসে ও বাংলাদেশে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উভয় বৈঠকই ইতিবাচক
ছিল বলে খবর বেরিয়েছে। বৈঠকগুলো ছিল অতীত অবস্থান থেকে প্রস্থানের মতো।
যেমন: ২০১৩ সালে খালেদা জিয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির সঙ্গে
সাক্ষাতের আমন্ত্রণ রক্ষা করেননি।
মোদির সফরের সময়, বিভিন্ন চুক্তির ঘোষণা বা সমাপ্তি ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ভুটানের পাশে জল-বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণবিষয়ক ২০১৪ সালের একটি চুক্তি। রয়েছে খোলংচু পানি-বিদ্যুৎ প্রকল্পের সূচনা, নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতীয় কোমপানির সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি। এ সবই উভয় পক্ষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটায়। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে ভারত। কিন্তু এসব শুধুই সূচনা। যদি ভারত সরকার ও প্রতিবেশী দেশগুলো রাজনীতিকরণ বন্ধ করে, তাহলে সম্ভাবনা আকাশচুম্বী। তবে সমস্ত অগ্রগতি সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক দিন ধরেই আছে। এছাড়া ভারতের অতীত কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গিও বড় নিয়ামক। উদাহরণস্বরূপ, শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর অবদানের জন্য ২০০৮ সালে একটি স্মৃতিফলক নির্মিত হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতালাভে ভারতের অবদানও বাংলাদেশের সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী অ্যাওয়ার্ড অব লিবারেশন ওয়ার অনার পেয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে। একই পুরষ্কার পেয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীও। অবশ্য দুজনের কেউই সশরীরে হাজির হয়ে নিতে পারেননি ওই পুরস্কার।
দ্বিপক্ষীয় সমপর্ক স্থাপনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেয়া ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি করেছেন মোদি। এগুলো বাংলাদেশের সড়ক ও রেলপথের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত হবে। ভারতের জন্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযোগ রক্ষায় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট খুবই প্রয়োজন। আসিয়ান দেশগুলোতে প্রবেশাধিকার পেতে মিয়ানমার হয়েও সংযোগ দরকার ভারতের। বাংলাদেশের মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ভারতীয় জাহাজ ভিড়তে পারবে এখন। এর ফলে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে সমুদ্র বা নৌ যোগাযোগেও অগ্রগতি ঘটবে। ৪০ বছরেরও বেশি সময় পর স্থলসীমান্ত চুক্তির অনুমোদন হয়েছে। এটি ভাল সূচনা। কিন্তু এখন উভয় দেশকেই বিরতিহীনভাবে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কাজ করতে হবে। পাচার, মানব পাচার, অবৈধ অভিবাসনসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনের পাশাপাশি সীমান্তের উন্নততর ব্যবস্থাপনা উভয় দেশকেই লাভবান করবে। মোদিকে এখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারসমূহের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হবে। রাজ্য সরকারসমূহের সহযোগিতা ছাড়া স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এছাড়া সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকেও এ চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
যেহেতু ভারত একটি ফেডারেশন, তাই একই ইস্যুতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আসামে বিজেপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে একমত হয়েছে। আসামে কংগ্রেসদলীয় মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আগে থেকেই এ চুক্তির সমর্থক। তবে মোদির সফরে তাকেসহ মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ এ সবগুলো রাজ্যের সঙ্গেই বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে।
অনেক জটিলতা সত্ত্বেও স্থলসীমান্ত চুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজ্য সরকারসমূহের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করতে আরও সময় লাগবে। বিশেষ করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা নদীসমূহের পানি বণ্টনের ইস্যুতে। নদীর পানির ওপর সীমান্তের উভয় পাশের মানুষের জীবনযাত্রা নির্ভরশীল। তাই কেউই এ ব্যাপারে ছাড় দিতে রাজি নয়। সীমান্তের সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর পানি-বণ্টন নিয়ে সমাধানের দেখা মিলতে পারে। এছাড়া চীনের কাছ থেকেও পানির হিস্যা আদায়ে ঢাকার ভূমিকাকে বিবেচনা করতে হবে ভারতকে। কেননা, চীন থেকে যেসব নদী ভারতে প্রবেশ করেছে, সেসব অনেক নদীর পানিই চীন আটকে রেখেছে। যদি বাংলাদেশ-ভারত এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে চীনের সঙ্গে পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক কিছুর দেখা মিলতে পারবে।
বাণিজ্যের বিষয়ে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশের সংবেদনশীল ৫০০ কোটি ডলারের ঘাটতির অভিযোগের বিষয়ে নজর দিতে হবে। ভারত বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সে ধরনের একটি প্রস্তাবও দিয়েছে।
ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগের প্রতি বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকার ইতিবাচক সাড়া দেয়ায়, ভবিষ্যৎ সহযোগিতার একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এক সময় এটি উপ-আঞ্চলিক ধারণার সূত্রপাত ঘটাতে পারে। যেমন, বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমারের পারসপরিক সহযোগিতার ধারণা। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডরের ব্যাপারেও অগ্রগতি অর্জন সম্ভব। বহু বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এর জন্য প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এটি উপ-আঞ্চলিক অর্থনীতিতে বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে। ক্রমেই মিয়ানমারের মাধ্যমে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের করানোর মাধ্যমে এটি মোদির ‘প্রতিবেশীর অগ্রাধিকার’ নীতিকে ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতিতে প্রসারিত হতে সাহায্য করবে।
মোদির সফরের সময়, বিভিন্ন চুক্তির ঘোষণা বা সমাপ্তি ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে, ভুটানের পাশে জল-বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণবিষয়ক ২০১৪ সালের একটি চুক্তি। রয়েছে খোলংচু পানি-বিদ্যুৎ প্রকল্পের সূচনা, নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভারতীয় কোমপানির সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি। এ সবই উভয় পক্ষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটায়। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে ভারত। কিন্তু এসব শুধুই সূচনা। যদি ভারত সরকার ও প্রতিবেশী দেশগুলো রাজনীতিকরণ বন্ধ করে, তাহলে সম্ভাবনা আকাশচুম্বী। তবে সমস্ত অগ্রগতি সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক দিন ধরেই আছে। এছাড়া ভারতের অতীত কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গিও বড় নিয়ামক। উদাহরণস্বরূপ, শ্রীলঙ্কায় ভারতীয় শান্তিরক্ষী বাহিনীর অবদানের জন্য ২০০৮ সালে একটি স্মৃতিফলক নির্মিত হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতালাভে ভারতের অবদানও বাংলাদেশের সরকার স্বীকৃতি দিয়েছে। সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী অ্যাওয়ার্ড অব লিবারেশন ওয়ার অনার পেয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে। একই পুরষ্কার পেয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীও। অবশ্য দুজনের কেউই সশরীরে হাজির হয়ে নিতে পারেননি ওই পুরস্কার।
দ্বিপক্ষীয় সমপর্ক স্থাপনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে দেয়া ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি করেছেন মোদি। এগুলো বাংলাদেশের সড়ক ও রেলপথের অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত হবে। ভারতের জন্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে সংযোগ রক্ষায় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট খুবই প্রয়োজন। আসিয়ান দেশগুলোতে প্রবেশাধিকার পেতে মিয়ানমার হয়েও সংযোগ দরকার ভারতের। বাংলাদেশের মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ভারতীয় জাহাজ ভিড়তে পারবে এখন। এর ফলে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে সমুদ্র বা নৌ যোগাযোগেও অগ্রগতি ঘটবে। ৪০ বছরেরও বেশি সময় পর স্থলসীমান্ত চুক্তির অনুমোদন হয়েছে। এটি ভাল সূচনা। কিন্তু এখন উভয় দেশকেই বিরতিহীনভাবে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে কাজ করতে হবে। পাচার, মানব পাচার, অবৈধ অভিবাসনসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনের পাশাপাশি সীমান্তের উন্নততর ব্যবস্থাপনা উভয় দেশকেই লাভবান করবে। মোদিকে এখন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারসমূহের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হবে। রাজ্য সরকারসমূহের সহযোগিতা ছাড়া স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এছাড়া সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকেও এ চুক্তি বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
যেহেতু ভারত একটি ফেডারেশন, তাই একই ইস্যুতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গিতে পার্থক্য থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আসামে বিজেপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে একমত হয়েছে। আসামে কংগ্রেসদলীয় মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আগে থেকেই এ চুক্তির সমর্থক। তবে মোদির সফরে তাকেসহ মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ এ সবগুলো রাজ্যের সঙ্গেই বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে।
অনেক জটিলতা সত্ত্বেও স্থলসীমান্ত চুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজ্য সরকারসমূহের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করতে আরও সময় লাগবে। বিশেষ করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা নদীসমূহের পানি বণ্টনের ইস্যুতে। নদীর পানির ওপর সীমান্তের উভয় পাশের মানুষের জীবনযাত্রা নির্ভরশীল। তাই কেউই এ ব্যাপারে ছাড় দিতে রাজি নয়। সীমান্তের সবকিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর পানি-বণ্টন নিয়ে সমাধানের দেখা মিলতে পারে। এছাড়া চীনের কাছ থেকেও পানির হিস্যা আদায়ে ঢাকার ভূমিকাকে বিবেচনা করতে হবে ভারতকে। কেননা, চীন থেকে যেসব নদী ভারতে প্রবেশ করেছে, সেসব অনেক নদীর পানিই চীন আটকে রেখেছে। যদি বাংলাদেশ-ভারত এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে চীনের সঙ্গে পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক কিছুর দেখা মিলতে পারবে।
বাণিজ্যের বিষয়ে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশের সংবেদনশীল ৫০০ কোটি ডলারের ঘাটতির অভিযোগের বিষয়ে নজর দিতে হবে। ভারত বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সে ধরনের একটি প্রস্তাবও দিয়েছে।
ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগের প্রতি বাংলাদেশের শেখ হাসিনার সরকার ইতিবাচক সাড়া দেয়ায়, ভবিষ্যৎ সহযোগিতার একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এক সময় এটি উপ-আঞ্চলিক ধারণার সূত্রপাত ঘটাতে পারে। যেমন, বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমারের পারসপরিক সহযোগিতার ধারণা। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডরের ব্যাপারেও অগ্রগতি অর্জন সম্ভব। বহু বছর ধরে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এর জন্য প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এটি উপ-আঞ্চলিক অর্থনীতিতে বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে। ক্রমেই মিয়ানমারের মাধ্যমে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশের করানোর মাধ্যমে এটি মোদির ‘প্রতিবেশীর অগ্রাধিকার’ নীতিকে ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতিতে প্রসারিত হতে সাহায্য করবে।
No comments