বিকট শব্দে হঠাৎ ভেঙে পড়ল ছাদ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের পুরোনো হাসপাতাল ভবনের ছাদের একাংশ গতকাল দুপুরে সিঁড়ির ওপর ভেঙে পড়ে l প্রথম আলো |
টুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের পুরোনো হাসপাতাল ভবনের ছাদের একাংশ গতকাল বুধবার হঠাৎ ভেঙে পড়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ওই ভবনটিতে বর্তমানে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় রয়েছে। ঘটনার সময় ওই দুটি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভবন থেকে দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে যান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দোতলা ভবনটির দোতলায় ওঠার সিঁড়ির ওপর ছাদের বিশাল একটি অংশ ভেঙে পড়ে আছে। দোতলার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। দোতলার ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে মেঝে স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। বিমগুলো ফেটে রড বের হয়ে গেছে। ছাদের নিচে থাকা লোহার আড়ায় মরিচা ধরেছে। আর নিচতলার কক্ষগুলোর ছাদের অনেক স্থানের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মেঝে দেবে গেছে। ভবনটির দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। ফটকের কলাপসিবল গেটে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। ভবনটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র এস এম রাকিবুল আহসান ও কলাপাড়া থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫২ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২০১২ সালের ১৪ নভেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে ভবন থেকে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়টি স্থানান্তরের আবেদন জানানো হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ফের চিঠি দিয়ে কার্যালয়টি স্থানান্তরের তাগিদ দেওয়া হয়।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার বিজয় কৃষ্ণ বসু বলেন, ‘চরম ঝুঁকি নিয়ে আমরা প্রত্যেক দিন অফিস করি। তা ছাড়া ভবনটির দেয়াল, ছাদ ভিজে পানি প্রবেশ করায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল-দস্তাবেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এই অফিস জরুরি ভিত্তিতে স্থানান্তর করার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ভবনটিতে কীভাবে অফিস করছি, তা আমাদের মতো ভুক্তভোগীরা ছাড়া কেউ জানে না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএফপিও) কাছে পরপর তিনটি চিঠি দিয়ে এখান থেকে অফিস স্থানান্তরের কথা জানিয়েছি। অথচ তিনি আজ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেননি।’
ইউএইচএফপিও মো. লোকমান হাকিম বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। তারপরও পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালকের কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
ওই ভবনটিতে বর্তমানে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় রয়েছে। ঘটনার সময় ওই দুটি কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভবন থেকে দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে যান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দোতলা ভবনটির দোতলায় ওঠার সিঁড়ির ওপর ছাদের বিশাল একটি অংশ ভেঙে পড়ে আছে। দোতলার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। দোতলার ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে মেঝে স্যাঁতসেঁতে হয়ে আছে। বিমগুলো ফেটে রড বের হয়ে গেছে। ছাদের নিচে থাকা লোহার আড়ায় মরিচা ধরেছে। আর নিচতলার কক্ষগুলোর ছাদের অনেক স্থানের পলেস্তারা খসে পড়েছে। মেঝে দেবে গেছে। ভবনটির দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। ফটকের কলাপসিবল গেটে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। ভবনটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে কলাপাড়া পৌরসভার মেয়র এস এম রাকিবুল আহসান ও কলাপাড়া থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫২ সালে ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২০১২ সালের ১৪ নভেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে ভবন থেকে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়টি স্থানান্তরের আবেদন জানানো হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ফের চিঠি দিয়ে কার্যালয়টি স্থানান্তরের তাগিদ দেওয়া হয়।
উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার বিজয় কৃষ্ণ বসু বলেন, ‘চরম ঝুঁকি নিয়ে আমরা প্রত্যেক দিন অফিস করি। তা ছাড়া ভবনটির দেয়াল, ছাদ ভিজে পানি প্রবেশ করায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল-দস্তাবেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি গুরুত্বপূর্ণ এই অফিস জরুরি ভিত্তিতে স্থানান্তর করার পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. শাহআলম হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ভবনটিতে কীভাবে অফিস করছি, তা আমাদের মতো ভুক্তভোগীরা ছাড়া কেউ জানে না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (ইউএইচএফপিও) কাছে পরপর তিনটি চিঠি দিয়ে এখান থেকে অফিস স্থানান্তরের কথা জানিয়েছি। অথচ তিনি আজ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেননি।’
ইউএইচএফপিও মো. লোকমান হাকিম বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। তারপরও পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালকের কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
No comments