আইভীকে সরানোর দাবিতে শামীম ওসমানপন্থীদের নগরভবন ঘেরাও!
বিদেশি
দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন পরিদর্শনকালে মেয়র
সেলিনা হায়াৎ আইভীর অপসারণের দাবিতে শামীম ওসমানপন্থীরা নগরভবন ঘেরাও
করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নগর দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্য আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ডিএফআইডি প্রতিনিধিদলের বেলা ১১টায় মেয়রের সঙ্গে নগরভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত ছিল। ডিএফআইডির অর্থনীতিবিদ মিশেল সুল্টজ ও শান্তনু দাস, ব্র্যাক বাংলাদেশের ডিএফআইডির উপদেষ্টা হেলেন কাইন্ডসহ কয়েকজন ওই প্রতিনিধিদলটিতে ছিলেন। কিন্তু প্রতিনিধিরা নগরভবনে ঢোকার আগেই রাজনীতিতে শামীম ওসমানের অনুগত বলে পরিচিত লোকজন নগর ভবনের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা ইংরেজিতে লেখা ব্যানার প্রদর্শন করেন।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই করা ওই অবরোধ কর্মসূচিতে ঘেরাওকারীরা ‘আইভীর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘আইভীর চামড়া, তুলে নেব আমরা’ বলে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে মেয়র আইভী ঘেরাওকারীদের সামনে গিয়ে বলেন, ‘আমি তোমাদের সামনে এসেছি, এখন তোমাদের সৎ সাহস থাকলে পারলে জুতা মারো, চামড়া তুলে নাও।’ মেয়রের এ কথা শুনে অবরোধে নেতৃত্বদানকারীরা পিছু হটে যান। একপর্যায়ে যুবলীগের নেতা জানে আলম বিপ্লব মেয়র আইভীকে বলেন, ‘আপা এটা তো আমাদের স্লোগানের ভাষা।’
ঘেরাওকারীদের সঙ্গে কথা বলে আইভী কার্যালয়ে ফিরে যান। এরপর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, সহসভাপতি জাকিরুল আলম হেলাল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, নগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতির চেয়ারম্যান নাজমুল আলম সজল, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, বৃহত্তর তল্লা যুবলীগের সভাপতি জানে আলম বিপ্লব, সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ইশরাত জাহান স্মৃতি সেখানে বক্তব্য দেন। তাঁরা সবাই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ শামীম ওসমানের সমর্থক ও অনুগত হিসেবে পরিচিত।
বিদেশি দাতা সংস্থার ওই প্রতিনিধিরা বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নগরভবনে অবস্থান করেন। পুরোটা সময় শামীম ওসমানপন্থীরা ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন।
ঘেরাও কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে খোকন সাহা দাবি করেন, উন্নয়নের নামে মেয়র আইভী সিটি করপোরেশনের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সিটি করপোরেশনের চেয়ে পৌরসভা ভালো ছিল। কর না কমালে উন্নয়নবঞ্চিত মানুষ আগামী দিনে নগরভবন ঘেরাও করবে, মেয়রকে বেরোতে দেবে না। এবার বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা হলে নাগরিকেরা কর দেওয়া বন্ধ করে দেবে। তিনি আইভীকে মেয়র পদ থেকে অবিলম্বে অপসারণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
মেয়র আইভী তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার জন্য দেশি-বিদেশি অর্থায়নে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে সাংসদ শামীম ওসমানের অনুগতরা সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের পরিদর্শনকালে ইংরেজিতে লেখা ব্যানার নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন।
মেয়র আইভী বলেন, ‘নারী বলেই তারা আমাকে হেয় করার জন্য এই ধরনের পথ বেছে নিয়েছে। আমি যখন সাহস করে তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম, তখন তারা কুরুচিপূর্ণ স্লোগান বন্ধ করে চুপ হয়ে যায়। নেতৃত্বদানকারীদের অনেকে সটকে পড়ে। আমি তাদের মুখোমুখি হওয়ার পর, তারা আমার সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করেনি। হয়তো তারা বুঝতে পেরেছেন, কেউ তাদের ভুল বুঝিয়ে এ ধরনের কাজ করতে বাধ্য করাচ্ছে।’
এর আগেও বিদেশি দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা নগর ভবনে এলেই রাস্তায় গড়ে তোলা ট্রাক টার্মিনালে এলোপাতাড়ি ট্রাক রেখে অহেতুক যানজট সৃষ্টি করা হয় বলেও দাবি করেন মেয়র আইভী।
নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে ঘটনাস্থলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেকের নেতৃত্বে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ বিদেশি নাগরিকদের নগরভবনে নিরাপদে ঢুকতে ও বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
নগর দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্য আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ডিএফআইডি প্রতিনিধিদলের বেলা ১১টায় মেয়রের সঙ্গে নগরভবনে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত ছিল। ডিএফআইডির অর্থনীতিবিদ মিশেল সুল্টজ ও শান্তনু দাস, ব্র্যাক বাংলাদেশের ডিএফআইডির উপদেষ্টা হেলেন কাইন্ডসহ কয়েকজন ওই প্রতিনিধিদলটিতে ছিলেন। কিন্তু প্রতিনিধিরা নগরভবনে ঢোকার আগেই রাজনীতিতে শামীম ওসমানের অনুগত বলে পরিচিত লোকজন নগর ভবনের প্রবেশপথ অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তাঁরা ইংরেজিতে লেখা ব্যানার প্রদর্শন করেন।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই করা ওই অবরোধ কর্মসূচিতে ঘেরাওকারীরা ‘আইভীর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘আইভীর চামড়া, তুলে নেব আমরা’ বলে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে মেয়র আইভী ঘেরাওকারীদের সামনে গিয়ে বলেন, ‘আমি তোমাদের সামনে এসেছি, এখন তোমাদের সৎ সাহস থাকলে পারলে জুতা মারো, চামড়া তুলে নাও।’ মেয়রের এ কথা শুনে অবরোধে নেতৃত্বদানকারীরা পিছু হটে যান। একপর্যায়ে যুবলীগের নেতা জানে আলম বিপ্লব মেয়র আইভীকে বলেন, ‘আপা এটা তো আমাদের স্লোগানের ভাষা।’
ঘেরাওকারীদের সঙ্গে কথা বলে আইভী কার্যালয়ে ফিরে যান। এরপর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, সহসভাপতি জাকিরুল আলম হেলাল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, নগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতির চেয়ারম্যান নাজমুল আলম সজল, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, বৃহত্তর তল্লা যুবলীগের সভাপতি জানে আলম বিপ্লব, সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ইশরাত জাহান স্মৃতি সেখানে বক্তব্য দেন। তাঁরা সবাই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ শামীম ওসমানের সমর্থক ও অনুগত হিসেবে পরিচিত।
বিদেশি দাতা সংস্থার ওই প্রতিনিধিরা বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত নগরভবনে অবস্থান করেন। পুরোটা সময় শামীম ওসমানপন্থীরা ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত রাখেন।
ঘেরাও কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে খোকন সাহা দাবি করেন, উন্নয়নের নামে মেয়র আইভী সিটি করপোরেশনের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সিটি করপোরেশনের চেয়ে পৌরসভা ভালো ছিল। কর না কমালে উন্নয়নবঞ্চিত মানুষ আগামী দিনে নগরভবন ঘেরাও করবে, মেয়রকে বেরোতে দেবে না। এবার বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা হলে নাগরিকেরা কর দেওয়া বন্ধ করে দেবে। তিনি আইভীকে মেয়র পদ থেকে অবিলম্বে অপসারণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
মেয়র আইভী তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার জন্য দেশি-বিদেশি অর্থায়নে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে সাংসদ শামীম ওসমানের অনুগতরা সুপরিকল্পিতভাবে বিদেশি দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের পরিদর্শনকালে ইংরেজিতে লেখা ব্যানার নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন।
মেয়র আইভী বলেন, ‘নারী বলেই তারা আমাকে হেয় করার জন্য এই ধরনের পথ বেছে নিয়েছে। আমি যখন সাহস করে তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম, তখন তারা কুরুচিপূর্ণ স্লোগান বন্ধ করে চুপ হয়ে যায়। নেতৃত্বদানকারীদের অনেকে সটকে পড়ে। আমি তাদের মুখোমুখি হওয়ার পর, তারা আমার সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করেনি। হয়তো তারা বুঝতে পেরেছেন, কেউ তাদের ভুল বুঝিয়ে এ ধরনের কাজ করতে বাধ্য করাচ্ছে।’
এর আগেও বিদেশি দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা নগর ভবনে এলেই রাস্তায় গড়ে তোলা ট্রাক টার্মিনালে এলোপাতাড়ি ট্রাক রেখে অহেতুক যানজট সৃষ্টি করা হয় বলেও দাবি করেন মেয়র আইভী।
নগর ভবন ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে ঘটনাস্থলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেকের নেতৃত্বে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশ বিদেশি নাগরিকদের নগরভবনে নিরাপদে ঢুকতে ও বের হওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।
No comments