যিশুর পুনরুত্থান মহোৎসব by ফাদার প্যাট্রিক গমেজ
আজ
৫ এপ্রিল, রোববার। সারা পৃথিবীতে খ্রিষ্টবিশ্বাসীরা আজ মহাসমারোহে পালন
করছে মৃত্যুঞ্জয়ী প্রভু যিশুর গৌরবময় পুনরুত্থান মহোৎসব পাস্কা বা
ইস্টার। সবাই উচ্চকণ্ঠে গেয়ে উঠছে: আলেলুইয়া! অর্থাৎ জয় জয়, প্রভুর জয়!! ৩
এপ্রিল ছিল গুড ফ্রাইডে বা পুণ্য শুক্রবার। স্মরণ করা হয়েছে যিশুর
পরিত্রাণদায়ী মৃত্যু। মানুষ কৃচ্ছ্রসাধন করে, উপবাস বা রোজা থেকে নিজের
পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়েছে; নিজের পাপ স্বীকার করে ঈশ্বর ও মানুষের সঙ্গে
হয়েছে পুনর্মিলিত। আজ আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে, পালন করা হচ্ছে প্রভু
যিশুর গৌরবময় পুনরুত্থান।
পাস্কা: হিব্রু শব্দ পাস্কা মানেই হলো পেরিয়ে যাওয়া বা পার হয়ে যাওয়া। যিশুর পুনরুত্থান পাপের ওপর বিজয় এনেছে। মানুষকে পাপ থেকে মুক্ত করেছে। এই অর্থে আজকের এই মহোৎসবের নাম পাস্কা। যিশুর পুনরুত্থানে মানুষের জীবনে উষার আলোর উদয় হয়েছে। তাই এই পর্বের নাম ইস্টার।
ইস্টারের বড় মোমবাতি: বস্তুত শনিবার রাত থেকেই এই নবজীবনের মহোৎসব শুরু হয়। শনিবার রাতে নিস্তার জাগরণী উপাসনায় যিশুর পুনরুত্থান ঘোষণা করা হয় এবং সবাই মেতে ওঠে পুনরুত্থানের আনন্দে। জ্বালানো হয় পুনরুত্থানের প্রদীপ, এক বিরাট আকারের মোমবাতি, যা ঘোষণা করে যিশুর পুনরুত্থান মানুষের জীবনে এনেছে নতুন আলো, নতুন জীবন; যিশুর পুনরুত্থান দূরীভূত করেছে পাপের অন্ধকার; মানুষ মৃত্যুঞ্জয়ী যিশুখ্রিষ্টের সঙ্গে হয়েছে একীভূত। আজকের এই মহোৎসব আলোর মহোৎসব। এই উৎসব আমাদের সবাইকে আলোকিত মানুষ হয়ে, যিশুর সঙ্গে পুনরুত্থিত হয়ে তাঁর আলোতে উদ্ভাসিত হতে আহ্বান জানায়।
একটি আহ্বান: পুনরুত্থিত বা আলোকিত জীবনের দৃশ্যনীয় বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী হতে পারে? যেখানে আছে মিলন ও ভ্রাতৃত্ব, যেখানে আছে শান্তি, যেখানে ঝগড়া-বিবাদ নয় বরং আছে ক্ষমা, যেখানে আছে সরলতা ও স্বচ্ছতা, যেখানে নেই ধর্ষণ বা মানব-নিধন, যেখানে নেই কোনো ধর্মীয় গোঁড়ামি, যেখানে নেই মিথ্যার ছড়াছড়ি, সেখানেই তো নবজীবন, পুনরুত্থিত জীবন। আসুন, অন্ধকারের সব কার্যকলাপ পরিত্যাগ করে আমরা প্রত্যেকেই হয়ে উঠি আলোকিত মানুষ; আমাদের পরিবারকে, আমাদের সমাজকে, ব্যাপক পরিসরে আমাদের দেশকে করে তুলি আলোকিত। আজকের এই ইস্টার বা পুনরুত্থান পর্ব এমন অন্ধকারের জীবন থেকে বের হয়ে বাংলার মানুষকে আলোর রাজ্যে আসার আহ্বান জানায়।
বাংলার মানুষের মিলনের কৃষ্টি: বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই শান্ত মানুষ; ঐতিহ্যগতভাবেই আমাদের দেশের মানুষ মিলনের কৃষ্টির মানুষ; হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান একত্রে বাস করে আসছে যুগ যুগ ধরেই। অতএব আমাদের শক্তি আছে এই মূল্যবোধগুলো নিয়ে পাপময় বাস্তবতাগুলোর ওপর জয় করে পুনরুত্থিত মানুষে পরিণত হওয়া। আর এ প্রসঙ্গে যিশুর পুনরুত্থান আমাদের প্রত্যেকের জন্য পাপের ওপর বিজয়ী হওয়ার একটি বড় চেতনা ও প্রেরণা। পুনরুত্থান মহোৎসবের এই চেতনা-প্রেরণা শুধু খ্রিষ্টবিশ্বাসীদেরই নয়, এই মহোৎসবের আবেদন, তাগিদ ও এর আহ্বান সর্বজনীন।
পাস্কা ও বাংলা নববর্ষ: অত্যন্ত মজার দিকটা হলো, এ বছর পয়লা বৈশাখ ১৪ এপ্রিল; অর্থাৎ এই পাস্কা বা ইস্টার সানডের একটি সপ্তাহ পরেই। নববর্ষ তো নতুন জীবনই ঘোষণা করে। নতুনকে স্বাগত জানিয়ে সেদিন গেয়ে উঠব: এসো হে বৈশাখ, এসো এসো। একইভাবে আমরা এই পুনরুত্থান উৎসবে নতুন জীবনকে স্বাগত জানাই। আমাদের জীবন ঘোষণা করুক যে আমরা কথায়, কাজে, আচরণে, সম্পর্কে, ধর্মীয়, সামাজিক এমনকি রাজনৈতিক অঙ্গনে হয়েছি নতুন।
উৎসবে আন্তধর্মীয় আমেজ: আজ নতুন সাজে খ্রিষ্টবিশ্বাসী সবাই পুনরুত্থানে তথা উপাসনায় অংশ নেবে। গির্জাঘর থাকে খ্রিষ্টভক্ত দিয়ে পূর্ণ। উপাসনা বা নামাজের পরেই চলে আপন আপন কৃষ্টিতে ইস্টারের শুভেচ্ছা বিনিময়। ঘরে ঘরে আজ আয়োজন করা হয় দই-চিঁড়া-মুড়ি-মুড়কির মতো হরেক রকম মুখরোচক আহার সামগ্রী। এতে অংশ নেবে ঘরের সবাই, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই। এই আসরে অনেক সময়ই নিমন্ত্রিত হয় হিন্দু-মুসলিম ভাইবোনেরাও। শুভেচ্ছা জানায় তারাও। এভাবেই প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি ধর্মের মানুষ তথা গোটা বাংলাদেশ নতুন হয়ে ওঠে আন্তধর্মীয় আমেজে এই ইস্টার উৎসবে।
বড় আক্ষেপ: এই আনন্দের দিনেও একটি আক্ষেপ! ইস্টার তথা যিশুর পুনরুত্থান-রহস্য খ্রিষ্টধর্মের একটি প্রধান ধর্মীয় বিষয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠান। খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসের ভিত্তিই হলো যিশুর এই পুনরুত্থান। অন্যান্য ধর্মের যেমন প্রধান প্রধান ধর্মীয় পূজা বা ঈদ রয়েছে, ইস্টার তেমনিই একটি মুখ্য খ্রিষ্টীয় ধর্মীয় মহোৎসব। পরিতাপের বিষয়, দিনটি ছুটির দিন নয়। এই দিনটিতে খ্রিষ্টবিশ্বাসীরা মুক্ত ধারায় মহোৎসবটি পালন করতে পারছে না। এমনকি এই দিনটিতেই ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার তারিখও পড়ে যায়। দেশের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন, এটি আমাদের প্রত্যাশা। এই ইস্টারেও খ্রিষ্টবিশ্বাসী আমাদের সবার বিনম্র অনুরোধ যে এই দিনটিকে ঐচ্ছিক নয় বরং সাধারণ ছুটি হিসেবে অনুমোদন দিলে পুনরুত্থান রোববারে মুক্ত মন নিয়ে খ্রিষ্টান ছাত্রছাত্রীরা, চাকরিজীবীরা অর্থাৎ সব পর্যায়ের খ্রিষ্টান নারী-পুরুষ গির্জায় যেতে পারবে এবং পারিবারিক, সামাজিক, কৃষ্টিগত ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে; সর্বোপরি সর্বজনীনভাবে খ্রিষ্টবিশ্বাসের কেন্দ্রীয় রহস্যভিত্তিক এই মহোৎসবটি সবার কাছেই সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে, পরিচিত হবে।
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবার প্রতি রইল শুভ পাস্কা পর্বের প্রীতিপূর্ণ শুভেচ্ছা। পুনরুত্থিত যিশুর শান্তি ও আনন্দ সবার ঘরে ঘরে বিরাজ করুক। শুভ পাস্কা, শুভ পুনরুত্থান।
ফাদার প্যাট্রিক গমেজ: ক্যাথলিক ধর্মযাজক, রাজশাহী ক্যাথলিক ডায়োসিস, আহ্বায়ক আন্তধর্মীয় সংলাপ কমিশন।
পাস্কা: হিব্রু শব্দ পাস্কা মানেই হলো পেরিয়ে যাওয়া বা পার হয়ে যাওয়া। যিশুর পুনরুত্থান পাপের ওপর বিজয় এনেছে। মানুষকে পাপ থেকে মুক্ত করেছে। এই অর্থে আজকের এই মহোৎসবের নাম পাস্কা। যিশুর পুনরুত্থানে মানুষের জীবনে উষার আলোর উদয় হয়েছে। তাই এই পর্বের নাম ইস্টার।
ইস্টারের বড় মোমবাতি: বস্তুত শনিবার রাত থেকেই এই নবজীবনের মহোৎসব শুরু হয়। শনিবার রাতে নিস্তার জাগরণী উপাসনায় যিশুর পুনরুত্থান ঘোষণা করা হয় এবং সবাই মেতে ওঠে পুনরুত্থানের আনন্দে। জ্বালানো হয় পুনরুত্থানের প্রদীপ, এক বিরাট আকারের মোমবাতি, যা ঘোষণা করে যিশুর পুনরুত্থান মানুষের জীবনে এনেছে নতুন আলো, নতুন জীবন; যিশুর পুনরুত্থান দূরীভূত করেছে পাপের অন্ধকার; মানুষ মৃত্যুঞ্জয়ী যিশুখ্রিষ্টের সঙ্গে হয়েছে একীভূত। আজকের এই মহোৎসব আলোর মহোৎসব। এই উৎসব আমাদের সবাইকে আলোকিত মানুষ হয়ে, যিশুর সঙ্গে পুনরুত্থিত হয়ে তাঁর আলোতে উদ্ভাসিত হতে আহ্বান জানায়।
একটি আহ্বান: পুনরুত্থিত বা আলোকিত জীবনের দৃশ্যনীয় বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী হতে পারে? যেখানে আছে মিলন ও ভ্রাতৃত্ব, যেখানে আছে শান্তি, যেখানে ঝগড়া-বিবাদ নয় বরং আছে ক্ষমা, যেখানে আছে সরলতা ও স্বচ্ছতা, যেখানে নেই ধর্ষণ বা মানব-নিধন, যেখানে নেই কোনো ধর্মীয় গোঁড়ামি, যেখানে নেই মিথ্যার ছড়াছড়ি, সেখানেই তো নবজীবন, পুনরুত্থিত জীবন। আসুন, অন্ধকারের সব কার্যকলাপ পরিত্যাগ করে আমরা প্রত্যেকেই হয়ে উঠি আলোকিত মানুষ; আমাদের পরিবারকে, আমাদের সমাজকে, ব্যাপক পরিসরে আমাদের দেশকে করে তুলি আলোকিত। আজকের এই ইস্টার বা পুনরুত্থান পর্ব এমন অন্ধকারের জীবন থেকে বের হয়ে বাংলার মানুষকে আলোর রাজ্যে আসার আহ্বান জানায়।
বাংলার মানুষের মিলনের কৃষ্টি: বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই শান্ত মানুষ; ঐতিহ্যগতভাবেই আমাদের দেশের মানুষ মিলনের কৃষ্টির মানুষ; হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান একত্রে বাস করে আসছে যুগ যুগ ধরেই। অতএব আমাদের শক্তি আছে এই মূল্যবোধগুলো নিয়ে পাপময় বাস্তবতাগুলোর ওপর জয় করে পুনরুত্থিত মানুষে পরিণত হওয়া। আর এ প্রসঙ্গে যিশুর পুনরুত্থান আমাদের প্রত্যেকের জন্য পাপের ওপর বিজয়ী হওয়ার একটি বড় চেতনা ও প্রেরণা। পুনরুত্থান মহোৎসবের এই চেতনা-প্রেরণা শুধু খ্রিষ্টবিশ্বাসীদেরই নয়, এই মহোৎসবের আবেদন, তাগিদ ও এর আহ্বান সর্বজনীন।
পাস্কা ও বাংলা নববর্ষ: অত্যন্ত মজার দিকটা হলো, এ বছর পয়লা বৈশাখ ১৪ এপ্রিল; অর্থাৎ এই পাস্কা বা ইস্টার সানডের একটি সপ্তাহ পরেই। নববর্ষ তো নতুন জীবনই ঘোষণা করে। নতুনকে স্বাগত জানিয়ে সেদিন গেয়ে উঠব: এসো হে বৈশাখ, এসো এসো। একইভাবে আমরা এই পুনরুত্থান উৎসবে নতুন জীবনকে স্বাগত জানাই। আমাদের জীবন ঘোষণা করুক যে আমরা কথায়, কাজে, আচরণে, সম্পর্কে, ধর্মীয়, সামাজিক এমনকি রাজনৈতিক অঙ্গনে হয়েছি নতুন।
উৎসবে আন্তধর্মীয় আমেজ: আজ নতুন সাজে খ্রিষ্টবিশ্বাসী সবাই পুনরুত্থানে তথা উপাসনায় অংশ নেবে। গির্জাঘর থাকে খ্রিষ্টভক্ত দিয়ে পূর্ণ। উপাসনা বা নামাজের পরেই চলে আপন আপন কৃষ্টিতে ইস্টারের শুভেচ্ছা বিনিময়। ঘরে ঘরে আজ আয়োজন করা হয় দই-চিঁড়া-মুড়ি-মুড়কির মতো হরেক রকম মুখরোচক আহার সামগ্রী। এতে অংশ নেবে ঘরের সবাই, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই। এই আসরে অনেক সময়ই নিমন্ত্রিত হয় হিন্দু-মুসলিম ভাইবোনেরাও। শুভেচ্ছা জানায় তারাও। এভাবেই প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি সমাজ, প্রতিটি ধর্মের মানুষ তথা গোটা বাংলাদেশ নতুন হয়ে ওঠে আন্তধর্মীয় আমেজে এই ইস্টার উৎসবে।
বড় আক্ষেপ: এই আনন্দের দিনেও একটি আক্ষেপ! ইস্টার তথা যিশুর পুনরুত্থান-রহস্য খ্রিষ্টধর্মের একটি প্রধান ধর্মীয় বিষয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠান। খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসের ভিত্তিই হলো যিশুর এই পুনরুত্থান। অন্যান্য ধর্মের যেমন প্রধান প্রধান ধর্মীয় পূজা বা ঈদ রয়েছে, ইস্টার তেমনিই একটি মুখ্য খ্রিষ্টীয় ধর্মীয় মহোৎসব। পরিতাপের বিষয়, দিনটি ছুটির দিন নয়। এই দিনটিতে খ্রিষ্টবিশ্বাসীরা মুক্ত ধারায় মহোৎসবটি পালন করতে পারছে না। এমনকি এই দিনটিতেই ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার তারিখও পড়ে যায়। দেশের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ ব্যক্তিরা বিষয়টি বিবেচনায় আনবেন, এটি আমাদের প্রত্যাশা। এই ইস্টারেও খ্রিষ্টবিশ্বাসী আমাদের সবার বিনম্র অনুরোধ যে এই দিনটিকে ঐচ্ছিক নয় বরং সাধারণ ছুটি হিসেবে অনুমোদন দিলে পুনরুত্থান রোববারে মুক্ত মন নিয়ে খ্রিষ্টান ছাত্রছাত্রীরা, চাকরিজীবীরা অর্থাৎ সব পর্যায়ের খ্রিষ্টান নারী-পুরুষ গির্জায় যেতে পারবে এবং পারিবারিক, সামাজিক, কৃষ্টিগত ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে; সর্বোপরি সর্বজনীনভাবে খ্রিষ্টবিশ্বাসের কেন্দ্রীয় রহস্যভিত্তিক এই মহোৎসবটি সবার কাছেই সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে, পরিচিত হবে।
হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান—সবার প্রতি রইল শুভ পাস্কা পর্বের প্রীতিপূর্ণ শুভেচ্ছা। পুনরুত্থিত যিশুর শান্তি ও আনন্দ সবার ঘরে ঘরে বিরাজ করুক। শুভ পাস্কা, শুভ পুনরুত্থান।
ফাদার প্যাট্রিক গমেজ: ক্যাথলিক ধর্মযাজক, রাজশাহী ক্যাথলিক ডায়োসিস, আহ্বায়ক আন্তধর্মীয় সংলাপ কমিশন।
No comments