কৌশলে আগাম নির্বাচনী প্রচারণা প্রার্থীদের by কাজী জেবেল
ঢাকা
উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল,
যাচাই-বাছাইসহ দাফতরিক কাজে গত এক সপ্তাহ ধরে ব্যস্ত রিটার্নিং ও সহকারী
রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এ সুযোগে আগাম প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন
মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী। নির্বাচনী আচরণবিধি
অনুযায়ী আগাম প্রচারণার ওপর বিধিনিষেধ বহাল থাকায় কৌশলে নির্বাচনী প্রচারণা
চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক কার্যালয়, ধর্মীয় উপসনালয়,
পাড়া-মহল্লার ক্লাব ব্যবহার করছেন তারা। পোস্টার, ব্যানার সাঁটিয়ে প্রচারণা
চালাচ্ছেন কেউ কেউ। আগাম প্রচারণাকারী প্রার্থীদের বেশিরভাগই সরকারদলীয়
সমর্থক হওয়ায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো
ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার
কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া ছাড়া শাস্তিমূলক তেমন কোনো
কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
নির্বাচনী আচরণবিধি সঠিকভাবে প্রতিপালন হচ্ছে কিনা- তা দেখভালের জন্য তিন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সব মিলিয়ে ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। মাঠপর্যায়ে আচারণবিধি প্রতিপালন ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বিষয়ে প্রতিনিয়ত সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবহিত করছেন তারা। ম্যাজিস্ট্রেটদের একাধিক প্রতিবেদনে আগাম প্রচারণা চালানোর বিষয় উঠে এসেছে। কয়েকটি প্রতিবেদনে নির্বানী প্রচারণাসামগ্রী বিনষ্ট করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোট গ্রহণের আগের ২১ দিন আগে প্রচারণার কোনো সুযোগ নেই। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ৭ এপ্রিলের আগে কোনো প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
একাধিক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন ২৯ মার্চ থেকে অদ্যাবধি গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন রিটার্নিং ও সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। প্রার্থীদের তালিকা তৈরি, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থী সংখ্যা ও হলফনামার কপি কমিশনে পাঠানোসহ দাফতরিক কাজে সবাই ব্যস্ত। এ সময়ে প্রার্থীরা আচরণবিধি লংঘন করে প্রচারণা ও অন্যান্য নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন কিনা- তা দেখার জন্য মাঠপর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ পাননি নির্বাচন কর্মকর্তারা। ফলে ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন হচ্ছে কিনা- তা দেখার জন্য আমরা আগেভাগে ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করেছি। তারা বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন এবং আমাদের প্রতিনিয়ত রিপোর্ট দিচ্ছেন। তিনি বলেন, যেসব এলাকায় পোস্টার ও ব্যানার পাওয়া যাচ্ছে তা ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অপসারণ করা হচ্ছে। তবে যেসব স্থানে পোস্টার বা ব্যানার পাওয়া যাচ্ছে সেস্থানে প্রার্থীদের পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নিতে পারেন না। যাদের নির্বাচনীসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ, দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম ও চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৩ জনকে আগাম প্রচারণার দায়ে শোকজ করা হয়েছে। এদের মধ্যে শামসুল আলম চৌধুরী নামের একজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। একই সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৮১ জনকে শোকজ করা হয়েছে। চট্টগ্রামে হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলম, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সমর্থিত আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ তিন মেয়র প্রার্থী ও কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে মেয়র প্রার্থীদের আচরণবিধি লংঘনের ছবি ও সংবাদ প্রকাশের পর এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেশ কয়েকজন প্রার্থী মসজিদ এলাকায় প্রচারণা ও ভোট চেয়েছেন। কোথাও কোথাও ছোট আকারে মিছিল হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে নগরীতে রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো সরব হয়ে উঠেছে। দলীয় কার্যালয়গুলোতে বসে প্রার্থী ও সমর্থকরা নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিন সিটি কর্পোরেশনে আচরণবিধি সঠিকভাবে প্রতিপালন হচ্ছে কিনা- তা দেখভাল করছেন ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ম্যাজিস্ট্রেটদের একাধিক প্রতিবেদনে প্রার্থীদের আগাম প্রচারণার বিষয় উঠে এসেছে। ওই সব প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল কুদ্দূস ৩০ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনভুক্ত বঙ্গবাজার, বকশিবাজার, চকবাজার, নিউমার্কেট, ইসলামপুর, পাটুয়াটুলী, পাতলাখান লেন, কাঠেরপুল ও লোহারপুল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারজন মেয়র পদপ্রার্থীসহ ১৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং এর পরদিন ৩১ মার্চ ধোলাইপাড়, পোস্তগোলা, ফরিদাবাদ, গেণ্ডারিয়া ও জুরাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক মেয়র প্রার্থীসহ ছয় কাউন্সিলর প্রার্থীর রঙিন পোস্টার দেখেছেন বলে পৃথক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে মেয়র প্রার্থী বাবুল সর্দার চাখারী, বাবুবাজার এলাকায় মেয়র প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, সূত্রাপুরের কাঠের পুল গলিতে আরেক মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের সামনে কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, জসিম উদ্দিন জসিম, জিএম আতিকুর রহমান, রোকসানা ইসলাম চামেলী ও সারোয়ার ওবায়দুল চৌধুরী, চকবাজার এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী হাফেজ হাজী হারুন, সদরঘাট এলাকায় নজরুল ইসলাম, লক্ষ্মীবাজার এলাকায় গাজী সরোয়ার হোসেন বাবুসহ কয়েকজনের পোস্টার দেখা গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। তাদের একজন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থানে রঙিন পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচনীসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসব ঘটনায় ছয়জনকে জরিমানা করা হয়েছে। পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচনীসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি।
নির্বাচনী আচরণবিধি সঠিকভাবে প্রতিপালন হচ্ছে কিনা- তা দেখভালের জন্য তিন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সব মিলিয়ে ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। মাঠপর্যায়ে আচারণবিধি প্রতিপালন ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বিষয়ে প্রতিনিয়ত সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবহিত করছেন তারা। ম্যাজিস্ট্রেটদের একাধিক প্রতিবেদনে আগাম প্রচারণা চালানোর বিষয় উঠে এসেছে। কয়েকটি প্রতিবেদনে নির্বানী প্রচারণাসামগ্রী বিনষ্ট করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোট গ্রহণের আগের ২১ দিন আগে প্রচারণার কোনো সুযোগ নেই। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ৭ এপ্রিলের আগে কোনো প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
একাধিক সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন ২৯ মার্চ থেকে অদ্যাবধি গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন রিটার্নিং ও সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা। প্রার্থীদের তালিকা তৈরি, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই, প্রার্থী সংখ্যা ও হলফনামার কপি কমিশনে পাঠানোসহ দাফতরিক কাজে সবাই ব্যস্ত। এ সময়ে প্রার্থীরা আচরণবিধি লংঘন করে প্রচারণা ও অন্যান্য নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন কিনা- তা দেখার জন্য মাঠপর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ পাননি নির্বাচন কর্মকর্তারা। ফলে ম্যাজিস্ট্রেটদের কার্যক্রম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন হচ্ছে কিনা- তা দেখার জন্য আমরা আগেভাগে ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করেছি। তারা বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন এবং আমাদের প্রতিনিয়ত রিপোর্ট দিচ্ছেন। তিনি বলেন, যেসব এলাকায় পোস্টার ও ব্যানার পাওয়া যাচ্ছে তা ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অপসারণ করা হচ্ছে। তবে যেসব স্থানে পোস্টার বা ব্যানার পাওয়া যাচ্ছে সেস্থানে প্রার্থীদের পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নিতে পারেন না। যাদের নির্বাচনীসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ, দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম ও চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৩ জনকে আগাম প্রচারণার দায়ে শোকজ করা হয়েছে। এদের মধ্যে শামসুল আলম চৌধুরী নামের একজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন। একই সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৮১ জনকে শোকজ করা হয়েছে। চট্টগ্রামে হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলম, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সমর্থিত আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ তিন মেয়র প্রার্থী ও কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ করা হয়েছে। গণমাধ্যমে মেয়র প্রার্থীদের আচরণবিধি লংঘনের ছবি ও সংবাদ প্রকাশের পর এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর বেশ কয়েকজন প্রার্থী মসজিদ এলাকায় প্রচারণা ও ভোট চেয়েছেন। কোথাও কোথাও ছোট আকারে মিছিল হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন সামনে রেখে নগরীতে রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো সরব হয়ে উঠেছে। দলীয় কার্যালয়গুলোতে বসে প্রার্থী ও সমর্থকরা নির্বাচনী কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিন সিটি কর্পোরেশনে আচরণবিধি সঠিকভাবে প্রতিপালন হচ্ছে কিনা- তা দেখভাল করছেন ছয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ম্যাজিস্ট্রেটদের একাধিক প্রতিবেদনে প্রার্থীদের আগাম প্রচারণার বিষয় উঠে এসেছে। ওই সব প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল কুদ্দূস ৩০ মার্চ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনভুক্ত বঙ্গবাজার, বকশিবাজার, চকবাজার, নিউমার্কেট, ইসলামপুর, পাটুয়াটুলী, পাতলাখান লেন, কাঠেরপুল ও লোহারপুল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারজন মেয়র পদপ্রার্থীসহ ১৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী এবং এর পরদিন ৩১ মার্চ ধোলাইপাড়, পোস্তগোলা, ফরিদাবাদ, গেণ্ডারিয়া ও জুরাইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক মেয়র প্রার্থীসহ ছয় কাউন্সিলর প্রার্থীর রঙিন পোস্টার দেখেছেন বলে পৃথক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে মেয়র প্রার্থী বাবুল সর্দার চাখারী, বাবুবাজার এলাকায় মেয়র প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, সূত্রাপুরের কাঠের পুল গলিতে আরেক মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের সামনে কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ, জসিম উদ্দিন জসিম, জিএম আতিকুর রহমান, রোকসানা ইসলাম চামেলী ও সারোয়ার ওবায়দুল চৌধুরী, চকবাজার এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী হাফেজ হাজী হারুন, সদরঘাট এলাকায় নজরুল ইসলাম, লক্ষ্মীবাজার এলাকায় গাজী সরোয়ার হোসেন বাবুসহ কয়েকজনের পোস্টার দেখা গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় দু’জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন। তাদের একজন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থানে রঙিন পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচনীসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসব ঘটনায় ছয়জনকে জরিমানা করা হয়েছে। পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচনীসামগ্রী অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি।
No comments