চা-পল্লিতে উৎসবের আমেজ by উজ্জ্বল মেহেদী
আসছে পয়লা বৈশাখ। চলছে কেনাকাটা। সিলেটের লাক্কাতুরা চা-পল্লিতে ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে শাড়ি কিনছেন নারী চা-শ্রমিকেরা। ছবিটি গতকাল সকালে তোলা l আনিস মাহমুদ |
মৌসুমের
প্রথম ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে গতকাল শনিবার। তাতে চিকচিক করছিল চা গাছের
নতুন সবুজ পাতা। চা-পাতার ফাঁকে ছোট ছোট ঘরবসতির মানুষগুলোর মনেও নতুনের
সাজ। সামনে বৈশাখ, বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে চা-পল্লির ঘরদুয়ার
ধুয়েমুছে পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছিল। সেই সঙ্গে কেনাকাটাও।
এ কেনাকাটা চা-পল্লির গণ্ডি পেরিয়ে নয়, কিংবা যেতে হচ্ছে না কোনো হাটেও। চা-পল্লিতে বসেই চলছিল নানা রঙের শাড়ি, রঙিন ছাপ দেওয়া পোশাকের কেনাকাটা। সকালে ঠেলাগাড়ি করে এক গাদা পোশাক নিয়ে চা-পল্লিতে ঢুকতেই খুব বেশি হাঁকডাক দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি বিক্রেতার। তাঁকে ঘিরে ধরলেন চা-পল্লির বাসিন্দা নারীরা। দামও তেমন চড়া নয়। প্রতিটি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। ফলে বেশ জমে ওঠে কেনাবেচা।
লাক্কাতুরা চা-বাগানের দৃশ্য এটি। সিলেট নগরের উপকণ্ঠের চা-বাগান। গতকাল শনিবার সকালবেলা কয়েকটি চা-পল্লি ঘুরে দেখা গেল, নতুন বছরকে বরণ করতে সাধ্যমতো প্রস্তুতি চলছে ঘরে ঘরে। নতুন বছর বরণের উৎসবের একটি অনুষঙ্গ নতুন কাপড় কেনাকাটা। ফলে বেচাকেনা ভালোই হয়। সেই আসাতেই সকালবেলা ঠেলাগাড়ি নিয়ে লাক্কাতুরা চা-বাগানের পল্লিতে নতুন কাপড় নিয়ে এসেছিলেন ফেরিওয়ালা আজমল মিয়া।
আজমল জানালেন, উপলক্ষ বৈশাখ হওয়ায় বৈশাখী সাজের উপযুক্ত শাড়ি থেকে শুরু করে ছোটদের কাপড়ও নিয়ে এসেছেন তিনি। দামও রাখছেন হাটের কাপড় থেকে কম। এ কারণে চা-পল্লিতে প্রবেশ করতেই প্রচুর ক্রেতা এসেছেন কেনাকাটা করতে। কেউ কেউ আবার পছন্দের শাড়ির জন্য আগাম বায়নাও দিয়েছেন।
দিনমান শ্রম-ঘামের জীবন চা-শ্রমিকদের। বৈশাখ যেন এক নতুনের আনন্দ এনে দেয় একঘেয়ে জীবনে। লাক্কাতুরা চা-বাগানে বৈশাখকে বরণ করার জন্য প্রতিবছরই জমজমাট আয়োজন করা হয়। এই উৎসব শুরু হয় চৈত্রের শেষ দিন থেকে। চৈত্রসংক্রান্তিতে হয় চড়কপূজা। সিলেটের চা-বাগানগুলোর মধ্যে কেবল লাক্কাতুরা চা-বাগানেই চড়কপূজা ঘটা করে উদ্যাপিত হয়। সিলেট শহরতলির বিমানবন্দর সড়কের উভয় দিক তখন উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। চড়কপূজার আয়োজনে পুরো চা-বাগান যেন উৎসবে মাতে। পরের দিন হয় নববর্ষ বরণের বৈশাখী উৎসব।
চড়কপূজার সঙ্গে বৈশাখ বরণ করার উৎসব উদ্যাপনে চা-পল্লির তরুণেরা অগ্রণী ভূমিকা রাখেন বলে জানান ‘বাংলাদেশ চা-ছাত্র যুব পরিষদ’ সিলেটের আহ্বায়ক বিকাশ রঞ্জন দাস। লাক্কাতুরায় তিনটি টিলার মাঝখানে ফাঁকা চত্বরে চড়কপূজা হয়। এ উপলক্ষে ওই চা-বাগানসহ আশপাশ এলাকার বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলোর মধ্যে যেন মিলনমেলা বসে। এর আনন্দে নতুন কাপড়চোপড় কেনাকাটা চলছে। চা-বাগানের শ্রমজীবী পরিবারগুলোতে বছরজুড়ে শ্রম থেকে কিছু টাকা সঞ্চয় করার রেওয়াজ প্রচলিত রয়েছে। সারা বছরের সেই সঞ্চয়ের অর্থেই রঙিন হয়ে ওঠে চা-পল্লির মানুষগুলোর বৈশাখী উৎসব।
এ কেনাকাটা চা-পল্লির গণ্ডি পেরিয়ে নয়, কিংবা যেতে হচ্ছে না কোনো হাটেও। চা-পল্লিতে বসেই চলছিল নানা রঙের শাড়ি, রঙিন ছাপ দেওয়া পোশাকের কেনাকাটা। সকালে ঠেলাগাড়ি করে এক গাদা পোশাক নিয়ে চা-পল্লিতে ঢুকতেই খুব বেশি হাঁকডাক দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি বিক্রেতার। তাঁকে ঘিরে ধরলেন চা-পল্লির বাসিন্দা নারীরা। দামও তেমন চড়া নয়। প্রতিটি ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। ফলে বেশ জমে ওঠে কেনাবেচা।
লাক্কাতুরা চা-বাগানের দৃশ্য এটি। সিলেট নগরের উপকণ্ঠের চা-বাগান। গতকাল শনিবার সকালবেলা কয়েকটি চা-পল্লি ঘুরে দেখা গেল, নতুন বছরকে বরণ করতে সাধ্যমতো প্রস্তুতি চলছে ঘরে ঘরে। নতুন বছর বরণের উৎসবের একটি অনুষঙ্গ নতুন কাপড় কেনাকাটা। ফলে বেচাকেনা ভালোই হয়। সেই আসাতেই সকালবেলা ঠেলাগাড়ি নিয়ে লাক্কাতুরা চা-বাগানের পল্লিতে নতুন কাপড় নিয়ে এসেছিলেন ফেরিওয়ালা আজমল মিয়া।
আজমল জানালেন, উপলক্ষ বৈশাখ হওয়ায় বৈশাখী সাজের উপযুক্ত শাড়ি থেকে শুরু করে ছোটদের কাপড়ও নিয়ে এসেছেন তিনি। দামও রাখছেন হাটের কাপড় থেকে কম। এ কারণে চা-পল্লিতে প্রবেশ করতেই প্রচুর ক্রেতা এসেছেন কেনাকাটা করতে। কেউ কেউ আবার পছন্দের শাড়ির জন্য আগাম বায়নাও দিয়েছেন।
দিনমান শ্রম-ঘামের জীবন চা-শ্রমিকদের। বৈশাখ যেন এক নতুনের আনন্দ এনে দেয় একঘেয়ে জীবনে। লাক্কাতুরা চা-বাগানে বৈশাখকে বরণ করার জন্য প্রতিবছরই জমজমাট আয়োজন করা হয়। এই উৎসব শুরু হয় চৈত্রের শেষ দিন থেকে। চৈত্রসংক্রান্তিতে হয় চড়কপূজা। সিলেটের চা-বাগানগুলোর মধ্যে কেবল লাক্কাতুরা চা-বাগানেই চড়কপূজা ঘটা করে উদ্যাপিত হয়। সিলেট শহরতলির বিমানবন্দর সড়কের উভয় দিক তখন উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। চড়কপূজার আয়োজনে পুরো চা-বাগান যেন উৎসবে মাতে। পরের দিন হয় নববর্ষ বরণের বৈশাখী উৎসব।
চড়কপূজার সঙ্গে বৈশাখ বরণ করার উৎসব উদ্যাপনে চা-পল্লির তরুণেরা অগ্রণী ভূমিকা রাখেন বলে জানান ‘বাংলাদেশ চা-ছাত্র যুব পরিষদ’ সিলেটের আহ্বায়ক বিকাশ রঞ্জন দাস। লাক্কাতুরায় তিনটি টিলার মাঝখানে ফাঁকা চত্বরে চড়কপূজা হয়। এ উপলক্ষে ওই চা-বাগানসহ আশপাশ এলাকার বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিক পরিবারগুলোর মধ্যে যেন মিলনমেলা বসে। এর আনন্দে নতুন কাপড়চোপড় কেনাকাটা চলছে। চা-বাগানের শ্রমজীবী পরিবারগুলোতে বছরজুড়ে শ্রম থেকে কিছু টাকা সঞ্চয় করার রেওয়াজ প্রচলিত রয়েছে। সারা বছরের সেই সঞ্চয়ের অর্থেই রঙিন হয়ে ওঠে চা-পল্লির মানুষগুলোর বৈশাখী উৎসব।
No comments