সিইসির স্বেচ্ছাচারিতা- সমন্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ইসিকে কাজ করতে হবে
প্রধান
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ মনে হয় নিজেকেই ‘নির্বাচন
কমিশন’ (ইসি) ভাবতে শুরু করেছেন। একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক
চারজন কমিশনারের সমন্বয়েই যে ‘নির্বাচন কমিশন’, সেটা সম্ভবত তাঁর বিবেচনায়
নেই। ইসির চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কোনো ধরনের আলাপ-আলোচনা না করে
এবং তাঁদের উপেক্ষা করে সিইসি যেভাবে কাজ করছেন, এককভাবে সিদ্ধান্ত
নিচ্ছেন, তা অনেকটা স্বেচ্ছাচারিতার পর্যায়ে পড়ে।
সংবিধানে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে যে ইসি গঠনের কথা বলা হয়েছে, তার মূল চেতনাটি হচ্ছে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন। সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ নির্বাচনসংক্রান্ত সব কাজকে সমন্বিতভাবে ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব’ (১১৯ অনুচ্ছেদ) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশনে সিইসি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন কিন্তু এককভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ইসিতে সম্প্রতি যেসব কর্মকাণ্ড হয়েছে, সেখানে চার নির্বাচন কমিশনারকে স্পষ্টতই উপেক্ষা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত বৈঠকে কমিশনারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, বিএনপিপন্থী পেশাজীবী ও বিএনপির যে প্রতিনিধিদল ইসিতে গিয়েছিল, সেখানেও কমিশনারদের রাখা হয়নি, শুধু সিইসিই তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর এ ধরনের আচরণে কমিশনাররা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ, কিন্তু তিনি কেন এমন আচরণ করছেন, এর ব্যাখ্যা নেই।
এককভাবে কাজ করতে গিয়ে সিইসি বিভিন্ন আর্থিক ও অর্থসংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ যেভাবে নিজে অনুমোদন দিচ্ছেন, তা খুবই বিপজ্জনক। একজন কমিশনার অভিযোগ করেছেন, ‘নিবন্ধন বিভাগে হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। কে করছে, কীভাবে করছে, তা আমরা জানি না।’ এসব কাজ নিয়ে এরই মধ্যে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে এই কাজগুলোর দায়িত্ব এককভাবে সিইসিকেই নিতে হবে।
এটা পরিষ্কার যে একটি সমন্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন বর্তমানে কাজ করতে পারছে না। এতে ইসি আরও দুর্বল ও অকার্যকর হবে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের এই অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সংবিধানে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে যে ইসি গঠনের কথা বলা হয়েছে, তার মূল চেতনাটি হচ্ছে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন। সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ নির্বাচনসংক্রান্ত সব কাজকে সমন্বিতভাবে ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব’ (১১৯ অনুচ্ছেদ) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশনে সিইসি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন কিন্তু এককভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ নেই।
প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ইসিতে সম্প্রতি যেসব কর্মকাণ্ড হয়েছে, সেখানে চার নির্বাচন কমিশনারকে স্পষ্টতই উপেক্ষা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত বৈঠকে কমিশনারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, বিএনপিপন্থী পেশাজীবী ও বিএনপির যে প্রতিনিধিদল ইসিতে গিয়েছিল, সেখানেও কমিশনারদের রাখা হয়নি, শুধু সিইসিই তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর এ ধরনের আচরণে কমিশনাররা স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ, কিন্তু তিনি কেন এমন আচরণ করছেন, এর ব্যাখ্যা নেই।
এককভাবে কাজ করতে গিয়ে সিইসি বিভিন্ন আর্থিক ও অর্থসংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ যেভাবে নিজে অনুমোদন দিচ্ছেন, তা খুবই বিপজ্জনক। একজন কমিশনার অভিযোগ করেছেন, ‘নিবন্ধন বিভাগে হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। কে করছে, কীভাবে করছে, তা আমরা জানি না।’ এসব কাজ নিয়ে এরই মধ্যে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফলে এই কাজগুলোর দায়িত্ব এককভাবে সিইসিকেই নিতে হবে।
এটা পরিষ্কার যে একটি সমন্বিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন বর্তমানে কাজ করতে পারছে না। এতে ইসি আরও দুর্বল ও অকার্যকর হবে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের এই অবস্থা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
No comments