কলকাতার ডাক্তার সেজে প্রতারণার ফাঁদ by ওমর ফারুক সুমন
বাড়ি
আমার কলকাতার জলপাইগুড়ি। এমবিবিএস কলকাতা (নাক, কান ও গলা বিভাগ)।
সম্পূর্ণ বিনা অপারেশনে ইনজেকশনের সাহায্যে নাকের পলিপাস, মক্সিলারি,
সাইনোসাইটিস, গলার ফলিকিউলার, টন্সিলাইটিস, ফেরিনজাইটিস, কান পাকা, কানের
পর্দা ছিদ্র প্রভৃতি জটিল রোগের চিকিৎসা দিয়ে সম্পূর্ণ আরোগ্য করে থাকি।
আমি কলকাতা থেকে এসে প্রতিমাসে দু’দিন করে একটি চেম্বারে রোগীর চিকিৎসা
দেয়। যেখানে অপারেশন করে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয় সেখানে মাত্র ১৫-২০ হাজার
টাকায় সম্পূর্ণ আরোগ্য হয়ে যায়। ইনজেকশন এবং অন্য ওষুধগুলো সরাসরি কলকাতা
থেকে নিয়ে আসি। ঠিক এইরকম কিছু টকশো এবং সঙ্গে ব্যাগের ভিতর রক্ষিত
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় রোগী দেখার চেম্বারের লিফলেট প্রদর্শনপূর্বক
প্রায় ২৫ বছর ধরে ভুয়া ডাক্তার সেজে প্রতারণা করে আসছে। রোগীদের কাছ থেকে
আদায় করে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। প্রতারিত হচ্ছে হাজার হাজার রোগী।
প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্লা বাজারে
গড়ে তুলেছে রাজপ্রাসাদ।
নাম তার ভবেশ চন্দ্র ঘটক, পিতা-মৃত সুধন্যকুমার ঘটক। বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের পাকুল্যা বাজারে। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার হালালিয়া গ্রামে। তবে এটি তার প্রকৃত ঠিকানা হলেও দীর্ঘদিন ধরে ভারতের কলকাতার পরিচয় দিয়েই অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
অপরদিকে তার চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল ভিন্ন। আগে থেকেই ওষুধের নামসহ কম্পিউটারাইজ্ড করা থাকতো প্রেসক্রিপশন। সকল রোগীর জন্য একই ধরনের প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করতো। রোগী মারা না গেলেও কোন রোগী সুস্থ হয়েছে কিনা এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধান চালিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তার কিছু রোগী দেখার চেম্বার খুঁজে পাওয়া যায়। মুন্সীগঞ্জের পুরাতন কাচারী রোডের সেবা মেডিক্যাল হল, দিন মোহাম্মদ সুপার মার্কেট (৩য় তলা) সামাদ সুপার মার্কেট, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকার সাউথ এশিয়ান চক্ষু হাসতাপাল, হাজী মুনাম উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেট মার্কেট, ঢাকা রোড গাজীপুর চৌরাস্তার মেসার্স কুমিল্লা মেডিক্যাল হল, জারিয়া বাজার, পূর্বধলা, নেত্রকোনার বিস্মিল্লাহ্ মেডিক্যাল হল, খশির আবদুল্লাহপুর, বৈরাগীবাজার, বিয়ানীবাজার সিলেটের মেসার্স তাসমিয়া ফার্মেসি, ফুলপুর উপজেলার ময়মনসিংহের মেসার্স কায়সার ড্রাগ সেন্টার, শম্ভুগঞ্জ ময়মনসিংহের তামিম মেডিক্যাল হল। এছাড়া জানা-অজানা আরও অনেক ব্যাঙের ছাতার মতো চেম্বার রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। সে সমস্ত জায়গায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার সেজে প্রতারণা করে আসছে। কায়সার ড্রাগ সেন্টারের মালিক কায়সার আহমেদ জানান, আমার এখানে প্রায় ৫/৭ মাস রোগী দেখার জন্য প্রতি মাসের দুই মঙ্গলবার বসতেন। তার মাধ্যমে কোন রোগী ভাল হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই। হঠাৎ করে সে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছে। মোবাইল ফোন তার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কাইসার ড্রাগ সেন্টারের মাইকিং ম্যান জুলহাস মিয়া জানান, এই চেম্বারে কমপক্ষে ২ হাজার রোগীর কাছ থেকে জন প্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা নিয়েছে কিন্তু কোন রোগীই সুস্থ হয়নি। মুন্সীগঞ্জের সেবা মেডিক্যাল হলের জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঐ খানে তিনি মাসে দুইবার করে রোগী দেখতে যেতেন। কয়েক হাজার রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। ঠিক এমনিভাবে কুমিল্লা মেডিক্যাল হলের সাদেকুর রহমান, মেসার্স তাসমিয়া ফার্মেসির সইবন আহমদ, বিসমিল্লাহ্ মেডিক্যাল হলের নূরুল আমিন জানান, ডাক্তার ভবেশ চন্দ্র ঘটক প্রথমে এসে আমাদের এখানে চেম্বার করে রোগী দেখার প্রস্তাব করেন। তিনি কলকাতা থেকে আসেন এবং বাংলাদেশে তার শ্বশুরবাড়ি। প্রথমে তাকে রোগী দেখতে দিলে তার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। তখন আমরা তার সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে তিনি সেগুলো কলকাতায় রেখে এসেছেন বলে জানান। পরের তারিখে সার্টিফিকেট নিয়ে আসবেন বলে চলে যায় এবং পরবর্তীতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে।
এছাড়া ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জের তামিম মেডিক্যাল হলের মালিক মুস্তফা কামাল বলেন, ডা. ভবেশ চন্দ্র ঘটকের আরেক মহাজালিয়াতির কথা। তিনি জানান ডা. ভবেশ চন্দ্র ঘটকের মাইকিং ম্যান ফুলপুর উপজেলার জুলহাস উদ্দিনের মাধ্যমে তার পরিচয় ঘটে। রোগী দেখার চেম্বার দিতে চাইলে তিনি সরল মনে রাজি হন। ডা. ভবেশ কলকাতার জলপাইগুড়ির নাক, কান ও গলা বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এটা বিশ্বাস করেই চলে যায় ৮টি মাস। প্রতি মাসে ২দিন চলে রোগী দেখা। ভিড় জমতে থাকে রোগী দেখার সিরিয়াল। এরই মধ্যে ঘনিষ্ঠতা জমায় মুস্তফা কামালের সাথে। ডা. ভবেশ মাঝে মধ্যেই নিয়ে যেতেন ময়মনসিংহের সেরা রেস্টুরেন্ট ধানসিঁড়িতে। করতেন তাকে জামাই আদর। মুস্তফাও বিশ্বাস করতে থাকে ডা. ভবেশকে। এই সম্পর্ককে পুঁজি করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। কলকাতার জলপাইগুড়ির দোকান বিক্রি করে বাসার কাজ কমপ্লিট করবেন কিন্তু দোকান বিক্রি না করতে পারায় এমন অজুহাতে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবী জানান মুস্তফার কাছে। একই সঙ্গে কিছু লোভনীয় প্রস্তাবও দিয়েছেন যে, কলকাতার জলপাইগুড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যবসার সুযোগ করে দিবেন। এসব কথা বলেই মুস্তফার কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর থেকে ডা. ভবেশ চন্দ্র ঘটক নিখোঁজ। রোগী দেখা তার বন্ধ। অনুসন্ধান চলতে থাকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যায় ডা. ভবেশকে। কোন চেম্বারের মালিকরা বলতে পারে না ভুয়া ডা. ভবেশ চন্দ্রের প্রকৃত ঠিকানা কোথায়। একই সাথে চলতে থাকে তাকে খোঁজার চিরুনি অভিযান। খুঁজতে খুঁজতে তাকে পাওয়া যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্লা বাজারে ৬ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট অট্টালিকার ৪ তলা সমাপ্তকৃত একটি বিল্ডিং এর নিচের তলায়। প্রতারণার টাকা দিয়ে বিল্ডিংয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে চলছেন। অতঃপর কথা হয় তার সাথে। শুরুতে ধরা দিতে না চাইলেও এক সময় সকল কিছু ক্যামেরার সামনে অকপটে স্বীকার করেন। তিনি জানান, কলকাতায় তার কোন ঠিকানা নেই। ডাক্তারির সার্টিফিকেট দেখাতে বললে তা নেই বলে অস্বীকার করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ২৫ বছর ধরে তার চলছে এ অনিয়ম তা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, শুধু আমি কেন আমার মতো বাংলাদেশে প্রায় ২ হাজার ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার রয়েছে যারা আমার মত এভাবে চিকিৎসা দিয়ে আসছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভবেশ চন্দ্র ঘটক ডাক্তার কিনা আমরা কখনও শুনিনি।
নাম তার ভবেশ চন্দ্র ঘটক, পিতা-মৃত সুধন্যকুমার ঘটক। বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুরের পাকুল্যা বাজারে। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার হালালিয়া গ্রামে। তবে এটি তার প্রকৃত ঠিকানা হলেও দীর্ঘদিন ধরে ভারতের কলকাতার পরিচয় দিয়েই অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
অপরদিকে তার চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল ভিন্ন। আগে থেকেই ওষুধের নামসহ কম্পিউটারাইজ্ড করা থাকতো প্রেসক্রিপশন। সকল রোগীর জন্য একই ধরনের প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করতো। রোগী মারা না গেলেও কোন রোগী সুস্থ হয়েছে কিনা এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধান চালিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তার কিছু রোগী দেখার চেম্বার খুঁজে পাওয়া যায়। মুন্সীগঞ্জের পুরাতন কাচারী রোডের সেবা মেডিক্যাল হল, দিন মোহাম্মদ সুপার মার্কেট (৩য় তলা) সামাদ সুপার মার্কেট, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকার সাউথ এশিয়ান চক্ষু হাসতাপাল, হাজী মুনাম উদ্দিন ওয়াক্ফ এস্টেট মার্কেট, ঢাকা রোড গাজীপুর চৌরাস্তার মেসার্স কুমিল্লা মেডিক্যাল হল, জারিয়া বাজার, পূর্বধলা, নেত্রকোনার বিস্মিল্লাহ্ মেডিক্যাল হল, খশির আবদুল্লাহপুর, বৈরাগীবাজার, বিয়ানীবাজার সিলেটের মেসার্স তাসমিয়া ফার্মেসি, ফুলপুর উপজেলার ময়মনসিংহের মেসার্স কায়সার ড্রাগ সেন্টার, শম্ভুগঞ্জ ময়মনসিংহের তামিম মেডিক্যাল হল। এছাড়া জানা-অজানা আরও অনেক ব্যাঙের ছাতার মতো চেম্বার রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায়। সে সমস্ত জায়গায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার সেজে প্রতারণা করে আসছে। কায়সার ড্রাগ সেন্টারের মালিক কায়সার আহমেদ জানান, আমার এখানে প্রায় ৫/৭ মাস রোগী দেখার জন্য প্রতি মাসের দুই মঙ্গলবার বসতেন। তার মাধ্যমে কোন রোগী ভাল হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই। হঠাৎ করে সে রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছে। মোবাইল ফোন তার বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কাইসার ড্রাগ সেন্টারের মাইকিং ম্যান জুলহাস মিয়া জানান, এই চেম্বারে কমপক্ষে ২ হাজার রোগীর কাছ থেকে জন প্রতি ১৫-২০ হাজার টাকা নিয়েছে কিন্তু কোন রোগীই সুস্থ হয়নি। মুন্সীগঞ্জের সেবা মেডিক্যাল হলের জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ঐ খানে তিনি মাসে দুইবার করে রোগী দেখতে যেতেন। কয়েক হাজার রোগীর কাছ থেকে চিকিৎসার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। ঠিক এমনিভাবে কুমিল্লা মেডিক্যাল হলের সাদেকুর রহমান, মেসার্স তাসমিয়া ফার্মেসির সইবন আহমদ, বিসমিল্লাহ্ মেডিক্যাল হলের নূরুল আমিন জানান, ডাক্তার ভবেশ চন্দ্র ঘটক প্রথমে এসে আমাদের এখানে চেম্বার করে রোগী দেখার প্রস্তাব করেন। তিনি কলকাতা থেকে আসেন এবং বাংলাদেশে তার শ্বশুরবাড়ি। প্রথমে তাকে রোগী দেখতে দিলে তার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। তখন আমরা তার সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে তিনি সেগুলো কলকাতায় রেখে এসেছেন বলে জানান। পরের তারিখে সার্টিফিকেট নিয়ে আসবেন বলে চলে যায় এবং পরবর্তীতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে।
এছাড়া ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জের তামিম মেডিক্যাল হলের মালিক মুস্তফা কামাল বলেন, ডা. ভবেশ চন্দ্র ঘটকের আরেক মহাজালিয়াতির কথা। তিনি জানান ডা. ভবেশ চন্দ্র ঘটকের মাইকিং ম্যান ফুলপুর উপজেলার জুলহাস উদ্দিনের মাধ্যমে তার পরিচয় ঘটে। রোগী দেখার চেম্বার দিতে চাইলে তিনি সরল মনে রাজি হন। ডা. ভবেশ কলকাতার জলপাইগুড়ির নাক, কান ও গলা বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এটা বিশ্বাস করেই চলে যায় ৮টি মাস। প্রতি মাসে ২দিন চলে রোগী দেখা। ভিড় জমতে থাকে রোগী দেখার সিরিয়াল। এরই মধ্যে ঘনিষ্ঠতা জমায় মুস্তফা কামালের সাথে। ডা. ভবেশ মাঝে মধ্যেই নিয়ে যেতেন ময়মনসিংহের সেরা রেস্টুরেন্ট ধানসিঁড়িতে। করতেন তাকে জামাই আদর। মুস্তফাও বিশ্বাস করতে থাকে ডা. ভবেশকে। এই সম্পর্ককে পুঁজি করে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। কলকাতার জলপাইগুড়ির দোকান বিক্রি করে বাসার কাজ কমপ্লিট করবেন কিন্তু দোকান বিক্রি না করতে পারায় এমন অজুহাতে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবী জানান মুস্তফার কাছে। একই সঙ্গে কিছু লোভনীয় প্রস্তাবও দিয়েছেন যে, কলকাতার জলপাইগুড়িতে নিয়ে গিয়ে ব্যবসার সুযোগ করে দিবেন। এসব কথা বলেই মুস্তফার কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর থেকে ডা. ভবেশ চন্দ্র ঘটক নিখোঁজ। রোগী দেখা তার বন্ধ। অনুসন্ধান চলতে থাকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যায় ডা. ভবেশকে। কোন চেম্বারের মালিকরা বলতে পারে না ভুয়া ডা. ভবেশ চন্দ্রের প্রকৃত ঠিকানা কোথায়। একই সাথে চলতে থাকে তাকে খোঁজার চিরুনি অভিযান। খুঁজতে খুঁজতে তাকে পাওয়া যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্লা বাজারে ৬ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট অট্টালিকার ৪ তলা সমাপ্তকৃত একটি বিল্ডিং এর নিচের তলায়। প্রতারণার টাকা দিয়ে বিল্ডিংয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে চলছেন। অতঃপর কথা হয় তার সাথে। শুরুতে ধরা দিতে না চাইলেও এক সময় সকল কিছু ক্যামেরার সামনে অকপটে স্বীকার করেন। তিনি জানান, কলকাতায় তার কোন ঠিকানা নেই। ডাক্তারির সার্টিফিকেট দেখাতে বললে তা নেই বলে অস্বীকার করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ২৫ বছর ধরে তার চলছে এ অনিয়ম তা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, শুধু আমি কেন আমার মতো বাংলাদেশে প্রায় ২ হাজার ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার রয়েছে যারা আমার মত এভাবে চিকিৎসা দিয়ে আসছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভবেশ চন্দ্র ঘটক ডাক্তার কিনা আমরা কখনও শুনিনি।
No comments