খবরে 'খবর' হোক by মাহফুজুর রহমান মানিক
কোনো
কিছুর অবস্থা যাচাইয়ের নানা পদ্ধতি রয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে
ব্যক্তির জ্বর আছে কি-না বোঝা যায়। চোখের পানি ব্যক্তির অনুভূতির পরিচায়ক। এ
রকম প্রত্যেকটির অবস্থা পরিমাপ করতে একেকটি যন্ত্র, স্কেল বা পরিমাপক আছে।
ভূমিকম্প হলে রিখটার স্কেল বলে দেয় তার মাত্রা কেমন। পাল্লা বলে দেয়
বস্তুর ওজন। ল্যাক্টোমিটারে দুধের বিশুদ্ধতা পরিমাপ হয় কিংবা পরীক্ষা
প্রমাণ করে শিক্ষার্থীর মেধা। তারপরও কিছু থেকে যায়। যেগুলো মাপার সাধারণ
যন্ত্র নেই। অবস্থা বোঝার বৈজ্ঞানিক সূত্র নেই। তবুও বিভিন্নভাবে আমরা
অনুভব করি।
সংবাদমাধ্যমে নীতিনির্ধারণের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কাজ সংবাদ নিয়ে। সংবাদকে তারাও বিভিন্নভাবে মাপেন। কোন খবর বড় করে দেবেন, কোনটা ছোট করবেন_ এটা তাদের বিবেচ্য। এ বিবেচনারও হয়তো নানা মাত্রা আছে। নির্দিষ্ট জেলার খবর হলে ওই জেলার পত্রিকায় ঘটনাটি যতটা গুরুত্ব পাবে, জাতীয় পত্রিকায় আসলে খবরটি হয়তো সে গুরুত্ব পাবে না। সংবাদমাধ্যমের নির্দিষ্ট নীতি অনুযায়ী কোনো খবর ছোট-বড় হতে পারে। এর বাইরেও সর্বজনীন বলে কথা আছে। কোনো জেলায় কিংবা দেশের কোনো জায়গায় একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটলে, সেখানে অন্তত একশ' মানুষ মারা গেলে দেশের সব সংবাদমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম কোনটা হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা খবরের মাত্রাগত দিক থেকে যতটা সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য মানুষের প্রত্যাশার কারণে।
এ রকম বড় ঘটনা অবশ্য প্রধান খবর হয়ে প্রকাশ হওয়ার মানে এটাও প্রমাণ করে, প্রশাসনের মনোযোগের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দুর্ঘটনাটি। এটা অবশ্য প্রত্যেক খবরের ক্ষেত্রেই সত্য। খবরটি প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে সেটি মানুষ যেমন জানছে, তেমনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও যেন তা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
দেশে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যে সংকট চলছে, তার খবর বলা চলে প্রতিনিয়তই দেশের সবক'টি সংবাদমাধ্যমে প্রধান খবর হিসেবে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়ে আসছে। খবরটি কেবল দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, দেশের সীমানা পেরিয়ে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক প্রায় সব সংবাদমাধ্যমেই গুরুত্বের সঙ্গে এসেছে। এ সংকট কতটা গুরুতর, তা হয়তো এটা দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক অনেক সংবাদমাধ্যমই আছে, যেখানে স্বাভাবিক সময়ে হয়তো ২-৩ মাসের মধ্যেও বাংলাদেশের খবর পাওয়া যায় না। সে একই সংবাদমাধ্যমে এই সময়ে খবর হয়েছে ৪-৫টি কিংবা তারও বেশি। এমনকি হয়তো একই দিনে দুটি খবরও প্রকাশ হয়েছে। এখানে খবরের সংখ্যা যত না গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে বেশি সংকটের মাত্রা। তবে এটাও বলে রাখা দরকার, নেতিবাচক সংবাদই বলা চলে সংবাদমাধ্যমে বেশি আসে। খুব ভালো খবর না হলে স্বাভাবিক অবস্থার খবর আন্তর্জাতিক মাধ্যমে তেমন দেখা যায় না। কিন্তু বলার বিষয় হলো, যে সংকটটি প্রতিনিয়ত আমাদের সংবাদমাধ্যমে প্রধান খবর হয়ে আসছে। সে সংকটটি পেট্রোল বোমায় মানুষ মেরে আরও ঘনীভূত হচ্ছে। যে সংকটটি দেশের ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা অনিশ্চিত করছে। যে সংকটের অনিশ্চয়তায় রয়েছে ৩০ লাখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা। যার কারণে অর্থনীতির হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কাজ হারাচ্ছে, খেতে পারছে না_ সে সংকটটি আসলে কতটা 'সংকট' হিসেবে আমাদের কর্ণধাররা বিবেচনা করছেন তা জানা নেই। তবে রাজনৈতিক এ সংকট ও অচলাবস্থায় যে রাজনীতিবিদদেরই এগিয়ে আসতে হবে। খবরে সময় থাকতে খবর না হলে, হয়তো তাদের রাজনীতি থাকবে, কিন্তু যাদের জন্য রাজনীতি করবেন, তারা থাকবে কি?
সংবাদমাধ্যমে নীতিনির্ধারণের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কাজ সংবাদ নিয়ে। সংবাদকে তারাও বিভিন্নভাবে মাপেন। কোন খবর বড় করে দেবেন, কোনটা ছোট করবেন_ এটা তাদের বিবেচ্য। এ বিবেচনারও হয়তো নানা মাত্রা আছে। নির্দিষ্ট জেলার খবর হলে ওই জেলার পত্রিকায় ঘটনাটি যতটা গুরুত্ব পাবে, জাতীয় পত্রিকায় আসলে খবরটি হয়তো সে গুরুত্ব পাবে না। সংবাদমাধ্যমের নির্দিষ্ট নীতি অনুযায়ী কোনো খবর ছোট-বড় হতে পারে। এর বাইরেও সর্বজনীন বলে কথা আছে। কোনো জেলায় কিংবা দেশের কোনো জায়গায় একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটলে, সেখানে অন্তত একশ' মানুষ মারা গেলে দেশের সব সংবাদমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম কোনটা হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা খবরের মাত্রাগত দিক থেকে যতটা সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য মানুষের প্রত্যাশার কারণে।
এ রকম বড় ঘটনা অবশ্য প্রধান খবর হয়ে প্রকাশ হওয়ার মানে এটাও প্রমাণ করে, প্রশাসনের মনোযোগের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দুর্ঘটনাটি। এটা অবশ্য প্রত্যেক খবরের ক্ষেত্রেই সত্য। খবরটি প্রকাশ হওয়ার মাধ্যমে সেটি মানুষ যেমন জানছে, তেমনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও যেন তা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
দেশে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যে সংকট চলছে, তার খবর বলা চলে প্রতিনিয়তই দেশের সবক'টি সংবাদমাধ্যমে প্রধান খবর হিসেবে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়ে আসছে। খবরটি কেবল দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, দেশের সীমানা পেরিয়ে প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক প্রায় সব সংবাদমাধ্যমেই গুরুত্বের সঙ্গে এসেছে। এ সংকট কতটা গুরুতর, তা হয়তো এটা দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক অনেক সংবাদমাধ্যমই আছে, যেখানে স্বাভাবিক সময়ে হয়তো ২-৩ মাসের মধ্যেও বাংলাদেশের খবর পাওয়া যায় না। সে একই সংবাদমাধ্যমে এই সময়ে খবর হয়েছে ৪-৫টি কিংবা তারও বেশি। এমনকি হয়তো একই দিনে দুটি খবরও প্রকাশ হয়েছে। এখানে খবরের সংখ্যা যত না গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে বেশি সংকটের মাত্রা। তবে এটাও বলে রাখা দরকার, নেতিবাচক সংবাদই বলা চলে সংবাদমাধ্যমে বেশি আসে। খুব ভালো খবর না হলে স্বাভাবিক অবস্থার খবর আন্তর্জাতিক মাধ্যমে তেমন দেখা যায় না। কিন্তু বলার বিষয় হলো, যে সংকটটি প্রতিনিয়ত আমাদের সংবাদমাধ্যমে প্রধান খবর হয়ে আসছে। সে সংকটটি পেট্রোল বোমায় মানুষ মেরে আরও ঘনীভূত হচ্ছে। যে সংকটটি দেশের ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা অনিশ্চিত করছে। যে সংকটের অনিশ্চয়তায় রয়েছে ৩০ লাখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা। যার কারণে অর্থনীতির হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কাজ হারাচ্ছে, খেতে পারছে না_ সে সংকটটি আসলে কতটা 'সংকট' হিসেবে আমাদের কর্ণধাররা বিবেচনা করছেন তা জানা নেই। তবে রাজনৈতিক এ সংকট ও অচলাবস্থায় যে রাজনীতিবিদদেরই এগিয়ে আসতে হবে। খবরে সময় থাকতে খবর না হলে, হয়তো তাদের রাজনীতি থাকবে, কিন্তু যাদের জন্য রাজনীতি করবেন, তারা থাকবে কি?
No comments