নেপথ্যে দায়িত্বে অবহেলা ও জনবল সংকট! -ওসমানীতে তদন্ত কমিটি by চয়ন চৌধুরী ও ফয়সল আহমদ বাবলু
(বুধবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি সমকাল) সিলেটে
এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশি সংখ্যক রোগীর মৃত্যুর নেপথ্যে
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সদের 'দায়িত্বে অবহেলার' অভিযোগ জোরালো হচ্ছে। ১০
শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যুকে 'সংখ্যায় অস্বাভাবিক' স্বীকার করলেও কারণ হিসেবে
স্বাভাবিক রোগ বলে শুরু থেকেই দাবি সংশ্লিষ্টদের। তবে ২৪ ঘণ্টায়
'অস্বাভাবিক সংখ্যক' রোগীর মৃত্যুতে অবহেলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে
দেখছে তদন্ত কমিটি। অন্যদিকে সীমিত সংখ্যক জনবল ও স্বল্প সুযোগ-সুবিধায়
প্রতিদিন বেশি সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে এমন দাবি
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এ অবস্থায় হাসপাতালে নতুন করে আরও জনবল নিয়োগের
প্রস্তাবও গেছে মন্ত্রণালয়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ 'স্বাভাবিক মৃত্যু' বলে
দাবি করলেও রোগীর স্বজনরা সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তোলেন।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব
মো. মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি সরেজমিন কাজে নেমেছে।
এই কমিটির অপর দুই সদস্য স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (হাসপাতাল ও নার্সিং)
সামিউল ইসলাম সাদি ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা.
আবিদ হোসেন রাবি্ব। এ কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
তদন্তের বিষয় প্রসঙ্গে ডা. আবিদ বলেন, মৃত্যুর পেছনে কোনো অস্বাভাবিকতা আছে
কি-না কিংবা মৃত্যুগুলো স্বাভাবিক ছিল কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য
চিকিৎসাপত্র ও ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দেখা হবে।
গতকাল মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা প্রথমে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুস ছবুর মিঞাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তারা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডসহ রোগী মারা যাওয়া অন্য ওয়ার্ডগুলো পরিদর্শন করেন এবং রোগী-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্তকালে তারা সকল পক্ষের সঙ্গেই কথা বলবেন উল্লেখ করে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. আবিদ বলেন, অবহেলার কারণে একসঙ্গে এত মৃত্যু হলে হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে। রোগীদের চিকিৎসাপত্র পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তারা বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেবেন বলে জানান ডা. আবিদ। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইসমাইল পাটোয়ারীর নেতৃত্বাধীন অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি আলাদাভাবে কাজ করবে জানালেও প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি। ডা. আবিদ বলেন, তারা (অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি) আলাদাভাবে রিপোর্ট তৈরি করবেন। তবে ওই দিনের রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছে এমন কেউ যদি তদন্ত কমিটিতে থাকেন, তাহলে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বেশি সংখ্যক রোগীর মৃত্যুর পর তোলপাড়ের মধ্যে হাসপাতালের অন্যান্য রোগী-স্বজনের মধ্যেও আতঙ্ক-উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মোট ১ হাজার ৬৪৬ রোগীর মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়; যার মধ্যে ৬ শিশু রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাসপাতালের শিশু বিভাগের অধীন ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে অতিরিক্ত ইন্টার্নি চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে সূত্র জানায়। যদিও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুস ছবুর মিঞা এমন তথ্য অস্বীকার করেন। পরিচালক আবদুস ছবুর মিঞা জানান, মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও আলাদাভাবে তাদের কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হলেও এখন তা কমিয়ে তিন দিন করা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার জন্য তিন সদস্যের কমিটিতে আরও তিনজনকে কো-অপ্ট করা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের জনবল সংকট নিরসনে নতুন করে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সমকালের কাছেও প্রস্তাবের একটি কপি রয়েছে; যাতে ২১৬ জন চিকিৎসক ও ১৯৩ জন নার্স নিয়োগের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের মঞ্জুরিকৃত ২৪১টি পদ থাকলেও বর্তমানে ১৮১ জন কর্মরত রয়েছেন। অন্যদিকে মঞ্জুরিকৃত ৪৫১ জন নার্সের মধ্যে কর্মরত ৩০৬ জন।
গতকাল মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা প্রথমে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুস ছবুর মিঞাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তারা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডসহ রোগী মারা যাওয়া অন্য ওয়ার্ডগুলো পরিদর্শন করেন এবং রোগী-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্তকালে তারা সকল পক্ষের সঙ্গেই কথা বলবেন উল্লেখ করে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. আবিদ বলেন, অবহেলার কারণে একসঙ্গে এত মৃত্যু হলে হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করা হবে। রোগীদের চিকিৎসাপত্র পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তারা বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেবেন বলে জানান ডা. আবিদ। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইসমাইল পাটোয়ারীর নেতৃত্বাধীন অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি আলাদাভাবে কাজ করবে জানালেও প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি। ডা. আবিদ বলেন, তারা (অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি) আলাদাভাবে রিপোর্ট তৈরি করবেন। তবে ওই দিনের রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছে এমন কেউ যদি তদন্ত কমিটিতে থাকেন, তাহলে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বেশি সংখ্যক রোগীর মৃত্যুর পর তোলপাড়ের মধ্যে হাসপাতালের অন্যান্য রোগী-স্বজনের মধ্যেও আতঙ্ক-উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতির মধ্যে গতকাল সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মোট ১ হাজার ৬৪৬ রোগীর মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়; যার মধ্যে ৬ শিশু রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাসপাতালের শিশু বিভাগের অধীন ২১, ২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে অতিরিক্ত ইন্টার্নি চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বলে সূত্র জানায়। যদিও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুস ছবুর মিঞা এমন তথ্য অস্বীকার করেন। পরিচালক আবদুস ছবুর মিঞা জানান, মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও আলাদাভাবে তাদের কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হলেও এখন তা কমিয়ে তিন দিন করা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার জন্য তিন সদস্যের কমিটিতে আরও তিনজনকে কো-অপ্ট করা হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের জনবল সংকট নিরসনে নতুন করে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের সুপারিশ করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সমকালের কাছেও প্রস্তাবের একটি কপি রয়েছে; যাতে ২১৬ জন চিকিৎসক ও ১৯৩ জন নার্স নিয়োগের প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের মঞ্জুরিকৃত ২৪১টি পদ থাকলেও বর্তমানে ১৮১ জন কর্মরত রয়েছেন। অন্যদিকে মঞ্জুরিকৃত ৪৫১ জন নার্সের মধ্যে কর্মরত ৩০৬ জন।
No comments