সৌদি আরবে যেতে নাম নিবন্ধনের জন্য ভিড়
(নিবন্ধন ফরম পূরণ করে জমা দেওয়ার জন্য সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের দীর্ঘ লাইন। গতকাল রাজধানীর নিউ ইস্কাটন সড়কে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে l ছবি: প্রথম আলো) সৌদি
আরব আবার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে—এমন ঘোষণায় ঢাকাসহ সারা দেশের জেলা
কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ে নাম নিবন্ধনের জন্য আগ্রহী মানুষের
প্রচণ্ড ভিড় শুরু হয়েছে। নিবন্ধনের জন্য তাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সারিতে
দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি আরবে শুরুতে নারী গৃহকর্মীরা যাবেন। কাজেই পুরুষদের নিবন্ধন নিয়ে এত তাড়াহুড়োর কিছু নেই। আর নিবন্ধন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যেকোনো সময়েই এটি করা যাবে।
রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সামনে গতকাল বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, সৌদি আরবে যেতে আগ্রহী মানুষদের দীর্ঘ সারি। নাম নিবন্ধন করতে আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে হোটেল কর্মচারী, চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আছেন।
নীলক্ষেত থেকে আসা হোটেল কর্মচারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোনো খরচ ছাড়াই সৌদি আরবে যাওয়া যাবে শুনে নিবন্ধন করতে এসেছেন। তাঁর বাড়ি নরসিংদী। এখানে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় থাকি। তাই ঢাকার কার্যালয়েই এসেছি।’ ঢাকায় বসবাসরত চাঁদপুরের মনজুর কাদের ও নোয়াখালীর মোস্তাফিজুর রহমানও একই কথা জানালেন।
দেখা যায়, বিনা পয়সার নিবন্ধন ফরম ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ওই কার্যালয়ের আশপাশের ফুটপাতেও লোকজন ফরম পূরণ করছেন। ভিড়ের কারণে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে ঢোকা দায়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। একসময় সেখানে বছরে দেড় থেকে দুই লাখ কর্মী গেলেও ২০০৮ সালের শেষে এসে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় দেশটি। দীর্ঘ কূটনৈতিক তৎপরতায় চলতি মাসে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি আরব। এতে সেখানে যেতে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
সৌদি আরবে কর্মী যাওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাইদের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল গত রোববার তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসে। তারা গত সোমবার প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। কোন প্রক্রিয়ায় কর্মী যাবেন, সে বিষয়ে মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে গৃহ খাতের কর্মী (ডোমেস্টিক সার্ভিস ওয়ার্কার্স) নেবে সৌদি আরব। এর মধ্যে সবার আগে যাবেন নারী গৃহকর্মী। মাসে বেতন হবে ৮০০ রিয়াল (১৬ হাজার ৮০০ টাকা)। এ ছাড়া থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পাবেন।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রতি মাসে ১০ হাজার করে কর্মী নেবে সৌদি আরব। বছরে যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার। সেখানে যেতে কর্মীপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না। এটি গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে মানুষের আগ্রহ আরও বাড়ে।
বিএমইটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্টলে সৌদি আরবে যেতে আগ্রহী মানুষদের নাম নিবন্ধন হবে। এতে মেলার প্রথম দিনেই অসংখ্য লোক ভিড় জমান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। ফলে পুরো ডিজিটাল মেলায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেখানে নাম নিবন্ধন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর লোকজন আবার ভিড় করেন ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ে।
ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এখন ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ছয় থেকে সাত হাজার লোককে নিবন্ধন করা হয়েছে। যাঁরা নিবন্ধন করতে আসছেন, তাঁদের উদ্দেশে আমরা বলতে চাই, শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশের সব জেলা কার্যালয়েই নিবন্ধন হচ্ছে। আর যেহেতু সবার আগে নারী গৃহকর্মীরা সৌদি আরবে যাবেন, কাজেই ছেলেদের এখনই এত ভিড় করার কিছু নেই। তাঁরা সারা বছরজুড়েই নিবন্ধন করতে পারবেন।’
ঢাকার বাইরে থেকে প্রথম আলোর কয়েকজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায়ও সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে নাম নিবন্ধন করা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তবে এখন নাম নিবন্ধন করলে তাঁরা কবে নাগাদ সৌদি আরবে যেতে পারবেন, সে বিষয়ে সুনিশ্চিত করে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী, সচিব এবং জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) নেতারা বলছেন, প্রাথমিকভাবে সৌদি আরব গৃহকর্মী নেবে। এরপর অন্যান্য খাতে কর্মী যাবে দেশটিতে।
এর আগে সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য নিবন্ধন শুরু হলে সারা দেশে সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছিলেন। কিন্তু গত তিন বছরে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার কর্মী দেশটিতে যেতে পেরেছেন।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি আরবে শুরুতে নারী গৃহকর্মীরা যাবেন। কাজেই পুরুষদের নিবন্ধন নিয়ে এত তাড়াহুড়োর কিছু নেই। আর নিবন্ধন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যেকোনো সময়েই এটি করা যাবে।
রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সামনে গতকাল বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, সৌদি আরবে যেতে আগ্রহী মানুষদের দীর্ঘ সারি। নাম নিবন্ধন করতে আসা এই ব্যক্তিদের মধ্যে হোটেল কর্মচারী, চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আছেন।
নীলক্ষেত থেকে আসা হোটেল কর্মচারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, কোনো খরচ ছাড়াই সৌদি আরবে যাওয়া যাবে শুনে নিবন্ধন করতে এসেছেন। তাঁর বাড়ি নরসিংদী। এখানে আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় থাকি। তাই ঢাকার কার্যালয়েই এসেছি।’ ঢাকায় বসবাসরত চাঁদপুরের মনজুর কাদের ও নোয়াখালীর মোস্তাফিজুর রহমানও একই কথা জানালেন।
দেখা যায়, বিনা পয়সার নিবন্ধন ফরম ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ওই কার্যালয়ের আশপাশের ফুটপাতেও লোকজন ফরম পূরণ করছেন। ভিড়ের কারণে প্রবাসীকল্যাণ ভবনে ঢোকা দায়।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। একসময় সেখানে বছরে দেড় থেকে দুই লাখ কর্মী গেলেও ২০০৮ সালের শেষে এসে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় দেশটি। দীর্ঘ কূটনৈতিক তৎপরতায় চলতি মাসে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি আরব। এতে সেখানে যেতে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
সৌদি আরবে কর্মী যাওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাইদের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল গত রোববার তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসে। তারা গত সোমবার প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। কোন প্রক্রিয়ায় কর্মী যাবেন, সে বিষয়ে মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে গৃহ খাতের কর্মী (ডোমেস্টিক সার্ভিস ওয়ার্কার্স) নেবে সৌদি আরব। এর মধ্যে সবার আগে যাবেন নারী গৃহকর্মী। মাসে বেতন হবে ৮০০ রিয়াল (১৬ হাজার ৮০০ টাকা)। এ ছাড়া থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পাবেন।
প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রতি মাসে ১০ হাজার করে কর্মী নেবে সৌদি আরব। বছরে যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার। সেখানে যেতে কর্মীপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না। এটি গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে মানুষের আগ্রহ আরও বাড়ে।
বিএমইটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হওয়া ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্টলে সৌদি আরবে যেতে আগ্রহী মানুষদের নাম নিবন্ধন হবে। এতে মেলার প্রথম দিনেই অসংখ্য লোক ভিড় জমান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। ফলে পুরো ডিজিটাল মেলায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে সেখানে নাম নিবন্ধন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর লোকজন আবার ভিড় করেন ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ে।
ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এখন ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ছয় থেকে সাত হাজার লোককে নিবন্ধন করা হয়েছে। যাঁরা নিবন্ধন করতে আসছেন, তাঁদের উদ্দেশে আমরা বলতে চাই, শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশের সব জেলা কার্যালয়েই নিবন্ধন হচ্ছে। আর যেহেতু সবার আগে নারী গৃহকর্মীরা সৌদি আরবে যাবেন, কাজেই ছেলেদের এখনই এত ভিড় করার কিছু নেই। তাঁরা সারা বছরজুড়েই নিবন্ধন করতে পারবেন।’
ঢাকার বাইরে থেকে প্রথম আলোর কয়েকজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায়ও সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য মানুষের মধ্যে নাম নিবন্ধন করা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তবে এখন নাম নিবন্ধন করলে তাঁরা কবে নাগাদ সৌদি আরবে যেতে পারবেন, সে বিষয়ে সুনিশ্চিত করে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী, সচিব এবং জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) নেতারা বলছেন, প্রাথমিকভাবে সৌদি আরব গৃহকর্মী নেবে। এরপর অন্যান্য খাতে কর্মী যাবে দেশটিতে।
এর আগে সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য নিবন্ধন শুরু হলে সারা দেশে সাড়ে ১৪ লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছিলেন। কিন্তু গত তিন বছরে মাত্র সাড়ে ছয় হাজার কর্মী দেশটিতে যেতে পেরেছেন।
No comments