সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়- দ্রুত রাজনৈতিক সমাধান চান তারা
(অবরোধ-হরতালের মধ্যে গতকাল পুলিশি প্রহরায় ট্রাকভর্তি মালামাল পরিবহন করা হয়। ছবিটি পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে থেকে তোলা : আবদুল্লাহ আল বাপ্পী) উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
নিয়ে অফিস করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রতিদিন অফিস করেন ঠিকই,
তবে নিজের চেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকেন বেশি। ফাইল
সামনে থাকলেও মন থাকে নিজ বাসা ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ঘিরে।
কিছুক্ষণ পরপরই ফোনে তাদের খবর নেন। কখন পেট্রলবোমায় নিজ সন্তান ঝলসে যায়। এ
ধরনের নানা শঙ্কা কাজ করে অফিস থেকে বাসায় না ফেরা পর্যন্ত। গতকাল বুধবার
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে কথা বলে
জানা গেছে এ তথ্য। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, মনে অশান্তি আর
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে তারা অফিসের কাজে মন দিতে পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সচিবালয়ে প্রকাশ্যে তারা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। তবে কাছের সহকর্মীর সাথে অনেকেই তাদের সুখ-দুঃখের বিষয়গুলো ভাগাভাগি করেন। তারা বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত অবসান চান। কেউ কেউ বলেছেন, সব দল মিলে আলোচনার টেবিলে বসলেই সমস্যার সমাধান অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
একজন কর্মচারী বেশ আক্ষেপের সাথে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাসা থেকে বের হওয়ার পর বাসায় আমরা ফিরতে পারব কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাদের মধ্যে যারা পাবলিক বাসে অফিসে যাতায়াত করেন তাদের উৎকণ্ঠা কিছুটা বেশি। তাদের একজন থাকেন গাজীপুর। প্রতিদিন ভোরে গাজীপুর থেকে রওনা দিয়ে সচিবালয়ে আসেন। বাসায় পৌঁছান অন্ধকারে। বাসে যখন চড়েন সারাক্ষণই আল্লাহর নাম জপতে থাকেন। অফিসে পৌঁছার পর শুরু হয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উৎকণ্ঠা। দুই সন্তানের একজন কলেজপড়–য়া, একজন স্কুলে। তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাসে করে যেতে হয় মহাসড়ক দিয়ে। এগুলো ভেবে কাজের মধ্যে মন বসাতে পারেন না। সরাক্ষণই দুশ্চিন্তা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। এ কর্মচারীর মতো প্রায় সবার মধ্যে এ ধরনের দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা জেঁকে বসেছে। গত প্রায় এক মাস ধরে সচিবালয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে নিন্মস্তরের কর্মচারীদের মুখে একই প্রশ্নÑ দেশে আসলে কী হবে। শেষ পরিণতি কী। একাধিক মন্ত্রণালয় ঘুরে এ ধরনের প্রশ্ন শোনা গেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে। তবে সরকারসমর্থক হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহিংসতা দমনে বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করতে শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরো কঠোর হস্তক্ষেপ চান তারা। অন্য দিকে পরিস্থিতির জন্য ক্ষুদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, আলোচনার টেবিলে বসলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাদের কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক নেতাদের মতো বক্তব্য প্রদানের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের মুখ দিয়ে এ ধরনের বক্তব্য এলে সঙ্কট আরো বাড়বে, কমবে না। ২০ দলীয় জোটের চলমান কর্মসূচির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণেও অনেকেই ক্ষুদ্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানালেন, অফিসে হাজিরার বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। হরতাল বা অবরোধ হোক, সবাইকে সঠিক সময়ে অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ওই দিকে সচিবালয় ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি সচিবালয়ের ভেতরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ এবং সরকারবিরোধী লিফলেট প্রচারের ঘটনায় এ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সচিবালয়ে সরকারবিরোধী লিফলেট ছাড়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চার কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন দুপুরে এ লিফলেট ছাড়ার অভিযোগে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৬২০ নম্বর ক থেকে এ চারজনকে আটক করে পুলিশ। অন্য দিকে এত নিরাপত্তার মধ্যে কিভাবে সচিবালয়ের ভেতরে ককটেল ছোড়া হয়েছে তার কোনো কূলকিনারা খুঁজে পায়নি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এপিবিএন সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিএমপির সদস্য বাড়ানো হয়েছে সচিবালয়ের ভেতর ও বাইরে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সচিবালয়ের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, বর্তমান এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সচিবালয়ে প্রকাশ্যে তারা বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারেন না। তবে কাছের সহকর্মীর সাথে অনেকেই তাদের সুখ-দুঃখের বিষয়গুলো ভাগাভাগি করেন। তারা বর্তমান পরিস্থিতির দ্রুত অবসান চান। কেউ কেউ বলেছেন, সব দল মিলে আলোচনার টেবিলে বসলেই সমস্যার সমাধান অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
একজন কর্মচারী বেশ আক্ষেপের সাথে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাসা থেকে বের হওয়ার পর বাসায় আমরা ফিরতে পারব কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাদের মধ্যে যারা পাবলিক বাসে অফিসে যাতায়াত করেন তাদের উৎকণ্ঠা কিছুটা বেশি। তাদের একজন থাকেন গাজীপুর। প্রতিদিন ভোরে গাজীপুর থেকে রওনা দিয়ে সচিবালয়ে আসেন। বাসায় পৌঁছান অন্ধকারে। বাসে যখন চড়েন সারাক্ষণই আল্লাহর নাম জপতে থাকেন। অফিসে পৌঁছার পর শুরু হয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উৎকণ্ঠা। দুই সন্তানের একজন কলেজপড়–য়া, একজন স্কুলে। তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাসে করে যেতে হয় মহাসড়ক দিয়ে। এগুলো ভেবে কাজের মধ্যে মন বসাতে পারেন না। সরাক্ষণই দুশ্চিন্তা তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। এ কর্মচারীর মতো প্রায় সবার মধ্যে এ ধরনের দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা জেঁকে বসেছে। গত প্রায় এক মাস ধরে সচিবালয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে নিন্মস্তরের কর্মচারীদের মুখে একই প্রশ্নÑ দেশে আসলে কী হবে। শেষ পরিণতি কী। একাধিক মন্ত্রণালয় ঘুরে এ ধরনের প্রশ্ন শোনা গেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মুখে। তবে সরকারসমর্থক হিসেবে পরিচিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহিংসতা দমনে বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করতে শক্তি প্রয়োগের বিষয়ে জোর দিচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরো কঠোর হস্তক্ষেপ চান তারা। অন্য দিকে পরিস্থিতির জন্য ক্ষুদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, আলোচনার টেবিলে বসলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তাদের কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক নেতাদের মতো বক্তব্য প্রদানের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, সরকারি কর্মচারীদের মুখ দিয়ে এ ধরনের বক্তব্য এলে সঙ্কট আরো বাড়বে, কমবে না। ২০ দলীয় জোটের চলমান কর্মসূচির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণেও অনেকেই ক্ষুদ্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানালেন, অফিসে হাজিরার বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। হরতাল বা অবরোধ হোক, সবাইকে সঠিক সময়ে অফিসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ওই দিকে সচিবালয় ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি সচিবালয়ের ভেতরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ এবং সরকারবিরোধী লিফলেট প্রচারের ঘটনায় এ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সচিবালয়ে সরকারবিরোধী লিফলেট ছাড়ার অভিযোগে ইতোমধ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি চার কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন দুপুরে এ লিফলেট ছাড়ার অভিযোগে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৬২০ নম্বর ক থেকে এ চারজনকে আটক করে পুলিশ। অন্য দিকে এত নিরাপত্তার মধ্যে কিভাবে সচিবালয়ের ভেতরে ককটেল ছোড়া হয়েছে তার কোনো কূলকিনারা খুঁজে পায়নি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এপিবিএন সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিএমপির সদস্য বাড়ানো হয়েছে সচিবালয়ের ভেতর ও বাইরে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সচিবালয়ের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
No comments