ঝালকাঠিতে পিপি হত্যা মামলা- জেএমবির পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ
নিহত পিপি হায়দার হোসাইন |
ঝালকাঠি
আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ও জেলা জামায়াতের সাবেক আমির
হায়দার হোসাইন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন
বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচজন ক্যাডারের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন
আদালত। গতকাল বুধবার ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক
মোহাম্মদ আবদুল হালিম তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
হায়দার হোসাইন ঝালকাঠিতে জেএমবির আত্মঘাতী হামলায় দুই বিচারক নিহত হওয়ার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। ওই মামলায় জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইসহ শীর্ষ সাত জঙ্গির ফাঁসির রায় হয়েছিল।
হায়দার হোসাইনকে হত্যা মামলায় গতকাল ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বরগুনার বেল্লাল হোসেন (পলাতক) ও আবু শাহাদাৎ মো. তানভীর ওরফে মেহেদী হাসান (কারাগারে), খুলনার মুরাদ হোসেন (কারাগারে), ঢাকার ছগির হোসেন (পলাতক) ও আমীর হোসেন (কারাগারে)। রায়ের নকল পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে হায়দার হোসাইনের পরিবার। তাঁর ছেলে তারিক বিন হায়দার বলেন, ‘রায়ে আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, আমার বাবাকে যেখানে খুন করা হয়েছিল, সেখানে যেন একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়।’
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মুরাদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মোশাররফ হোসেন জানান, তাঁর ছেলে খুলনা মজিদ মেমোরিয়াল কলেজের ছাত্র ছিল। সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের চেষ্টা করবেন তিনি।
২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল জেএমবি ক্যাডারদের গুলিতে নিহত হন হায়দার হোসাইন। তিনি ২০০৫ সালে জেএমবির আত্মঘাতী হামলায় নিহত ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহেল আহম্মেদ এবং জগন্নাথ পাঁড়ে হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। দুই বিচারক হত্যা মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ মে শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম, জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমানসহ সাতজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। মামলা পরিচালনার সময়ই হায়দার হোসাইনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল জেএমবি। শায়খ আবদুর রহমানসহ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয় ২০০৭ সালের ২১ মার্চ। এর ২০ দিন পর হায়দার হোসাইনকে গুলি করে হত্যা করে জেএমবির ক্যাডাররা।
এ ঘটনায় হায়দার হোসাইনের ছেলে তারিক বিন হায়দার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ঝালকাঠি থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত মুরাদ হোসেনকে খুলনার টুটপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া মুরাদের স্বীকারোক্তি পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তার করা হয় তানভীর ওরফে মেহেদী হাসান ও আমীর হোসেনকে। তিন বছর তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি জেএমবির পাঁচ ক্যাডার বরগুনার বেল্লাল হোসেন ও তানভীর ওরফে মেহেদী হাসান, খুলনার মুরাদ হোসেন, ঢাকার ছগির হোসেন ও আমীর হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম আদালত ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য বরিশাল দ্রুত বিচার আদালতে পাঠান। ওই আদালত ১৩৫ কার্যদিবসে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচার সম্পন্নের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ২০১১ সালের ২৬ জুন দ্রুত বিচার আদালত মামলাটি ঝালকাঠির আদালতে ফেরত পাঠান। ২০১১ সালের ১২ জুলাই ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটির পুনর্বিচার শুরু হয়। একই দিন মামলাটি বিচারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এম আলম খান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম লুৎফর রহমান ও পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী মনজুর হোসেন।
হায়দার হোসাইন ঝালকাঠিতে জেএমবির আত্মঘাতী হামলায় দুই বিচারক নিহত হওয়ার মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। ওই মামলায় জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইসহ শীর্ষ সাত জঙ্গির ফাঁসির রায় হয়েছিল।
হায়দার হোসাইনকে হত্যা মামলায় গতকাল ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বরগুনার বেল্লাল হোসেন (পলাতক) ও আবু শাহাদাৎ মো. তানভীর ওরফে মেহেদী হাসান (কারাগারে), খুলনার মুরাদ হোসেন (কারাগারে), ঢাকার ছগির হোসেন (পলাতক) ও আমীর হোসেন (কারাগারে)। রায়ের নকল পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে হায়দার হোসাইনের পরিবার। তাঁর ছেলে তারিক বিন হায়দার বলেন, ‘রায়ে আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, আমার বাবাকে যেখানে খুন করা হয়েছিল, সেখানে যেন একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়।’
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মুরাদের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মোশাররফ হোসেন জানান, তাঁর ছেলে খুলনা মজিদ মেমোরিয়াল কলেজের ছাত্র ছিল। সিআইডি তাকে গ্রেপ্তার করে জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের চেষ্টা করবেন তিনি।
২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল জেএমবি ক্যাডারদের গুলিতে নিহত হন হায়দার হোসাইন। তিনি ২০০৫ সালে জেএমবির আত্মঘাতী হামলায় নিহত ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহেল আহম্মেদ এবং জগন্নাথ পাঁড়ে হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন। দুই বিচারক হত্যা মামলায় ২০০৬ সালের ২৯ মে শায়খ আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম, জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমানসহ সাতজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। মামলা পরিচালনার সময়ই হায়দার হোসাইনকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল জেএমবি। শায়খ আবদুর রহমানসহ সাত জঙ্গির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হয় ২০০৭ সালের ২১ মার্চ। এর ২০ দিন পর হায়দার হোসাইনকে গুলি করে হত্যা করে জেএমবির ক্যাডাররা।
এ ঘটনায় হায়দার হোসাইনের ছেলে তারিক বিন হায়দার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ঝালকাঠি থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত মুরাদ হোসেনকে খুলনার টুটপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে দেওয়া মুরাদের স্বীকারোক্তি পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তার করা হয় তানভীর ওরফে মেহেদী হাসান ও আমীর হোসেনকে। তিন বছর তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি জেএমবির পাঁচ ক্যাডার বরগুনার বেল্লাল হোসেন ও তানভীর ওরফে মেহেদী হাসান, খুলনার মুরাদ হোসেন, ঢাকার ছগির হোসেন ও আমীর হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম আদালত ২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর মামলাটি বিচারের জন্য বরিশাল দ্রুত বিচার আদালতে পাঠান। ওই আদালত ১৩৫ কার্যদিবসে ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচার সম্পন্নের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ২০১১ সালের ২৬ জুন দ্রুত বিচার আদালত মামলাটি ঝালকাঠির আদালতে ফেরত পাঠান। ২০১১ সালের ১২ জুলাই ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটির পুনর্বিচার শুরু হয়। একই দিন মামলাটি বিচারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বদলি করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি এম আলম খান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম লুৎফর রহমান ও পলাতক আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের নিয়োজিত আইনজীবী মনজুর হোসেন।
No comments