হাসপাতালে এক দিনে ৩২ জনের মৃত্যু- অবহেলা করা হলে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি
(সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালের শিশু বিভাগে আতঙ্কিত অভিভাবকেরা l ছবি: প্রথম আলো) সিলেট
এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মাত্র এক দিনে ৩২ জনের মৃত্যু
হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ নবজাতকসহ ১০টি শিশু রয়েছে। হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা
নিতে, অর্থাৎ আরোগ্য লাভ করতে আসেন। ডাক্তারের পরামর্শ এবং নার্সদের সেবায়
সুস্থ হওয়ার প্রবল প্রত্যাশা থাকে রোগী ও তাদের আত্মীয়স্বজনের। এ
হাসপাতালটিতে জানুয়ারি মাসে গড়ে ১৪ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মানুষ
মাত্রই মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু এক দিনেই যখন মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ হয়ে
যায়, তাকে স্বাভাবিকভাবে নেয়ার সুযোগ থাকে না এবং ওষুধ প্রয়োগসহ সব কিছু
নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে বড় ধরনের
অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ দিন। ঢালাওভাবে এসব অভিযোগ সঠিক না হলেও বহু ক্ষেত্রে
অবহেলা ও দায়িত্বহীনতা চিকিৎসাসেবাকে সব সময় প্রশ্নবিদ্ধ করে রাখছে, যা
দেশের চিকিৎসক ও চিকিৎসাসেবার ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট করছে।
খবরে প্রকাশ, মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ওসমানী মেডিক্যালে ৩২ জনের মৃত্যুতে শোকাবহ আবহের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এত শিশুর মৃত্যুর ব্যাপারে বলছেনÑ জন্মগত ত্রুটি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া। শিশুদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে জানা গেছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছেন, জটিল পরিস্থিতিতে ডাক্তারকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। জরুরি সময় পাওয়া যায়নি সেবিকাদেরও। একজন মা অভিযোগ করেন, তিনি সদ্যপ্রসূত শিশুটি ছেলে না মেয়ে, জানতে চেয়েছিলেন। অন্য দিকে সেবিকাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘হায়াত ফুরাইয়া গেছে’। এ কথা বলে ওই মহিলাকে হাসপাতাল থেকে বিদায় করে দেয়া হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগে অত্যধিক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সতর্ক থাকতে হয় ওষুধের মাত্রা নিয়ে। তা ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। এই অবস্থায় ডাক্তারের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি প্রয়োজন। সেবিকাদেরও যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন। সাধারণ রোগীদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ নানা রকম অসুখের কথা বলেছেন। গড়ে ১৪ জনের মৃত্যু যেখানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনে হয়, সেখানে এক দিনে ৩২ জনের মৃত্যুতে হাসপাতালটির চিকিৎসা নিয়ে মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক।
হঠাৎ করে অনেক বেশি মৃত্যু নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু কারণ দেখিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য এমন বক্তব্য তারা দিলেও রোগীদের পক্ষ থেকে একই সময় পাওয়া যাচ্ছে নানা অভিযোগ। তাদের অভিযোগ সঠিক হলে বলা যায়, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি সংশ্লিষ্টরা। কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এটি যেন নিছক নিয়ম পালনের ব্যাপার না হয়। এত মানুষের মৃত্যুর রহস্য কী, তারা যেন সেটা উদঘাটন করেন। যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তা কতটুকু সঠিক, তা-ও নির্ণয় করবেন তারা। মানুষের জীবন নিয়ে কেউ যদি দায়িত্বহীন আচরণ করেন, তাদের যেন চিহ্নিত করা হয়। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। দায়িত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবায় প্রত্যাশিত ধারা ফিরিয়ে আনা হোক।
খবরে প্রকাশ, মঙ্গলবার সকাল ৮টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ওসমানী মেডিক্যালে ৩২ জনের মৃত্যুতে শোকাবহ আবহের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এত শিশুর মৃত্যুর ব্যাপারে বলছেনÑ জন্মগত ত্রুটি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া। শিশুদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে জানা গেছে ভিন্ন কথা। তারা জানিয়েছেন, জটিল পরিস্থিতিতে ডাক্তারকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি। জরুরি সময় পাওয়া যায়নি সেবিকাদেরও। একজন মা অভিযোগ করেন, তিনি সদ্যপ্রসূত শিশুটি ছেলে না মেয়ে, জানতে চেয়েছিলেন। অন্য দিকে সেবিকাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘হায়াত ফুরাইয়া গেছে’। এ কথা বলে ওই মহিলাকে হাসপাতাল থেকে বিদায় করে দেয়া হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগে অত্যধিক সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সতর্ক থাকতে হয় ওষুধের মাত্রা নিয়ে। তা ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মারাত্মক পরিণতি বয়ে আনতে পারে। এই অবস্থায় ডাক্তারের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি প্রয়োজন। সেবিকাদেরও যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন। সাধারণ রোগীদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ নানা রকম অসুখের কথা বলেছেন। গড়ে ১৪ জনের মৃত্যু যেখানে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনে হয়, সেখানে এক দিনে ৩২ জনের মৃত্যুতে হাসপাতালটির চিকিৎসা নিয়ে মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক।
হঠাৎ করে অনেক বেশি মৃত্যু নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু কারণ দেখিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য এমন বক্তব্য তারা দিলেও রোগীদের পক্ষ থেকে একই সময় পাওয়া যাচ্ছে নানা অভিযোগ। তাদের অভিযোগ সঠিক হলে বলা যায়, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি সংশ্লিষ্টরা। কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এটি যেন নিছক নিয়ম পালনের ব্যাপার না হয়। এত মানুষের মৃত্যুর রহস্য কী, তারা যেন সেটা উদঘাটন করেন। যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে তা কতটুকু সঠিক, তা-ও নির্ণয় করবেন তারা। মানুষের জীবন নিয়ে কেউ যদি দায়িত্বহীন আচরণ করেন, তাদের যেন চিহ্নিত করা হয়। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। দায়িত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবায় প্রত্যাশিত ধারা ফিরিয়ে আনা হোক।
No comments