এবার ভারত জয়ের স্বপ্ন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
ভারতজুড়ে
মোদি ঢেউকে সুনামিতে চাপা দিয়ে দিলি্লতে ভূমিধস জয় পেল অরবিন্দ
কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (এএপি)। আগেরবার মাত্র ৪৯ দিনের মাথায় ক্ষমতা
ছাড়লেও মানুষ আবার বিপুল সমর্থন দিয়ে তাদেরই ফিরিয়ে এনেছে। অর্থাৎ জনগণ এখন
এএপির মতো দলকেই ক্ষমতায় দেখতে চাইছে। দিলি্লর মানুষের মতো ভারতবাসীর
চাওয়াও কি তাই? প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তাহলে পুরো ভারত জয়ের স্বপ্ন দেখতে
পারে দলটি? এর মধ্যে বিহার ও পাঞ্জাবসহ অন্যান্য রাজ্যে প্রচার শুরুর
পরিকল্পনা করেছে তারা। সেখানে আম আদমির কেমন সাড়া পাবে এএপি?
দুর্নীতিবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে রাজনীতিতে আসা এএপির সাফল্যের ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে পেয়েছিল ৭০টির মধ্যে ২৮টি আসন। প্রথম ভোটের লড়াইয়ে নেমেই এএপির এ বিজয় বলে দিয়েছিল, সামনে আরও চমক দেখাবে তারা। এবার তারই প্রমাণ মিলল। গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে দিলি্লতে জয় না পেলেও ভোটের হিসাবে সাতটি আসনেই তারা ছিল দ্বিতীয়। আর পাঞ্জাবে জয়ী হয় চারটি আসনে। লোকসভায় এএপির প্রাপ্তি বলতে ওইটুকুই। কেজরিওয়াল তখন স্বীকার করেছিলেন, সাংগঠনিক সমর্থন ছাড়া ভোটের মাঠে নামাটা ছিল তাদের কৌশলগত ভুল। দলের নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, দেশে এক ধরনের রাজনৈতিক শূন্যতা আছে, যা নতুনদের মাধ্যমে পূরণের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সে শূন্যতাই পূরণ করব। তিনি জানান, শিগগিরই তারা বিহারে প্রচারে নামবেন। এ বছরই সেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা। দিলি্ল জয়ের অভিজ্ঞতা ও উচ্ছ্বাস সেখানে তাদের বাড়তি সুবিধা দেবে। এ ছাড়া এএপি নেতৃবৃন্দ লোকসভা নির্বাচন-পরবর্তী সময় দল গোছাতে কাজে লাগিয়েছেন।
এএপির আরেক লক্ষ্য পাঞ্জাব, যেখানে ক্ষমতাসীন শিরোমণি আকালি দল ও বিজেপির জোট দুর্নীতি-মাদকের বিস্তারসহ নানা অভিযোগে চাপের মুখে রয়েছে। ওই রাজ্যে ২০১৭ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে পাঞ্জাবে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে আম আদমি পার্টি। ফলে সেখানেও এএপির সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া আগামী বছর আসাম, কেরালা, পদুচেরি, তামিলনাড়ূ ও পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। এর মধ্যে আসাম, কেরালা ও পদুচেরিতে ক্ষমতায় আছে কংগ্রেস। আর পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ও তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার এআইএডিএমকে ক্ষমতাসীন। পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকার সারদা কেলেঙ্কারিসহ নানা সমস্যায় বিপর্যস্ত। আর ভারতজুড়ে ভোটের রাজনীতি থেকে কংগ্রেসের নাম যেভাবে মুছে যাচ্ছে তাতে জনগণ আম আদমি পার্টিতেই ভরসা খুঁজবে, নাকি মোদি ঝড় অব্যাহত থাকবে তা সময়ই বলে দেবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে।
দুর্নীতিবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে রাজনীতিতে আসা এএপির সাফল্যের ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে পেয়েছিল ৭০টির মধ্যে ২৮টি আসন। প্রথম ভোটের লড়াইয়ে নেমেই এএপির এ বিজয় বলে দিয়েছিল, সামনে আরও চমক দেখাবে তারা। এবার তারই প্রমাণ মিলল। গত বছরের লোকসভা নির্বাচনে দিলি্লতে জয় না পেলেও ভোটের হিসাবে সাতটি আসনেই তারা ছিল দ্বিতীয়। আর পাঞ্জাবে জয়ী হয় চারটি আসনে। লোকসভায় এএপির প্রাপ্তি বলতে ওইটুকুই। কেজরিওয়াল তখন স্বীকার করেছিলেন, সাংগঠনিক সমর্থন ছাড়া ভোটের মাঠে নামাটা ছিল তাদের কৌশলগত ভুল। দলের নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, দেশে এক ধরনের রাজনৈতিক শূন্যতা আছে, যা নতুনদের মাধ্যমে পূরণের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সে শূন্যতাই পূরণ করব। তিনি জানান, শিগগিরই তারা বিহারে প্রচারে নামবেন। এ বছরই সেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা। দিলি্ল জয়ের অভিজ্ঞতা ও উচ্ছ্বাস সেখানে তাদের বাড়তি সুবিধা দেবে। এ ছাড়া এএপি নেতৃবৃন্দ লোকসভা নির্বাচন-পরবর্তী সময় দল গোছাতে কাজে লাগিয়েছেন।
এএপির আরেক লক্ষ্য পাঞ্জাব, যেখানে ক্ষমতাসীন শিরোমণি আকালি দল ও বিজেপির জোট দুর্নীতি-মাদকের বিস্তারসহ নানা অভিযোগে চাপের মুখে রয়েছে। ওই রাজ্যে ২০১৭ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে ২৪ শতাংশ ভোট পেয়ে পাঞ্জাবে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে আম আদমি পার্টি। ফলে সেখানেও এএপির সাফল্যের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া আগামী বছর আসাম, কেরালা, পদুচেরি, তামিলনাড়ূ ও পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। এর মধ্যে আসাম, কেরালা ও পদুচেরিতে ক্ষমতায় আছে কংগ্রেস। আর পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ও তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার এআইএডিএমকে ক্ষমতাসীন। পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকার সারদা কেলেঙ্কারিসহ নানা সমস্যায় বিপর্যস্ত। আর ভারতজুড়ে ভোটের রাজনীতি থেকে কংগ্রেসের নাম যেভাবে মুছে যাচ্ছে তাতে জনগণ আম আদমি পার্টিতেই ভরসা খুঁজবে, নাকি মোদি ঝড় অব্যাহত থাকবে তা সময়ই বলে দেবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে।
No comments