সৌদিতে বিতাড়নের মধ্যে শ্রমিক আমদানির তোড়জোড়
বিদেশী
শ্রমিক বিতাড়ন এবং গৃহপরিচারিকা ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে সৌদি নাগরিকদের
চাকরি করতে অস্বীকৃতি জানানোর প্রেক্ষাপটে সৌদি আরবে পর্যায়ক্রমে দুই লাখ
বাংলাদেশী শ্রমিক পাঠানোর প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা
সতর্ক করে দিয়েছেন যে, নিয়মকানুন মেনে কেবল ‘যোগ্যতা সম্পন্ন দক্ষ’ শ্রমিক
প্রেরণ করতে বাংলাদেশ প্রশাসন ব্যর্থ হলে পরে তার কঠিন মাশুল দিতে হতে
পারে। সৌদি আরব সাম্প্রতিককালেও দুর্নীতির কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক
বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। ওয়াকিবহাল মহল
স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে, বাংলাদেশকে সৌদি সরকারের দ্বারা গত বছরের
অ্যামনেস্টি প্রদান পরবর্তী চলমান ঘটনাবলী বিবেচনায় নিতে হবে। সৌদি আরব
বছরে ১২ লাখ শ্রমিক নিয়োগ করে আসছিল। কিন্তু সেদেশের অর্থনীতিবিদরা এর
বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, এর ফলে অভ্যন্তরীণ চাকরির
বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সৌদি আরবের নিজেরও বেকারত্ব বাড়ছে। সেকারণে
বিদেশী শ্রমিকদের তাড়িয়ে তারা সাড়ে ৭ লাখ চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছিল।
কিন্তু এসব ‘অড জব’ গ্রহণে সৌদি নাগরিকরা কোন আগ্রহ দেখায়নি।
ঢাকায় এখন সৌদি আরবে প্রবেশে তুলনামূলক দরিদ্র ও অনগ্রসর অংশের চাকরি প্রত্যাশীরা সঙ্গতকারণেই দীর্ঘ লাইন দিচ্ছেন। বিনা মূল্যের ফরম দুই থেকে ৫শ’ টাকা খরচ করেও অনেকে কিনছেন। অনেকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও শুরুটাই করছেন অনিয়ম দিয়ে, তারা গোড়াতেই দালালদের খপ্পরে পড়ছেন। গতকালই আরব নিউজে খবর ছাপা হয়েছে, সৌদি থেকে ২৭ হাজার ইন্দোনেশীয়কে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিরা এখন দেশে ফেরার পথে জেদ্দায় অপেক্ষমাণ রয়েছেন। তারা নির্ধারিত মেয়াদের বেশি সময় সৌদিতে অবস্থান করছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ওপর শ্রমিক প্রেরণে সৌদি প্রশাসন যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, সম্প্রতি তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে দুই লাখ দক্ষ শ্রমিক নেয়ার ঘোষণায় শ্রমবাজারে দীর্ঘ দিন পরে একটা সাড়া পড়ে গেছে। ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত গড়ে বছরে দেড় লাখ শ্রমিক যেত সৌদি আরবে। ২০০৫ সালের ১৬ই জানুয়ারি আরব টাইমসে ইমরান রহমানের রিপোর্ট মতে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ১ লাখ ৪৯ হাজার এবং ২০০৪ সালে ১ লাখ ৩০ হাজার শ্রমিক সৌদি আরবে রপ্তানি করেছিল।
শ্রমমন্ত্রী সৌদি সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে পরররাষ্ট্র নীতির ইতিহাসে মাইলফলক বলে বর্ণনা করেন। তবে মাত্র কয়েক মাস আগেই প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশী দেশে ফিরতে বাধ্য হন। গত বছর সৌদি আরব সরকার অবৈধ বিদেশী শ্রমিকদের ওপর ক্র্যাকডাউন চালিয়েছিল। ২০১৪ সালের ৩রা নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রায় দেড় লাখ বিদেশী শ্রমিককে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সৌদি সরকার ঘোষিত ৭ মাস সময়ের অ্যামনেস্টির সুযোগ গ্রহণ করে ভারতের ১৪ লাখ এবং বাংলাদেশের সাড়ে ৭ লাখ অবৈধ শ্রমিক তাদের কাগজপত্র ঠিক করে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল। এই সাড়ে ৭ লাখের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ পাসপোর্ট নবায়ন করে এবং অবৈধ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা আরও সাড়ে ৩ লাখ বাংলাদেশী তাদের কাগজপত্র ঠিক করে নেন। কিন্তু বিতাড়নের চিত্রটিও ছিল ব্যাপক।
৯ই ডিসেম্বর ২০১৪ আরব নিউজে পিকে আবদুল গফুর লিখেছিলেন, সৌদি আরব থেকে অবৈধ হয়ে পড়া বিদেশী শ্রমিকদের তাদের নিজ নিজ দেশে রপ্তানি করতে বাদশাহ আজিজ বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ২২টি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। অ্যামনেস্টি ঘোষণার পরে দুই লাখ স্বেচ্ছায় ও আরও প্রায় দেড় লাখ ইথিওপিও এবং ১ লাখ ৪১ হাজার ভারতীয় শ্রমিক সৌদি আরব ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। এভাবে বিদেশী শ্রমিক বিতারণের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব ৭শ’ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করেছিল। এ ধরনের পদক্ষেপে অত্যন্ত সন্তুষ্ট সৌদি প্রশাসন লোক নিয়োগে তাদের দেশ ও শ্রমবাজারের জন্য অধিকতর অনুকূল শর্ত সংবলিত নিয়মকানুন প্রবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিল। আরব টাইমসের রিপোর্ট মতে সৌদি আরবের বেঁধে দেয়া যাবতীয় নতুন শর্তে বাংলাদেশ সরকার শ্রমিক প্রেরণে রাজি হয়েছে।
ঢাকায় এখন সৌদি আরবে প্রবেশে তুলনামূলক দরিদ্র ও অনগ্রসর অংশের চাকরি প্রত্যাশীরা সঙ্গতকারণেই দীর্ঘ লাইন দিচ্ছেন। বিনা মূল্যের ফরম দুই থেকে ৫শ’ টাকা খরচ করেও অনেকে কিনছেন। অনেকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও শুরুটাই করছেন অনিয়ম দিয়ে, তারা গোড়াতেই দালালদের খপ্পরে পড়ছেন। গতকালই আরব নিউজে খবর ছাপা হয়েছে, সৌদি থেকে ২৭ হাজার ইন্দোনেশীয়কে বহিষ্কার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিরা এখন দেশে ফেরার পথে জেদ্দায় অপেক্ষমাণ রয়েছেন। তারা নির্ধারিত মেয়াদের বেশি সময় সৌদিতে অবস্থান করছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের ওপর শ্রমিক প্রেরণে সৌদি প্রশাসন যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, সম্প্রতি তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে দুই লাখ দক্ষ শ্রমিক নেয়ার ঘোষণায় শ্রমবাজারে দীর্ঘ দিন পরে একটা সাড়া পড়ে গেছে। ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত গড়ে বছরে দেড় লাখ শ্রমিক যেত সৌদি আরবে। ২০০৫ সালের ১৬ই জানুয়ারি আরব টাইমসে ইমরান রহমানের রিপোর্ট মতে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ১ লাখ ৪৯ হাজার এবং ২০০৪ সালে ১ লাখ ৩০ হাজার শ্রমিক সৌদি আরবে রপ্তানি করেছিল।
শ্রমমন্ত্রী সৌদি সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে পরররাষ্ট্র নীতির ইতিহাসে মাইলফলক বলে বর্ণনা করেন। তবে মাত্র কয়েক মাস আগেই প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশী দেশে ফিরতে বাধ্য হন। গত বছর সৌদি আরব সরকার অবৈধ বিদেশী শ্রমিকদের ওপর ক্র্যাকডাউন চালিয়েছিল। ২০১৪ সালের ৩রা নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রায় দেড় লাখ বিদেশী শ্রমিককে বহিষ্কার করা হয়েছিল। সৌদি সরকার ঘোষিত ৭ মাস সময়ের অ্যামনেস্টির সুযোগ গ্রহণ করে ভারতের ১৪ লাখ এবং বাংলাদেশের সাড়ে ৭ লাখ অবৈধ শ্রমিক তাদের কাগজপত্র ঠিক করে নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল। এই সাড়ে ৭ লাখের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ পাসপোর্ট নবায়ন করে এবং অবৈধ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকা আরও সাড়ে ৩ লাখ বাংলাদেশী তাদের কাগজপত্র ঠিক করে নেন। কিন্তু বিতাড়নের চিত্রটিও ছিল ব্যাপক।
৯ই ডিসেম্বর ২০১৪ আরব নিউজে পিকে আবদুল গফুর লিখেছিলেন, সৌদি আরব থেকে অবৈধ হয়ে পড়া বিদেশী শ্রমিকদের তাদের নিজ নিজ দেশে রপ্তানি করতে বাদশাহ আজিজ বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন ২২টি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। অ্যামনেস্টি ঘোষণার পরে দুই লাখ স্বেচ্ছায় ও আরও প্রায় দেড় লাখ ইথিওপিও এবং ১ লাখ ৪১ হাজার ভারতীয় শ্রমিক সৌদি আরব ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। এভাবে বিদেশী শ্রমিক বিতারণের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব ৭শ’ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করেছিল। এ ধরনের পদক্ষেপে অত্যন্ত সন্তুষ্ট সৌদি প্রশাসন লোক নিয়োগে তাদের দেশ ও শ্রমবাজারের জন্য অধিকতর অনুকূল শর্ত সংবলিত নিয়মকানুন প্রবর্তন করতে সক্ষম হয়েছিল। আরব টাইমসের রিপোর্ট মতে সৌদি আরবের বেঁধে দেয়া যাবতীয় নতুন শর্তে বাংলাদেশ সরকার শ্রমিক প্রেরণে রাজি হয়েছে।
No comments